ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রায়হান হত্যার ঘটনায় আরও দুই পুলিশকে প্রত্যাহার

প্রকাশিত: ২৩:১৭, ২৬ নভেম্বর ২০২০

রায়হান হত্যার ঘটনায় আরও দুই পুলিশকে প্রত্যাহার

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান হত্যার ঘটনায় আরও দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ দুই পুলিশ সদস্য হলেন- নগরীর কোতোয়ালি থানায় ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সৌমেন মৈত্র এবং এসআই আব্দুল বাতেন। প্রথমে রায়হান হত্যার মামলাটির তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন এসআই আব্দুল বাতেন। সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, ‘পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে এ দুজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তদন্তে গাফিলতি, এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়ার পলায়ন সবমিলিয়ে তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স। তিনি জানান, সৌমেন মৈত্রকে রংপুর জেলা পুলিশে সংযুক্ত করা হয়েছে। আব্দুল বাতেন আপাতত এসএমপিতেই আছেন। এ নিয়ে রায়হান হত্যার ঘটনায় চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও পাঁচজনকে প্রত্যাহার করা হলো। এছাড়া গ্রেফতার করা হয়েছে চার পুলিশ সদস্যকে। গত ১০ অক্টোবর রাতে রায়হান আহমদকে ধরে নেয়া হয় বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে। ১১ অক্টোবরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয় ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে মারা যান রায়হান। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে আহত হন রায়হান, পরে হাসপাতালে তিনি মারা যান। কিন্তু পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে রায়হান ফাঁড়িতে নির্যাতনে মারা গেছে বলে অভিযোগ করা হয়। রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী বাদী হয়ে ১২ অক্টোবর নগরীর কোতোয়ালি থানায় হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে মামলা করেন। নির্যাতনের অভিযোগ ওঠার প্রেক্ষিতে মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। এ কমিটি অনুসন্ধানে ফাঁড়িতে নির্যাতনের সত্যতা পায়।
×