স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ বাগেরহাটের চিত্রা পাড়ের মিনি সুন্দরবনে পাখি শিকারী চক্র আবার বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। শীতের শুতেই পাখিদের এ অভয়ারণ্যে সৌখিন ও পেশাদার শিকারীরা কখনও প্রকাশ্যে আবার গোপনে পাখি শিকার করছে। মঙ্গলবার সকালে বন্দুকের গুলিতে একটি বিরল প্রজাতির সারশের মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় পাখিপ্রেমীদের মনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্ভে এসব পাখি শিকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চিতলমারী উপজেলার চিত্রাপাড়ের মিনি সুন্দরবনে পাখিদের অভয়ারণ্য গড়ে উঠেছে। সারা বছরই এখানে নানা প্রজাতির পাখিদের কলকাকলিতে মুখরিত থাকে। বিশেষ করে শীত মৌসুমে এখানে পরিযায়ী পাখি থেকে শুরু করে বিভিন্ন পাখিদের আগমণ ঘটে।
এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু শিকারীরা ফাঁদ, জাল ও বন্দুক দিয়ে পাখি শিকার করছে। মঙ্গলবার সকালে মিনি সুন্দরবনের ভেতর থেকে গুলিবিদ্ধ আহত অবস্থায় একটি সারশ পাখি উদ্ধার করে এলাকাবাসি। উদ্ধাররের কিছুক্ষণ পর সেটি মারা যায়।
স্থানীয় পাখিপ্রেমী ও মিনি সুন্দরবন রক্ষায় এগিয়ে আসা ইজাবুল মোড়ল ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, এ ধরণের কাজের সাথে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন। বিলুপ্ত প্রজাতির এমন একটি সারশের মৃত্যু কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এটা খুবই দুঃখজনক।
প্রাণি ও পাখি বিশেষজ্ঞ শরীফ খান বলেন, এসব পাখি এখন আমাদের দেশে বিলুপ্ত প্রায়। এদের রক্ষা করা খুবই জরুরী। এভাবে যদি পাখি নিধন করা হয় তাহলে আগামিতে এর কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না।
জেলা বন বিভাগের ষাটগম্বুজ রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চিন্ময় মধু জানান, বিষয়টি খুবই অন্যায়। এভাবে পাখি শিকারের সাথে যারা জড়িত আছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বন বিভাগের পক্ষ থেকে সব ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
চিতলমারী থানার ওসি মীর শরিফুল হক জানান, পাখি শিকারের সাথে যারা জড়িত তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। জরুরী ভাবে এসব শিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।
