ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এফআর টাওয়ার মামলায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেবে দুদক

প্রকাশিত: ১৮:১০, ২৫ নভেম্বর ২০২০

এফআর টাওয়ার মামলায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেবে দুদক

অনলাইন রিপোর্টার ॥ রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতি মামলায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার (২৫নবেম্বর) এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দীক বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ২৫ জুন মামলাটি করেছিলেন। তদন্ত সাপেক্ষে মামলায় চার্জশিটভুক্ত ১৮ জন হলেন- রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ইজারা গ্রহীতা সৈয়দ মো. হোসাইন ইমাম ফারুক (এস এম এইচ আই ফারুক), রূপায়ন হাউজিং এস্টেট লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (বর্তমান চেয়ারম্যান) লিয়াকত আলী খান মুকুল (এল এ মুকুল), কাসেম ড্রাইসেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসভীর-উল-ইসলাম, রাজউকের সাবেক ইমারত পরিদর্শক (পরবর্তীতে সহকারী অথরাইজড অফিসার) মো. নজরুল ইসলাম, পরিচালক (এস্টেট) মো. শামসুল আলম, সাবেক উপপরিচালক (এস্টেট) মুহাম্মদ শওকত আলী, সাবেক সহকারী পরিচালক (এস্টেট) শাহ মো. সদরুল আলম, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক (এস্টেট) জাহানারা বেগম, সাবেক পরিদর্শক মো. মেহেদউজ্জামান, নিম্নমান সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক মুহাম্মদ মজিবুর রহমান মোল্লা, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. এনামুল হক, সাবেক পরিচালক (এস্টেট) মো. আবদুল্লাহ-আল-বাকী, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক মো. মোফাজ্জেল হোসেন, উচ্চমান সহকারী মো. সাইফুল আলম, ইমারত পরিদর্শক (নক্সা জমা গ্রহণকারী) ইমরুল কবির, ইমারত পরিদর্শক (নক্সা জমা গ্রহণকারী) মো. শওকত আলী, উচ্চমান সহকারী (ইস্যুকারী) মো. শফিউল্লাহ (সাময়িক বরখাস্ত) ও সাবেক অথরাইজড অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম। দুদকের অভিযোগের বিবরণ থেকে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা, ১৯৯৬ এর বিধান লঙ্ঘন করেছেন। তারা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র ইস্যু, ফি জমা ও অনুমোদন না নিয়ে ভুয়া নকশায় এফআর টাওয়ারের ১৯ থেকে ২৩তলা পর্যন্ত নির্মাণ করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে বন্ধক, ফ্লোর বিক্রি ও অগ্নিকাণ্ডে জনসাধারণের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছেন। এ অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১৬৬/ ১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় চার্জশিট অনুমোদন দেয় দুদক। এছাড়া, তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় ৭ আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয় দুদক। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিক।
×