ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দেশের ওষুধ ব্যবস্থা বর্তমানে ঈর্ষণীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে ॥ মাহবুবুর রহমান

প্রকাশিত: ১৫:১৬, ২৪ নভেম্বর ২০২০

দেশের ওষুধ ব্যবস্থা বর্তমানে ঈর্ষণীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে ॥ মাহবুবুর রহমান

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মো.মাহবুবুর রহমান বলেছেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি উপজেলায় ১টি করে মডেল ফার্মেসি ও মডেল মেডিসিন শপ চালু করার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশের এক লাখ ৫১ হাজার ফার্মেসিকে মডেল ফার্মেসিতে রূপান্তর করা হবে। ইতিমধ্যেই দেশের ৩৭ হাজার ফার্মেসি মডেলের আওতায় এসেছে এবং ৫০ হাজার ফার্মেসি মডেল মেডিসিনশপের আওতায় রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশাতবার্ষিকীতে এই কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দেশের ওষুধ ব্যবস্থা বর্তমানে ঈর্ষণীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। শতকরা ৯০ শতাংশ ওষুধ বিক্রি হচ্ছে দেশেই, আর বিশ্বের ১৪৮টি দেশে বাংলাদেশ ওষুধ রফতানি করে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নীলফামারী জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে 'মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশে মডেল ফার্মেসি ও মডেল মেডিসিন শপ এর প্রয়োজনীয়তা ও সম্ভাবনা' শীর্ষক আলোচনা এবং নকল, ভেজাল, আনরেজিস্টার্ড ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ প্রতিরোধে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এ ছাড়া তিনি ফার্মেসি লাইসেন্স ব্যতীত, প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোথাও ওষুধ বিক্রি করা যাবে না। এজন্য ওষুধ প্রশাসন কাজ করছে এবং ২৭ হাজার লাইসেন্সবিহীন দোকান শনাক্ত করা হয়েছে। ১১ কোটি ৬৯ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং ৩৭ কোটি টাকার মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ নষ্ট করা হয়েছে। ওষুধের দোকানে অন্য পণ্য বিক্রি করা যাবে না। ফার্মেসিতে একাধিক ফার্মাসিষ্ট থাকতে হবে। এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে সচেতন হওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্যও দেন। উক্ত আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান, নীলফামারী সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর কবির, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোঃ সালাউদ্দিন, সহকারী পরিচালক অজিউল্লাহ, নীলফামারী ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের সহকারী পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ। সভার সভাপতিত্ব করেন নীলফামারী জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান সবুজ। এর আগে সকালে জেলা শহরের বাটার মোড়স্থ সৈকত ফার্মেসিকে মডেল ফার্মেসি এবং বড় বাজার এলাকার রাশেদ, জামান ও করিম ফার্মেসি মডেল মেডিসিন শপ হিসেবে উদ্ধোধন করে প্রধান অতিথি মেজর জেনারেল মো.মাহবুবুর রহমান। এ সময় প্রধান অতিথি জানান, যথাযথ নিয়ম অনুসারে ফার্মেসি পরিচালিত না হলে সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে এবং সুরক্ষিত মান নিয়ন্ত্রন করতে ব্যর্থ হলে সেসবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এজন্য মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু হবে দ্রুত। তিনি ওই সময় মাক্স বিতরনকালে বলেন মাক্স ব্যবহার শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য নো মাক্স নো সার্ভিস অবলম্বর জরুরী। সংশ্লিষ্ট সুত্র মতে নীলফামারী জেলায় প্রায় দেড় হাজার ফার্মেসি রয়েছে। এরমধ্যে এক হাজার নিবন্ধিত এবং বাকী গুলো প্রক্রিয়াধীন।
×