ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ ॥ মামলা দায়ের

প্রকাশিত: ১৪:০৮, ২৪ নভেম্বর ২০২০

বরিশালে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ ॥ মামলা দায়ের

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ বিয়ের প্রলোভনে কলেজ ছাত্রীকে বিভিন্নস্থানে আটক করে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হলে বিদেশে পাচারের হুমকি দিয়ে সাদাস্টাম্পে সাক্ষর নেয়া হয়। এ ঘটনায় বরিশাল আদালতে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান জানান, নির্যাতিতা কলেজ ছাত্রী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় হিজলা উপজেলার ডিক্রিরচর গ্রামের মতি খন্দকারের পুত্র ইসমাইল খন্দকারকে (২৫) প্রধান আসামি করা হয়। এছাড়া মতি খন্দকার, শহীদ ভূঁইয়া ও জাহাঙ্গীর হোসেনকে সহযোগিতা করার অভিযোগে আসামি করা হয়েছে। আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ সোমবার শেষ কার্যদিবসে ওই ছাত্রীর মামলার আবেদনের প্রেক্ষিতে হিজলা থানার ওসিকে অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন। মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, নির্যাতিতা তরুণী হিজলা জব্বার মেহমান ডিগ্রী কলেজে অধ্যায়নরত। মামলার প্রধান অভিযুক্ত ইসমাইল একই এলাকার বাসিন্দা। সে দীর্ঘদিন থেকে তাকে (কলেজ ছাত্রী) প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। গত ৫ নবেম্বর ওই কলেজ ছাত্রী তার এক নিকট আত্মীয়র বাড়িতে যাওয়ার পথে ইসমাইল জোরপূর্বক নিজের মামা শহীদ ভূঁইয়ার বাড়িতে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। ৬ নবেম্বর সকালে কলেজ ছাত্রীকে কৌশলে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অভিযুক্তদের সহায়তায় একটি আবাসিক হোটেলে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়। ৮ নভেম্বর ওই কলেজ ছাত্রীকে মিরপুর এলাকার একটি বাসায় নিয়ে পুনরায় ধর্ষণ করা হয়। একপর্যায়ে নির্যাতিতা ওই কলেজ ছাত্রী বিয়ের দাবি জানালে, তাকে বিদেশ পাচার করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এসময় কলেজ ছাত্রী কান্নাকাটি করলে তার বাবাকে খবর দেওয়ার পর অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর ওই তরুণীর বাবা ও খালুকে ঢাকায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তিনটি সাদা স্ট্যাম্পে নির্যাতিতা কলেজ ছাত্রী এবং একটি সাদা কাগজে তার বাবা ও খালুর জোরপূর্বক সাক্ষর নেয়ার পর পুরো বিষয়টি কাউকে জানালে তাদের হত্যার হুমকি দিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
×