ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

রুশ সাহিত্যের বাংলা অনুবাদে আগ্রহী আরসিএসসি

প্রকাশিত: ২২:৫৯, ২৭ নভেম্বর ২০২০

রুশ সাহিত্যের বাংলা অনুবাদে আগ্রহী আরসিএসসি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে রুশ সাহিত্যের পাঠক। মধ্যযুগে গোড়াপত্তন হওয়া প্রাচীন রুশ ভাষায় রচিত মহাকাব্য আজও আলোড়িত করে পাঠককে। শুধু কি তাই? গল্প-কবিতা থেকে উপন্যাস-সাহিত্যের সব শাখাতেই রয়েছে রাশিয়ান লেখকদের কালজয়ী সৃষ্টি। সেই সুবাদে বাংলাদেশেও রয়েছে রুশ সাহিত্যের অনুরাগী পাঠক। তাই তো কয়েক দশকে আগেও রুশ সাহিত্যের বাংলা অনুবাদের বইগুলো জায়গা করে নিয়েছিল এদেশের গ্রন্থানুরাগীদের ঘরে ঘরে কিংবা বুক সেলফে। তবে সময়ের পরিক্রমায় বন্ধ হয়েছে বাংলায় অনূদিত সেই রুশ সাহিত্য। এমন বাস্তবতায় পুনরায় রুশ সাহিত্যের বাংলা অনুবাদ প্রকাশে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ঢাকাস্থ রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্র (আরসিএসসি)। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন আরসিএসের পরিচালক ম্যাক্সিম দোব্রখোতভ। হেমন্তের দুপুরে ধানমণ্ডির আরসিএসসির কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সংবাদকর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ম্যাক্সিম দোব্রখোতভ বলেন, বিজ্ঞানে যেমন বিশ্ব সেরাদের তালিকায় রয়েছে রাশিয়া, তেমনি সাহিত্য ভুবনেও সারা বিশ্বে কোটি কোটি পাঠকের হৃদয় জয় করেছে রুশ সাহিত্য। ভাষাশৈলী থেকে লেখার আঙ্গকের কারণে গদ্য কিংবা পদ্যÑউভয় শাখাতেই প্রভাব বিস্তার করেছে রুশ সাহিত্য। তাই কবিতা, ছোটগল্প ও নাটকের মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি অর্জন করেছেন রাশিয়ান কবি-সাহিত্যিকরা। একসময় এদেশে রুশ সাহিত্যের বাংলা অনুবাদ পাঠকের কাছে পেয়েছিল তুমুল জনপ্রিয়তা। তলস্তয়, দস্তয়েভস্কি বা চেখভের কালজয়ী রচনাগুলো বুঁদ হয়ে পাঠ করত গ্রন্থানুরাগীরা। আমরা সেই ধারাটি আবার ফিরিয়ে আনতে চাই। রুশ সাহিত্যকে পুনরায় এদেশের পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। তাই রুশ সাহিত্যের অনূদিত বাংলা সংস্করণ প্রকাশের বিষয়ে আমরা আগ্রহী। এর ফলে একইসঙ্গে রুশ সাহিত্যের পাশাপাশি বাংলা সাহিত্যও সমৃদ্ধ হবে। আলাপচারিতায় ম্যাক্সিম দোব্রখোতভ বলেন, রাশিয়ার বিজ্ঞানবিষয়ক বিভিন্ন উদ্ভাবন ও সাহিত্যের বিভিন্ন দিক নিয়ে রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্র নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশে। রুশ ভাষা শিক্ষাসহ সকলের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও এখানে করা আছে। এছাড়া প্রতিবছর রাশিয়া শিক্ষাক্ষেত্রে অনেক বৃত্তি দিয়ে থাকে যা আমরা এদেশের শিক্ষার্থীদের পেতে সহায়তা করি। সেই প্রেক্ষাপটে শিল্প-সাহিত্যের উন্নয়নেও আমরা কাজ করছি নিরলস। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, আমরা সব সময়ই চাই বাংলাশে ও রাশিয়ার সম্পর্কের বন্ধন আরও দৃঢ় হোক। কারণ এদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র হিসেবে ভূমিকা রেখেছে রাশিয়া। সেই ধারা এখনও অব্যাহত আছে। আমাদের দুদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হোক। আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্রের সাংস্কৃতিক বিভাগের অনুষ্ঠান প্রধান প্রশান্ত কুমার বর্মণ, শিক্ষা বিভাগের প্রধান সৈয়দ বজলুল হাসান রাজিবসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী। ‘অনিশ্চিত সময়’ মোকাবেলায় মিউজিক ভিডিও প্রকাশ বাংলাদেশী-মার্কিন বিজ্ঞানীর ॥ বাসস জানায়, বাংলাদেশী-মার্কিন বিজ্ঞানী মনোলিনা বিন্নি চলমান কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে গোটা বিশ্বজুড়ে অনিশ্চয়তার মুখে সবার মনে আশা ও সাহস জাগিয়ে তোলার প্রচেষ্টায় ‘আমি আলো’ শিরোনামে একটি বাংলা গানের ভিডিও প্রকাশ করেছেন। অক্সফোর্ড ন্যানোপোর টেকনোলজির অনুজীববিজ্ঞানী ২৯ বছর বয়সী মনোলিনা জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সহশিল্পীদের নিয়ে ৩.৩৩ মিনিটের এ পারফর্মেন্সে বাংলার সমৃদ্ধ বাউল ও লোক ঐতিহ্যের প্রতি তার অনুরাগের শৈল্পিক প্রকাশ ঘটিয়েছেন। বিজ্ঞানী হিসেবে ডিএনএ/আরএনএ’র পরবর্তী প্রজন্মের অনুক্রমে বিশেষজ্ঞ এ সঙ্গীতশিল্পী বলেন, ‘আমি আলো’ নিজের মধ্যে শক্তি ও সাহস খুঁজে পাওয়ার প্রেরণা জোগাবে। এ গানটি এ অন্ধকার ও অনিশ্চিত সময়ে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় জাগাবে। মনোলিনা নিজেই এ গানের গীতিকার, সহ-সুরকার (নিউইয়র্ক সিটির রিচি বেরেটার সঙ্গে) এবং সঙ্গীত আয়োজক। গানটির প্রথম কয়েকটি লাইনের অর্থ দাঁড়ায়- ‘মাথায় নিয়ে এ ভাবনা হাঁটছি আমি, নিজের জন্য আমি নিজেই যথেষ্ট, এ অন্তরে জেনেছি, আমি আলো।’
×