ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যোগাযোগ নেটওয়ার্কে করোনায়ও অর্থনীতির চাকা অনেক সচল

প্রকাশিত: ২২:১৪, ২৩ নভেম্বর ২০২০

যোগাযোগ নেটওয়ার্কে করোনায়ও অর্থনীতির চাকা অনেক সচল

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগ সরকার দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার ‘ব্যাপক নেটওয়ার্ক’ গড়ে তুলেছে বলেই দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর সারাদেশে যোগাযোগের একটা ব্যাপক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছি। এর ফলে আজকে আমাদের অর্থনীতির চাকা অনেক সচল এবং এই করোনাকালেও আমাদের অর্থনীতির চাকা অনেক সচল। সরকার আরও অনেক কাজ শুরু করেছে, যেগুলো অবশ্যই সম্পন্ন করা হবে ইনশাল্লাহ। রবিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মাগুরা, নারায়ণগঞ্জ ও যশোরে তিনটি সেতু এবং পাবনায় একটি স্বাধীনতা চত্বরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে সতর্ক এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের আরেকটি ধাক্কা আসছে। প্রথমবারের অভিজ্ঞতা দিয়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক হতে হবে। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে দ্বিতীয় ধাক্কা সরকারের পক্ষে সামলানো সম্ভব বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর একটা নতুন ধাক্কা আসছে বিশ্বব্যাপী। আমাদের এখন থেকে সেই প্রস্তুতিও আমরা নিচ্ছি। কারণ এর ফলে মানুষ যেন আর ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। কারণ প্রথমদিকে আমাদের অতটা অভিজ্ঞতা ছিল না। এখন অন্তত অভিজ্ঞতা হয়েছে। কাজেই নিজেকে সুরক্ষিত রাখা এবং অপরকে সুরক্ষিত করা, এই দায়িত্বটা সকলকে পালন করতে হবে এবং আমরা এটা করতে পারব বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। তাছাড়া যে ভ্যাকসিনটা আবিষ্কার হচ্ছে, সেটা এরই মধ্যে ক্রয় করার জন্য আমরা আগাম টাকা পয়সা দিয়ে এই জিনিসটা বুকড করে রেখে দিয়েছি। কাজেই সেইদিক দিয়ে দেশবাসীর চিন্তার কিছু নেই। আমরা অন্যান্য সবকিছু বাদ দিয়ে আগে মানুষকে কিভাবে সুরক্ষিত করব, সেগুলো আমরা দৃষ্টি দিচ্ছি বলে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে মুজিববর্ষের কর্মসূচী জাঁকজমকভাবে পালন করতে না পারার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ব্যাপক আয়োজন ছিল। কিন্তু যেভাবে আমরা করতে চেয়েছিলাম ঠিক সেভাবে করতে পারিনি। করোনাভাইরাস নামে এমন একটা ভাইরাস সারাবিশ্বকে অচল করে দিল। শুধু বাংলাদেশ বলে না, সমগ্র বিশ্বের মানুষই কিন্তু এর জন্য দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। পাশাপাশি করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির সময় সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের সহায়তা প্রদান করার জন্য, দেশের মানুষের পাশে থাকার জন্য প্রজাতন্ত্রের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সশস্ত্র বাহিনী, আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের ভূমিকার কথা স্মরণ করে তিনি তাঁদের প্রতি ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে এসে সারাদেশে ব্যাপক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে সমর্থ হয়েছে বলেই এখনও দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর আমরা সারাদেশে যোগাযোগের ব্যাপক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছি। যার ফলে, আজকে আমাদের অর্থনীতির চাকা অনেক সচল। করোনার মধ্যেও সরকারের নানা সাফল্যের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, দারিদ্র্যসীমা যেমন আমরা কমিয়ে এনেছি, মাথাপিছু আয় আমরা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি, মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া ফেরিঘাট রাস্তায় শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর ১০ হাজার মিটার চেইনেজে ৫৭৬ দশমিক ২১৪ মিটার দীর্ঘ বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক) সেতু, মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার মধুমতি নদীর ওপরে এলাংখালী ঘাটে ৬০০ দশমিক ৭০ মিটার দীর্ঘ ‘শেখ হাসিনা সেতু’, যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলায় সড়ক ও জনপথের যশোর-খুলনা সড়কের ভাঙ্গাগেট (বাদামতলা) হতে আমতলা জিসি ভায়া মরিচা, নাউলী বাজার সড়কে ভৈরব নদীর ওপরে ৭০২ দশমিক ৫৫ মিটার দীর্ঘ সেতু এবং পাবনায় ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলম বকুল স্বাধীনতা চত্বর’ উদ্বোধন করেন। উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন শেষে সচিবালয় প্রান্তে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি গণভবন প্রান্ত ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, মাগুরা, নারায়ণগঞ্জ, যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও পাবনার বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলম বকুল স্বাধীনতা চত্বরে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিল। এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রান্তে এবং রূপগঞ্জ প্রান্তে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীসহ অন্য সংসদ সদস্যরা যুক্ত ছিলেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এম তাজুল ইসলাম এবং সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। গণভবন প্রান্তে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস। পাবনায় ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলম বকুল স্বাধীনতা চত্বর’ থেকে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্কয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে নবনির্মিত তিনটি সেতু এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল স্বাধীনতা চত্বর-এর ওপর দুটি পৃথক ভিডিও চিত্র প্রদর্শিত হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত মানুষের জীবন মান যে উন্নত করা যায় সেটাও আমরা প্রমাণ করেছি। সেইসঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বিদ্যুত সুবিধা নিশ্চিত করা এবং উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করার সুযোগ, বিদেশ থেকে বিনিয়োগ আনার ব্যবস্থা, সর্বোপরি অর্থনীতির চাকাটা যাতে সব সময় সচল থাকে সেসব দিকে বিশেষভাবে নজর দিয়েই তাঁর সরকার পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং উন্নয়নের কাজ বাস্তবায়ন করছে। বারবার সরকার গঠনের সুযোগ দিতে দেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তারা আমাদের বারবার নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার সুযোগ দিয়েছে। সে কারণেই কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ প্রকৃতপক্ষে ১৯৭৫ সালের পর বাংলাদেশ যে অন্ধকার যুগে ছিল, একটু আলোর ঝলকানি পেয়েছিল ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে। বাংলাদেশের জন্য একটা স্বর্ণযুগ ছিল। কিন্তু আবারও ২০০১ সালের পর যে অত্যাচার-নির্যাতন শুরু হলো, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারল না, একটা চক্রান্তের ফলে। বাংলাদেশের মানুষের জীবন থেকে আবারও প্রায় ৮টা বছর পিছিয়ে গেল। ২০০৯ সালে যখন ফের আমরা সরকার গঠন করি, তারপর থেকে ধারাবাহিকভাবে সরকারে আছি বলেই আজকে দেশের মানুষের উন্নতিটা করতে পারছি। গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত মানুষের যে জীবনমান উন্নত করা যায়, সেটাও আমরা প্রমাণ করেছি। সেই সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বিদ্যুতসহ অর্থনীতির চাকাটা সবসময় যেন সচল থাকে, সবদিকে বিশেষভাবে নজর দিয়েই কাজ করার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের কথা তুলে ধরেন সরকা প্রধান শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ একটা সংগঠন। আওয়ামী লীগ হঠাৎ করেই কোনকিছু করেনি। আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে তখন থেকেই কিন্তু আমাদের পরিকল্পনা ছিল। জাতির পিতা কিন্তু এসব পরিকল্পনা বহু আগেই করে গেছেন। তিনি আমাদের যে সংবিধান দিয়ে দিয়েছিলেন, সেই সংবিধানেই কিন্তু এদেশের মানুষের সার্বিক উন্নয়নের কথা, মৌলিক চাহিদা পূরণের কথা স্পষ্ট উল্লেখ করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ অনুসরণ করেই আমরা উন্নয়নের পরিকল্পনাটা নেই। ফলে অন্য কিছু করবার প্রয়োজন হয়নি এবং বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতাগুলো যদি শুনি, সেখানেই কিন্তু স্পষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে যে, কীভাবে এদেশের উন্নতি হতে পারে। আমরা সেটাই অনুসরণ করে সব সময় প্রস্তুতি নিয়েছি, পরিকল্পনা নিয়েছি এবং যখনই সরকারে এসেছি, তা বাস্তবায়ন করেছি। যার শুভ ফলটা দেশের মানুষ পাচ্ছে বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে জাতির পিতার আত্মত্যাগ ও অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাবা-মা ভাই সব হারিয়ে রিক্ত নিঃস্ব হয়ে বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলাম। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই আকাক্সক্ষাটা পূরণ করব, সেই একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে। এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতেই হবে। যা আমার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তরিকভাবে চেয়েছিলেন। বাংলাদেশের মানুষকে ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত এবং উন্নত জীবন দেবেন, তাঁর জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী এ সময় তিনটি সেতু নির্মাণের কারণে স্থানীয় জনগণের জীবন মানে পরিবর্তন ঘটবে বলে সরকার আশা করে এ সময় পাবনার বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুলের জীবনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, রফিকুল ইসলাম বকুল একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। তিনি (শেখ হাসিনা) যখন ’৮১ সালে প্রবাস জীবন থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দেশে ফেরেন, তখন বারবার বাধার সম্মুখীন হন। তখন যে কয়েকজন তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং সাহসে ভর করে সে কঠিন অবস্থার মোকাবেলা করেছেন তার মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল অন্যতম। স্মৃতি রোমন্থনে বহু বছর আগে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় এই রফিকুল ইসলাম বকুলের তাঁর একটি স্মরণীয় ঘটনা অনুষ্ঠানে ধুরে কী প্রতিকূলতার মধ্যে তাঁকে রাজনীতি করতে হয়েছে তারও একটি নমুনা উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের আসার পর থেকে বারবার আমি বাধাগ্রস্ত হতাম, বিএনপি প্রতিটা ক্ষেত্রে আমাকে বাধা দেয়। কোপাকুপি, বোমা হামলা, গাড়ি আক্রমণ, মঞ্চ পুড়িয়ে দেয়া, জনসভায় হামলা সবই চলতো। তিনি বলেন, ‘আমি যখন খুলনা থেকে রাজশাহী রওনা হলাম পথিমধ্যে হাজারো মানুষের ঢল। ভিড় ঠেলে যেতে অনেক সময় লেগে গিয়েছিল। ঈশ্বরদী পৌঁছাতেই রাত্রি প্রায় ১১টা বেজে যায়। সেখানে পৌঁছে শুনলাম আমাদের নাটোরের জনসভার মঞ্চ ভেঙ্গে দিয়েছে। সেখানে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ করে তাদের কুপিয়েছে, গুলি করেছে, আমাকে সেখানে যেতে দেবে নাভ তখন আমি সেখানেই সিদ্ধান্ত নিলাম আমি পিছিয়ে যাব না। আমি যাবই।’ প্রধানমন্ত্রী স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে আরও বলেন, আমরা তখন তাঁকে বকুল মামা (মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল) বলে ডাকতাম। তাঁকে বললাম আমার সঙ্গ আপনার কর্মী দিতে হবে এবং ট্রাক ভাড়া করতে হবে যেহেতু অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মঞ্চ পুড়িয়েছে, বিএনপি আমাদের ঢুকতে দেবে না, কিন্তু আমরা ঢুকবোই। সেখানে ৪০/৫০ জন কর্মীও একটি বাহিনী নিয়ে ট্রাক ভাড়া করে বকুল মামা আমাদের সঙ্গে ছিলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমাদের গাড়ি ছিল না, খুলনার লাইনের একটা বাস ভাড়া করে আমরা যাচ্ছিলাম, মানুষের চাপে সে বাসের কয়েকটি গ্লাসও ভেঙ্গে যায়। নাটোরে ঢোকার মুখের রেল ক্রসিংয়ে প্রচণ্ড বোমাবাজি শুরু করল বিএনপি। বকুল মামা তাঁর লোকজন নামিয়ে আক্রমণকারীদের ধাওয়া দিল। যদিও সেখানে বিএনপি সেদিন একটি ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করেছিল। তবুও আমরা সেখানে আহতদের উদ্ধার করে একটি এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে ট্রিপ করে করে অসংখ্য আহত নেতাকর্মীকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে রাস্তার ওপরই একটা জনসভা করে আসলাম। সেই চরম দুঃসময়ে এই রফিকুল ইসলাম বকুল আমার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, এই পাবনা ছিল সর্বহারাদের একটা জায়গা। আর স্বাধীনতার পর পর সব স্বাধীনতাবিরোধী পাকিস্তানের দোসররা আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টির সঙ্গে মিশে গিয়েছিল। যার জন্য একদিকে যেমন ছিল আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টি অন্যদিকে জামায়াতের একটা বিরাট ঘাঁটি। একাত্তরের বিজয়ের পরপরই আল্ট্রা লেফটিস্ট পার্টি, রাজাকার, সর্বহারারা সব একসঙ্গে জুটে গেল সেখানে। যে কারণে সেখানে সব সময়ই একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি ছিল এবং আমাদের বহু নেতাকর্মীকে সেখানে হত্যা করা হয়। শেখ হাসিনা বলেন, এক সময় সেখানে দলের গ্রুপিং থাকায় মুকুল মামাকে এক সময় দলত্যাগ করতে হলেও সে গ্রুপিং এখন নেই। একটা মানুষ দল ছেড়ে চলে যেতে পারে কিন্তু একটা মানুষের যে অবদান আমি সেটাকে কখনও অস্বীকার করি না এবং আমি তা করব না। তাঁর অবদানটা আমাদের মনে রাখতে হবে। কারণ সে একজন মুক্তিযোদ্ধা। তাঁর নামে এই চত্বরটি করায় তিনি অঞ্জন চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
×