ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা কুড়িগ্রামের সবুজপাড়া গ্রামবাসীর

প্রকাশিত: ২১:৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২০

বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা কুড়িগ্রামের সবুজপাড়া গ্রামবাসীর

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ চলতি বছর ভয়াবহ বন্যার ক্ষত কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে কুড়িগ্রাম সদরের ঘোগাসহ ইউনিয়নের সবুজপাড়া গ্রামের মানুষ। পরপর ৫ দফা বন্যায় খেয়ে গেছে মাঠের সব ধান। এখন সেই মাঠে ও বাড়ির আঙ্গিনায় সবুজ সবজি লাগিয়ে নিজেদের ক্ষতি কমাতে চেষ্টা করছে তারা। এছাড়াও হাঁস-মুরগি ও ভেড়া পালন করে নিজেদের ভাগ্য বদলানোর স্বপ্ন দেখছে। তাদের এই উন্নয়নমুখী কর্মকাণ্ড দেখে উৎসাহী হয়ে উঠেছে পাশর্^বর্তী কয়েক গ্রামের মানুষ। শনিবার সকালে সরজমিন গিয়ে জানা যায়, দুধকুমর, গঙ্গাধর ও ব্রহ্মপুত্র নদের মোহনায় অবস্থিত ওই গ্রামের মানুষ প্রতিবছর বন্যাকে মোকাবেলা করে আসছে। এবারের স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার ফলে এসব পরিবারের আমনের বীজতলা, মাঠের ফসল, বাড়ির চারপাশের শাকসবজি ও হাঁস-মুরগির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় নষ্ট হয়ে যায় ঘরবাড়ি ও গবাদি পশুর খাদ্য খড়ের গাদা। এই ক্ষতি কমাতে গ্রামের ১৭০টি পরিবারের লোকজন বিভিন্ন পরামর্শের মাধ্যমে সহযোগিতা পেয়ে ঘুরে দাঁড়ায়। তারা শুরু করে বাড়ি বাড়ি বিষমুক্ত সবজি চাষ, হাঁস-মুরগি ও ভেড়া পালনের কাজ। এতেই পাল্টে যেতে থাকে তাদের জীবনমান। বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ পেয়ে তা কাজে লাগিয়ে গ্রামে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধেও কাজ শুরু করে। এরই মধ্যে প্রশাসনের লোকজনের সহযোগিতায় তারা সবুজপাড়া গ্রামে একটি বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করেছে। এই গ্রামের মৃত ছাত্তার আলীর স্ত্রী আহিলা বেগম জানান, বাড়ির উঠানে চাল কুমড়া লাগিয়েছি। ইতোমধ্যে ৪ হাজার টাকার বিষমুক্ত কুমড়া বিক্রি করেছি। নিজেরাও খাচ্ছি। এছাড়াও তিনি জানালেন, একটি ভেড়া পেয়েছিলাম। গত দুই বছরে একটি ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে ঘর ঠিক করেছি। এখন ৪টা ভেড়া রয়েছে। একই গ্রামের আইয়ুব আলীর স্ত্রী ছবুরা বেগম ও আমিনুলের স্ত্রী রুবিনা বেগম জানান, আগে হাট থেকে সার কিনে আনতাম। এখন গোবর দিয়ে নিজেরা সার তৈরি করছি।
×