ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শিক্ষার্থী সাওদা হত্যা ॥ রাসেলের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ১৩:১৭, ২৩ নভেম্বর ২০২০

শিক্ষার্থী সাওদা হত্যা ॥ রাসেলের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন

অনলাইন রিপোর্টার ॥ আলোচিত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাওদা বেগম হত্যা মামলায় একমাত্র আসামি রাসেল মাতুব্বরের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিন-এর হাইকোর্ট এই রায় দেন। আদালতে আসামির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও অ্যাডভোকেট শিশির মনির। এর আগে হাইকোর্টে আসা ডেথ রেফারেন্স ও আসামির করা আপিলের বিষয়ে উভয়পক্ষের শুনানি শেষ হয়। এরপর রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান রাখেন হাইকোর্ট। ২০১৫ সালের ১ জুন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সাওদা হত্যা মামলায় একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাসেল মাতুব্বরের মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন বরিশালের আদালত। মামলায় মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য-শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১ জুন বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ মো. আনোয়ারুল হক এই রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাসেল মিয়া মাতুব্বর ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে এ হত্যাকাণ্ডের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে পড়তেন। তার বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটায়। একই উপজেলার আব্দুল রাজ্জাকের মেয়ে নিহত সাওদা (২২) বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘প্রেমের সম্পর্ক রাখতে রাজি না হওয়ায়’ ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাওদাকে কুপিয়ে হত্যা করে রাসেল। আদালতের নথি সূত্রে জানা যায়, ওইদিন সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে নগরীর ব্রাউন কম্পাউন্ড এলাকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার সময় সাওদার সঙ্গে রাসেলের তর্ক হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাওদাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে রাসেল। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় সাওদাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। ওইদিনই বিকেলে ঢাকা মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান সাওদা। এ ঘটনায় ৫ সেপ্টেম্বর রাতে সাওদার মা সাহিদা বেগম বাদী হয়ে বরিশাল কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
×