ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

পেট্রোল পাম্পে কর্মচারীর শরীরে আগুন দিলেন সহকর্মীরা

প্রকাশিত: ১৯:৫৭, ২৪ নভেম্বর ২০২০

পেট্রোল পাম্পে কর্মচারীর শরীরে আগুন দিলেন সহকর্মীরা

অনলাইন রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে রিয়াদ হোসেন (২০) নামে এক কর্মচারীর শরীরে অকটেন ঢেলে আগুন দিয়েছেন তার সহকর্মীরা। দগ্ধ অবস্থায় তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ২৪ (নবেম্বর) ভোর পৌনে ৪টার দিকে শ্যামপুর জুরাইনের সালাউদ্দিন পেট্রোল পাম্পে এ ঘটনা ঘটে। শ্যামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মফিজুল ইসলাম জনকন্ঠকে বলেন, এস আহমেদ নামে পেট্টোল পাম্পে ৪ জন অপারেটর রাতে ডিউটিতে ছিলেন। এদের মধ্যে মাহমুদুল হাসান ইমন (২২) নামে এক অপারেটর ঘুমিয়ে পড়েন। পরে রিয়াদ তাকে ডাকতে যান। তিনি না উঠলে সামান্য একটু অকটেক ইমনের গায়ে ছিটিয়ে দেন রিয়াদ। পরে রিয়াদ ঘুম থেকে জেগে আড়াইশ মিলিগ্রামের একটি বোতলে অকটেন ভরে ইমনের গায়ে ঢেলে দেন। এরপর ইমন ম্যাচ দিয়ে আগুন ধরিয়ে রিয়াদের গায়ে ছুঁড়ে মারেন। এতে রিয়াদের শরীরে মুহূর্তেই আগুন ধরে যায়। ভোরেই পাম্পের কর্মচারীরা তাকে উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন। ওসি আরও জানান, এই ঘটনায় রিয়াদের বাবা একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ইমনসহ অপর দুই অপারেটর ফাহাদ আহমেদ পাভেল (২৮) ও শহিদুল ইসলাম রনিকে (১৮) গ্রেফতার করা হয়েছে। জুরাইন কমিশনার রোডের ১৩২৭/১ নম্বর বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো রিয়াদ। তার বাবা ফরিদ মিয়া গাড়িচালক। দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় তিনি। চলতি বছর রিয়াদ সিদ্ধেশ্বরী কলেজে অনার্সে ভর্তি হন। তার বাবা ফরিদ মিয়া জানান, ‘মাসিক ৫ হাজার টাকা বেতনে পার্টটাইম চাকরি হিসেবে চলতি মাসের ৪ তারিখে ওই পাম্পে যোগ দেয় রিয়াদ। মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে পাম্পের লোকজন ফোন দিয়ে আমাদের হাসপাতালে আসতে বলেন। এখানে এসে রিয়াদকে দগ্ধ অবস্থায় দেখতে পাই। তার শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। বর্তমানে সে আইসিইউতে রয়েছে’। ঢাকা মেডিক্যাল পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকের বরাত দিয়ে জানান, দগ্ধ ওই ছাত্রের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
×