স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রনী মিলনায়তনে ওয়ালটন-ডিআরইউ ক্রীড়া উৎসবের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে বুধবার। এই ক্রীড়া আসরে দৈনিক জনকন্ঠের মোট ৪টি সাফল্য অর্জিত হয়েছে। স্পোর্টস রিপোর্টার রুমেল খান বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ প্রথম রানারআপ হন। তিনি টেবিল টেনিসে চ্যাম্পিয়ন, ম্যারাথনে রানারআপ এবং ১০০ মিটার স্প্রিন্টে তৃতীয় হন। এছাড়া গোলক নিক্ষেপে হন চতুর্থ। অপর স্পোর্টস রিপোর্টার জাহিদুল আলম জয় ম্যারাথনে অংশ নিয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করেন।
জয় গত আট বছর ধরে ডিআরইউ ক্রীড়ায় শুধু দলীয় ইভেন্টে খেলেছেন দৈনিক জনকণ্ঠের হয়ে। এবারই তিনি একক ইভেন্টে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়ে সাফল্য কুড়িয়ে নেন।
ডিআরইউ ক্রীড়া উৎসবে পুরুষ বিভাগে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ হয়েছেন বাংলাদেশের খবরের মাহমুদুন্নবী চঞ্চল। ঢাকা ট্রিবিউনের বিলকিস ইরানি মহিলা বিভাগে হয়েছেন বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ। প্রথম রানারআপ হন ডেইলি অবজারভারের বনানী মল্লিক।
বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন)।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউর সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী এবং ক্রীড়া সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান।
এবারের ক্রীড়া উৎসবে পুরুষ সদস্যদের ইভেন্ট ছিল ১১টি। সেগুলো হলো- দাবা, ব্যাডমিন্টন (একক), শুটিং, টেবিল টেনিস (একক), ক্যারম (একক), ম্যারাথন, ১০০ মিটার দৌড়, আরচারি, গোলক নিক্ষেপ, কলব্রিজ এবং ব্রিজ।
নারী সদস্যদের ইভেন্ট ছিল ৬টি। সেগুলো হলো- শুটিং, দাবা, ক্যারম (একক), ব্যাডমিন্টন (একক), টেবিল টেনিস (একক) এবং মিনি ম্যারাথন। সদস্য সন্তানদের ইভেন্ট ছিল ২টি (১০০ ও ২০০ মিটার দৌড়)। সদস্য স্ত্রীদের ইভেন্ট একটি (স্ট্যাম্প ভাঙ্গা)। আর নারী সদস্য স্বামীদের ইভেন্ট একটি (২০০ মিটার দৌড়)।
উল্লেখ্য, দুই বছর পর সদস্যদের স্ত্রী/স্বামী ও সন্তানদের ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতি ইভেন্টের চ্যাম্পিয়ন ৪, রানারআপ ৩, তৃতীয় স্থান অধিকারী ২ এবং চতুর্থ স্থান অধিকারীর জন্য এক পয়েন্ট। ইনডোর গেমসে প্রায় ৪০০ প্রতিযোগী অংশ নেন এবার।
এই প্রতিযোগিতার সহযোগিতায় রয়েছে ওয়ালটন গ্রুপের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড মার্সেল।
* এক নজরে ডিআরউ স্পোর্টসে রুমেল খানের ১৩ পদকের খতিয়ান ॥ ২০১২ ও ২০১৩ সালে ক্রিকেটে জনকণ্ঠের হয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ, ২০১৪ সালে টেবিল টেনিসে তৃতীয় স্থান, ২০১৪ সালে ম্যারাথনে রানারআপ, ২০১৬ সালে টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়ন, ২০১৬ সালে মারাথনে তৃতীয় স্থান, ২০১৭ সালে টেবিল টেনিসে রানারআপ, ২০১৭ সালে গোলক নিক্ষেপে রানারআপ, ২০১৯ সালে টেবিল টেনিসে চ্যাম্পিয়ন, ২০১৯ সালে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে তৃতীয় স্থান এবং ২০২০ সালে টেবিলে টেনিসে চ্যাম্পিয়ন, ম্যারাথনে রানারআপ ও ১০০ মিটার স্প্রিন্টে তৃতীয় স্থান।
* এক নজরে ডিআরউ স্পোর্টসে জাহিদুল আলম জয়ের পদকের খতিয়ান ॥ ২০২০ সালে ম্যারাথনে তৃতীয় স্থান।
