ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নতুন প্রযুক্তি ॥ যশোরে ট্রে-তে উৎপাদন হচ্ছে চারা

প্রকাশিত: ২০:৫০, ২৫ নভেম্বর ২০২০

নতুন প্রযুক্তি ॥ যশোরে ট্রে-তে উৎপাদন হচ্ছে চারা

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোর সদরের চুড়ামনকাঠিতে সবজি ও ফলের চারা গাছ উৎপাদনে নতুন কৃষিপ্রযুক্তি নিয়ে এসেছে ম্যাক্সিম এগ্রো। ২০১৮ সাল থেকে তারা নতুন প্রযুক্তিতে চারা গাছ উৎপাদন করছে। সরজমিনে ম্যাক্সিম এগ্রো কৃষি খামারে গিয়ে সর্বমোট ৩৫ প্রজাতির চারা গাছের দেখা মেলে। সারাবছরই চারা গাছ উৎপাদন করা হয় ম্যাক্সিম এগ্রোর কৃষি খামারে। এখানে বছরে ৫০ লাখ চারা গাছ উৎপাদিত হয়। যা চাহিদার ৫০ ভাগও পূরণ করতে পারেনি। বর্তমানে ১৫ জেলার কৃষকেরা এ খামারের উৎপাদিত চারা গাছ কিনছেন। আগামীতে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়লে আরও অধিক সংখ্যক জেলায় এটি বিপণন হওয়ায় সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যশোর সদরের চুড়ামনকাঠিতে ১৬০ শতক জমিতে গড়ে উঠেছে কৃষি খামারটি। এখানে পেঁপে, আলু, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রোকলি, ওলকপি, টমেটোর কয়েকটি, মরিচ, ক্যাপচিক্যাম, চাল কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, স্কোয়াস, তরমুজ, শিম, শশা, চিচিঙ্গা, শিম, ঝিঙ্গা, কয়েক প্রজাতির পেঁপে। প্রজাতি ভেদে ৪০ দিন ৬০ দিন সময় লাগে একেকটি চারা গাছ তৈরি হতে। ম্যাক্সিম এগ্রোর কো-অর্ডিনেটর আমিরুল ইসলাম খান জানান, কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে আসার জন্য আমরা কাজ করছি, যেন কৃষকেরা সঠিক চারা পেয়ে লাভবান হতে পারে। এখনও কাক্সিক্ষত লাভের দেখা আমরা পায়নি। তবে আমরা আশাবাদী। আমাদের এখানে ২০ কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন। বিপণন কর্মকর্তা হাসানুর রহমান বলেন, সাধারণভাবে কৃষি জমিতে চারা উত্তোলন করার সময় মাটি থেকে তুলতে গেলে সেটার শিকড় নষ্ট হয়। যেটা ঠিক হতে ১০ দিন লাগে। কিন্তু এখানে শিকড় নষ্ট হয় না ট্রেতে লাগানোর জন্য, কারণ শিকড় পেঁচিয়ে থাকে। ফলে লাভের আশায় কৃষকেরা আমাদের কাছে থেকে ক্রয় করছেন। চারা গাছ ক্রয় করতে আসা নাজমুল হাসান সুমন বলেন, টমেটো, শশা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, লাউয়ের চারা কিনতে এসেছি।
×