ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

তবে আঘাত হানবে না উপকূলে, বৃষ্টি হবে

সাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে আজ

প্রকাশিত: ২৩:১১, ২৪ নভেম্বর ২০২০

সাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে আজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যখন আস্তে আস্তে শীতের প্রকোপ বাড়ছে। ঠিক তখনি সাগরে সৃষ্টি হয়েছে একটি নিম্নচাপ। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজকের মধ্যে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তবে দেশের উপকূলে এটি আঘাত হানছে না। এর প্রভাবে ২৫ নবেম্বরের পর থেকে আরও এক দফা বৃষ্টিপাত হতে পারে। ফলে শীতের প্রকোপ আরও বাড়বে। এদিকে নিম্ন্নচাপের প্রভাবে সাগর মাঝারি ধরনের উত্তাল রয়েছে। ফলে সাগরেও মাছ ধরা টলার ও নৌকা সমূহকে সাবধানে চলাচলের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এদিকে মেঘ কেটে যাওয়ায় দেশের অধিকাংশ স্থানের তাপমাত্রা প্রায় ৪ থেকে ৫ ডিগ্রী পর্যন্ত কমেছে। খোদ ঢাকার তাপমাত্রা সোমবার কমে সর্বোচ্চ ২৭.৭ এবং সর্বনিম্ন ১৫.২ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নেমেছে। এদিনে নওগাঁয় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে ১০.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াসে এসেছে। ফলে দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও শীত বেশ জেঁকে পড়ছে। আবহাওয়া অফিসের জেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান জনকণ্ঠকে বলেন সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ২৫ নবেম্বরের পর থেকে বৃষ্টিপাত হতে পারে। তিনি বলেন নিম্নচাপটি আজ মঙ্গলবারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলেও এর প্রভাব দেশের উপকূলে পড়ছে না। তবে প্রভাব না পড়লে বৃষ্টিপাত হবে। এদিকে আবহাওয়া অফিসের এক বিশেষ বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি সোমবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৬৫০ কিঃ মিঃ দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৮৫ কিঃ মিঃ দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৬৫ কিঃ মিঃ দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ৫৫০ কিঃ মিঃ দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল এটি আরও ঘণীভূত হয়ে পশ্চিম উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিঃ মিঃ এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিঃ মিঃ যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিঃ মিঃ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটে সাগর মাঝারি ধরনের উত্তাল রয়েছে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর সমূহকে পরবর্তী নির্দেশনার জন্য সাবধানতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। তারা জানায় নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলেও তা বাংলাদেশে আঘাত হানার আশঙ্কা কম। এটি মূলত ভারতের অন্ধ্র ও ওডিশা উপকূলের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে এটি আঘাত না হানলে বুধবার থেকে বাংলাদেশহ ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। বিশেষ করে দেশের উপকূলীয় এলাকায় টানা দু’দিন বৃষ্টি চলতে পারে। অনেক স্থানে ভারি বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান বলেন, নিম্নচাপটি দ্রুত শক্তি অর্জন করলেও তা বাংলাদেশ থেকে অনেক দূরে আছে। এর গতিমুখ অনুযায়ী তা বাংলাদেশের দিকে আসার কোন সম্ভাবনা নেই। তবে এর প্রভাবে আগামী বুধবার থেকে আবারও বৃষ্টি শুরু হতে পারে। এদিকে ভারতের আবহাওয়া অফিস জানায় দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের ওপর সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে তামিলনাড়ু-পুদুচেরি উপকূলের দিকে অগ্রসর হবে। এর প্রভাবে দক্ষিণ ভারতের উপকূলীয় রাজ্যগুলোতে বৃষ্টিপাত হবে। তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরিতে ২৪ এবং ২৫ নবেম্বর ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি হবে।
×