ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

‘ভ্যাকসিন না পেলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা কঠিন’

প্রকাশিত: ২২:৫৪, ২৪ নভেম্বর ২০২০

‘ভ্যাকসিন না পেলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা কঠিন’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ছাত্রছাত্রীরা ভ্যাকসিন না পেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা কঠিন বলে মত দিয়েছে করোনা সংক্রান্ত জাতীয় টেনিক্যাল পরামর্শক কমিটি। কমিটি একই সঙ্গে ১৮ বছরের বেশি শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেয়ার সম্ভাব্যতা যাচাই করারও পরামর্শ দিয়েছে। কমিটি অভিযোগ তুলেছে, বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের মাধ্যমে কোভিড-১৯ সংক্রমণ দেশে প্রবেশ প্রতিরোধের উদ্দেশে দেশে আসার পূর্ববর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্টসহ আসার বিধান রয়েছে। কিন্তু অনেকযাত্রী টেস্ট ও রিপোর্ট ছাড়াই আসছেন। জাতীয় পরামর্শক কমিটির ২২তম সভায় এ বিষয়ে মতামতসহ বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ সহিদুল্লাহর সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতদিন দেশের ঝুঁকিপূর্ণ ও ষাটোর্ধ নাগরিক, চিকিৎসক, পুলিশ, সাংবাদিকসহ ফ্রন্টলাইনের কর্মীদের ভ্যাকসিন দেয়ার বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তবে এবার জাতীয় পরামর্শক কমিটি ১৮ বছরের ওপরের শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেয়ার সম্ভাব্যতা যাচাই করা প্রয়োজন বলে মত দিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের মাধ্যমে কোভিড-১৯ সংক্রমণ দেশে প্রবেশ প্রতিরোধের উদ্দেশে দেশে আসার পূর্ববর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্টসহ আসার বিধান রয়েছে। কিন্তু অনেকযাত্রী টেস্ট ও রিপোর্ট ছাড়া আসছেন। এদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য প্রতিদিন এক হাজার টাকা করে যাত্রীপ্রতি ১৪ হাজার টাকা সরকারের খরচ হচ্ছে। যাত্রীদের জন্যও ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন কষ্টকর হচ্ছে। সরকারী প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী বিভাগ এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে। কমিটি বলেছে, সমস্ত এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষকে যাত্রার পূর্ববর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জঞ-চঈজ দ্বারা কোভিড ১৯ পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়া যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা প্রয়োজন। এ নিয়ম কঠোরভাবে পালন করতে হবে। এয়ারপোর্ট (বিশেষত ঢাকা), সী-পোর্ট ও ল্যান্ডপোর্টসমূহে রিপোর্ট চেক করা বাধ্যতামূলক করতে হবে। ভুয়া রিপোর্ট সমন্ধে সতর্ক থাকতে হবে। কোন কারণে রিপোর্ট ছাড়া যাত্রী আসলে তাকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। এটা যাত্রীর নিজ খরচে করা যেতে পারে। এক/দুই দিনের মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থায় টেস্ট করে নেগেটিভ রিপোর্ট হলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন থেকে ছেড়ে দেয়া যেতে পারে। তবে প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে তাদের বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে। রিপোর্ট পজিটিভ হলে তাকে হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখতে হবে। ইতোমধ্যে যারা কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন তাদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেয়া হয়। কমিটি আরও বলেছে, সরকার ইতোমধ্যে অক্সফোর্ড ও এ্যাস্ট্রাজেনিকার তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কেনার জন্য ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করেছে। এজন্য সরকার অর্থও বরাদ্দ করেছে। বিভিন্ন পেশা ও জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য সরকারী উদ্যোগে ‘ন্যাশনাল ভ্যাকসিন ডিপ্লোমেন্ট প্ল্যান’ তৈরি করা হয়েছে। সভায় এ বিষয়টি পর্যালোচনা করা হয়। পরিকল্পনাটি সম্পূর্ণ ও যথাযথ বলে মতামত প্রদান ও সমর্থন করা হয়। জাতীয় পরামর্শক কমিটি এ উদ্যোগকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্যাকসিন বিতরণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। এ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে ছাত্রছাত্রীরা ভ্যাকসিন না পেলে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ খোলা কঠিন হবে। ১৮ বছরের উর্ধে ছাত্রছাত্রীদের ভ্যাকসিন দেয়ার সম্ভাব্যতা যাচাই করা প্রয়োজন।
×