ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাইডেন প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন ব্লিংকেন

পরাজয় মেনে নিতে ট্রাম্পকে মিত্রদের অনুরোধ

প্রকাশিত: ২২:৫০, ২৪ নভেম্বর ২০২০

পরাজয় মেনে নিতে ট্রাম্পকে মিত্রদের অনুরোধ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য সমাপ্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রার্থী জো বাইডেনের কাছে হেরেছেন। ‘হারলেও গদি ছাড়ব না’ এমন পণ থেকেই ট্রাম্প ভোটে কারচুপির অভিযোগ এনে মামলা করেছেন। তিনি কোনভাবেই পরাজয় মেনে নিতে রাজি নন, স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন সেটিও। কিন্তু, এটি যে বাড়াবাড়ি তা তাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার লোকের বড় অভাব। তবে এবার তার মিত্র হিসেবে পরিচিত নিউজার্সির সাবেক গবর্নর ক্রিস ক্রিস্টি পরাজয় মেনে নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ট্রাম্পকে। খবর বিবিসি, সিএনএন, আলজাজিরা, রয়টার্স, ফক্স নিউজ, ইউএসএ টুডে ও লস এ্যাঞ্জেলেস টাইমসের। ক্রিস্টির অনুরোধ, পরাজয় ঢাকতে ট্রাম্প যেসব প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তা যেন বন্ধ করেন। নির্বাচন বিষয়ে প্রেসিডেন্টকে আইনী সহায়তায় গঠিত দলকে নিউজার্সির সাবেক এ গবর্নর অভিহিত করেছেন, ‘জাতীয় লজ্জা’ হিসেবে। তিনি অভিযোগ এনেছেন, ভোটে কারচুপি হয়েছে। তাই তিনি ফল মেনে নেবেন না। নির্বাচনী ফলকে বিতর্কিত করতে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে তার পক্ষ থেকে করা হয়েছে মামলাও। ইতোমধ্যে কিছু মামলা খারিজ করা হয়েছে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণের অভাবে। অনেক রিপাবলিকান তার প্রচেষ্টাকে সমর্থন জানালেও দলের মধ্যেই তার আইনী পদক্ষেপের বিরোধিতা করছেন এমন লোকও রয়েছে। ট্রাম্পের এমন পদক্ষেপ রিপাবলিকানরা মেনে নিচ্ছে না। দলের মধ্য থেকেও কেউ কেউ ট্রাম্পকে পরাজয় মেনে নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু তাতে ট্রাম্পের কোন বিকার দেখা যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিস্টি যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রবিবার এক সাক্ষাতকারে ট্রাম্পকে নির্বাচনে পরাজয় মেনে নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কোন ভনিতা না করেই বলছি, প্রেসিডেন্টের লিগ্যাল টিম জাতির জন্য বিব্রতকর। নিজেকে ‘প্রেসিডেন্টের সমর্থক’ এবং তাকে ‘দুইবার ভোট দিয়েছেন’ উল্লেখ করে ক্রিস্টি বলেন, এ আইনী দল, কোর্টরুমের বাইরে নির্বাচনে কারচুপি নিয়ে গলা ফাটায় কিন্তু কোর্টের ভেতরে তারা তাদের অভিযোগ প্রমাণে যথেষ্ট তৎপর নয়। নির্বাচনের ফল হয়েছে। আর এতে যেটা হয়নি সেটা হয়েছে মনে করে আমরা কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে পারি না। বাইডেন প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন ব্লিংকেন ॥ নতুন প্রেসিডেন্ট শপথ নেবেন ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি। এরমধ্যে নির্বাচনে জয়ী হয়ে দেশ পরিচালনায় নিজের পছন্দমতো প্রশাসনকে সাজাতে কাজ শুরু করে দিয়েছেন বাইডেন। অভিজ্ঞ কূটনীতিক এ্যান্টনি ব্লিংকেন হতে যাচ্ছেন বাইডেন প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী (সেক্রেটারি অব স্টেট)। বাইডেনের ঘনিষ্ঠ একজনের বরাত দিয়ে সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংবাদমাধ্যম চ্যানেল নিউজ এশিয়ার খবরে বলা হয়, বাইডেন প্রশাসনের সেক্রেটারি অব স্টেট হতে চলেছেন অভিজ্ঞ কূটনীতিক এ্যান্টনি ব্লিংকেন। এর আগে তিনি ওবামা প্রশাসনের ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট এবং ডেপুটি ন্যাশনাল সিকিউরিটি এ্যাডভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, সেক্রেটারি অব স্টেট হিসেবে এ্যান্টনি ব্লিংকেনকে নিয়োগের ঘোষণা মঙ্গলবার দেয়া হবে। যদিও এ বিষয়ে বাইডেনের ট্রানজিশন টিম ও ব্লিংকেন কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। রবিবার জো বাইডেন-কমলা হ্যারিস প্রশাসনের হোয়াইট হাউসের হবু চীফ অব স্টাফ রন ক্লেইন জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার বাইডেন তার মন্ত্রিসভার প্রথম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নাম ঘোষণা করতে পারেন। ‘ট্রাম্পের লিগ্যাল টিম জাতির কলঙ্ক’॥ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আইনী সহায়তা দানকারী টিমকে জাতির কলঙ্ক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন নিউজার্সির সাবেক গবর্নর ক্রিস ক্রিস্টি। একইসঙ্গে নির্বাচনের ফল বদলে দিতে ট্রাম্প এখনও যেসব চেষ্টা চালাচ্ছেন তা বন্ধ করে বাইডেনের কাছে হার স্বীকার করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। রবিবার এবিসি টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এ আহ্বান জানান ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত ক্রিস ক্রিস্টি। এর আগে ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প, তার জামাতা জ্যারেড কুশনার ও ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্প পরাজয় মেনে নেয়ার আহ্বান জানান। যদিও ট্রাম্পের বড় দুই ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র ও এরিক ট্রাম্প প্রেসিডেন্টকে পরাজয় মেনে না নেয়ায় সমর্থন জানিয়েছেন। ৩ নবেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ২০ দিনের মতো পার হয়ে গেলেও ট্রাম্প এখনও কোন প্রমাণ ছাড়াই কারচুপির অভিযোগ করে যাচ্ছেন। তার নিজের দলের অনেকেই এর পক্ষে কথা বললেও বিরোধিতাকারীদের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। এই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন ক্রিস ক্রিস্টি। এবিসি টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাতকারে ক্রিস ক্রিস্টি বলেন, যদি স্পষ্টভাবে বলি তাহলে ট্রাম্পের আইনজীবীরা যা করছেন তা একদম জাতীয় পর্যায়ের বিব্রতকর কার্যকলাপ। তিনি বলেন, কোর্টরুমের বাইরে সারাক্ষণ নির্বাচনে জালিয়াতির কথা বলে যাচ্ছে ট্রাম্পের দল। কিন্তু কোর্টরুমের ভেতরে তারা জালিয়াতির যুক্তি দেখাচ্ছে না। আমি অনেকদিন ধরে প্রেসিডেন্টের সমর্থক। তাকে আমি দুইবার ভোট দিয়েছি। কিন্তু যা ঘটেনি তবুও অনবরত সেটাই ঘটেছে বলে দাবি করতে পারি না আমরা। ২০১৬ সালের নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে প্রথম যে গবর্নর ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছিলেন তিনি ক্রিস ক্রিস্টি। এবারের নির্বাচনে প্রার্থীদের যেসব বিতর্ক আয়োজিত হয়েছে তাতে ট্রাম্পকে বক্তব্যের প্রস্তুতি নিতেও তিনি সহায়তা করেছেন। ক্রিস ক্রিস্টি বিশেষ করে একজন আইনজীবী সিডনি পাওয়েলের কঠোর সমালোচনা করেছেন। গত বৃহস্পতিবার কোন প্রমাণ ছাড়াই পাওয়েল দাবি করেন, ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতির ভোটের মাধ্যমে লাখ লাখ ভোট বাইডেনের পক্ষে বদলে দেয়া হয়েছে। যার পক্ষে কোন যুক্তি তিনি দেখাতে পারেননি। তিনি আরও বলেন, জো বাইডেন ‘কমিউনিস্টদের অর্থে জিতেছেন’। ট্রাম্প টিমের এক বিবৃতিতে অবশ্য সিডনি পাওয়েল তাদের সঙ্গে আর কাজ করছেন না; এমন ইঙ্গিত দিয়েছে। যদিও ট্রাম্প নিজে এক টুইট বার্তায় সিডনি পাওয়েলকে তার লিগ্যাল টিমের সদস্য হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। আরও যেসব রিপাবলিকান হার স্বীকারের আহ্বান জানিয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন মেরিল্যান্ডের গবর্নর ল্যারি হোগান। তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেভাবে ভোটের ফল উল্টে দিতে চাচ্ছেন তাতে যুক্তরাষ্ট্রকে দিন দিন একটি অরাজক দেশ বলে মনে হচ্ছে। এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ট্রাম্পের উচিত এতো গলফ খেলা বাদ দিয়ে নির্বাচনে হার মেনে নেয়া। হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে মিশিগানের প্রতিনিধি ফ্রেড আপটন বলেছেন, তার অঙ্গরাজ্যের ভোটাররা নিজেদের রায় দিয়েছেন। নর্থ ড্যাকোটার সিনেটর কেভিন ক্রেমার বলেছেন, প্রশাসন হস্তান্তরের সময় পার হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে, ব্যাটল গ্রাউন্ড স্টেট হিসেবে পরিচিত পেনসিলভানিয়াতে ডাকযোগে পাঠানো ব্যালট বাতিল করার যে মামলা করেছিলেন ট্র্রম্প তা খারিজ করে দিয়েছে আদালত। যা ট্রাম্পের যা বড় ধরনের এক ধাক্কা। বিচারক ম্যাথিউ ব্র্যান বলেছেন কতগুলো ভিত্তিহীন আইনী যুক্তিতর্ক তার কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। গলফ খেলা বন্ধ করে হার মেনে নেয়া উচিত ট্রাম্পের ॥ স্ত্রী, মেয়ে ও জামাতার পর এবার ট্রাম্পকে পরাজয় মেনে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তার নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির প্রভাবশালী নেতারাও। ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের কাছে হারের ফল পাল্টে দেয়ার চেষ্টা থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। তাদের মধ্যে একজন মেরিল্যান্ডের গবর্নও ল্যারি হোগান। তিনি বলেছেন, নির্বাচনের ফল উল্টে দিতে ট্রাম্প শিবিরের ধারাবাহিক চেষ্টায় ‘মনে হওয়া শুরু হয়েছে যে আমরা একটি ব্যানানা রিপাবলিক’। ‘ট্রাম্পের উচিত গলফ খেলা বন্ধ করা এবং হার মেনে নেয়া,’ টুইটারে দেয়া এক পোস্টে এমনটিই বলেছেন এ রিপাবলিকান গবর্নর। এদিকে নিউজার্সির সাবেক গবর্নর ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ ক্রিস ক্রিস্টিও ট্রাম্পকে একই পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি ভোটে কারচুপির অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া প্রেসিডেন্টের আইনী দলকে ‘জাতীয় লজ্জা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। মিশিগান থেকে নির্বাচিত হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের সদস্য ফ্রেড উপটন বলেন, তার অঙ্গরাজ্যের ভোটাররা বাইডেনকে বেছে নিয়ে তাদের রায় জানিয়ে দিয়েছেন। নর্থ ডাকোটার কেভিন ক্রেমার এনবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ‘ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরুর সময় পেরিয়ে যাচ্ছে’ বলে সতর্ক করেছেন। ফল না মেনে বিক্ষোভ করছেন ট্রাম্প সমর্থকরা। তবে রিপাবলিকান থিংক ট্যাঙ্করা ট্রাম্পকে পরাজয় মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বাইডেনকে নিয়ে চীনের আশঙ্কা ॥ নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বাইডেন যুদ্ধ বাধাতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চীন সরকারের এক উপদেষ্টা। ২২ নবেম্বর সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএনআই এই তথ্য জানিয়েছে। চীন সরকারের ওই উপদেষ্টার নাম ঝেং ইয়ংনিয়ান। তিনি চীনের শেনঝেনভিত্তিক চিন্তন প্রতিষ্ঠান এ্যাডভান্সড ইনস্টিটিউট অব গ্লোবাল এ্যান্ড কনটেমপোরারি চায়না স্টাডিজের ডিন। সম্প্রতি দেয়া এক সাক্ষাতকারে ঝেং ইয়ংনিয়ান মত দেন, বাইডেন প্রশাসনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক স্বয়ংক্রিয়ভাবে উন্নতি হওয়ার বিভ্রম বেজিংয়ের অবশ্যই ত্যাগ করা উচিত। ভবিষ্যতে ওয়াশিংটনের আরও কঠোর অবস্থানের ব্যাপারে বেজিংয়ের প্রস্তুত থাকা উচিত বলেও মত দেন চীন সরকারের এই উপদেষ্টা। তার মতে, ভাল দিন শেষ হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতের প্রতিটি সুযোগ চীনের কাজে লাগানো উচিত বলে মনে করেন ঝেং ইয়ংনিয়ান। চীন সরকারের ওই উপদেষ্টা বলেন, চীনকে দমনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রে উভয় দলের মধ্যে এখন ঐকমত্য আছে। ফলে, বাইডেন হোয়াইট হাউসে প্রবেশের পর চীনের ব্যাপারে মার্কিন জনগণের অসন্তোষের সুযোগটি তিনি নিতে পারেন। বাইডেন খুবই দুর্বল প্রেসিডেন্ট হবেন বলে মনে করছেন ঝেং ইয়ংনিয়ান। তার মতে, বাইডেন যদি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলোর সমাধান করতে না পারেন, তাহলে তিনি কূটনৈতিক উপায়ে কিছু করবেন। তিনি চীনের বিরুদ্ধে কিছু করবেন। চীন সরকারের ওই উপদেষ্টার ভাষ্য, ট্রাম্প গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার উন্নয়নে আগ্রহী নন। কিন্তু বাইডেন আগ্রহী। ট্রাম্প যুদ্ধে আগ্রহী নন। কিন্তু একজন ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট যুদ্ধ শুরু করে দিতে পারেন। বাণিজ্য, মানবাধিকার, করোনাসহ নানান ইস্যুতে ট্রাম্প প্রশাসনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটেছে। বাইডেন জয়ী হলে কিছুটা সময় নিয়ে অনেকটা সতর্কতার সঙ্গে তাকে অভিনন্দন জানায় চীন। বাইডেনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত নন পুতিন ॥ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বলেছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের যেকোন নেতার সঙ্গেই কাজ করতে প্রস্তুত আছেন। তবে তিনি এখনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হিসেবে বাইডেনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত নন। পুতিন বলেন, আমেরিকান জনগণের আস্থা আছে, এমন যেকারও সঙ্গে আমরা কাজ করব। সেই আস্থা শুধু এমন প্রার্থীকেই দেয়া যেতে পারে, যার বিজয় বিরোধী দল দ্বারা স্বীকৃত। অথবা নির্বাচনের ফল আইনসংগতভাবে বৈধতা পায়। এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে পুতিনের ইঙ্গিত, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে সব ধরনের আইনগত বিষয়ের সমাধান বা কোন একজন প্রার্থীর পরাজয় স্বীকার না করা পর্যন্ত বিজয়ীকে অভিনন্দন জানাবেন না তিনি। বিজয়ী বাইডেনকে অভিনন্দন না জানানোর বিষয়ে ক্রেমলিনের সিদ্ধান্তকে স্রেফ একটি ‘আনুষ্ঠানিকতা’ হিসেবে বর্ণনা করেন পুতিন। তার ভাষ্য, এখানে অন্য কোন উদ্দেশ্য নেই। ক্রেমলিনের এমন সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করবে কি না, এই প্রশ্নে পুতিন বলেন, সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কিছু নেই; বরং এই সম্পর্ক আগেই নষ্ট হয়ে আছে।
×