ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ইপিএলে টটেনহ্যামের ‘স্পেশাল’ জয়

প্রকাশিত: ২০:৫১, ২৩ নভেম্বর ২০২০

ইপিএলে টটেনহ্যামের ‘স্পেশাল’ জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ২০১৪ সালের আগস্টের পর এই প্রথম শীর্ষে থেকে অন্তত একটি দিন পার করেছে টটেনহ্যাম হটস্পার। শনিবার শক্তিশালী ম্যানচেস্টার সিটিকে পরাজিত করে এই কীর্তি গড়েছে জোশে মরিনহোর দল। নিজেদের মাঠে স্পার্শরা এদিন ২-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে সাবেক চ্যাম্পিয়ন পেপ গার্ডিওলার দলকে। সেইসঙ্গে ২০১৬ সালের অক্টোবরের পর এই প্রথম ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে ম্যানচেস্টার সিটিকে ব্যাক টু ব্যাক ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ উপহার দিল টটেনহ্যাম হটস্পার। প্রিমিয়ার লীগে দিনের অন্যান্য ম্যাচে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে চেলসি, ব্রাইটন এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও। অথচ বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। ২২টি শটের পাঁচটি ছিল লক্ষ্যে। কিন্তু একটি সুযোগেরও পূর্ণতা দিতে পারেনি পেপ গার্ডিওলার শিষ্যরা। অন্যদিকে লক্ষ্যে থাকা দুটি শট থেকেই গোল আদায় করে নিল জোশে মরিনহোর টটেনহ্যাম হটস্পার। নিজেদের মাঠে এদিন ম্যানচেস্টার সিটিকে স্বাগত জানায় টটেনহ্যাম হটস্পার। ম্যাচের শুরু থেকেই দুর্বার গতিতে এগিয়ে যেতে থাকে স্বাগতিক দল। প্রথমার্ধের ৫ মিনিটেই এগিয়ে যায় স্পার্শরা। টাঙ্গায় এনডোমবেলের উঁচু করে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাম পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন টটেনহ্যামের দক্ষিণ কোরিয়ার ফরোয়ার্ড সন হিউং মিন। চলতি মৌসুমে এটা তার লীগের ৯ম গোল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় এখন শীর্ষে অবস্থান তার। ৮ গোল করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন জেমি ভার্ডি, ডোমিনিক কালভার্ট লেউইন এবং মোহাম্মদ সালাহ। ৭টি করে গোল নিয়ে তৃতীয় স্থানে অবস্থান যথাক্রমে হ্যারি কেন আর প্যাট্রিক বামফোর্ডের। প্রথম গোলের ৮ মিনিট পর গোল ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পায় টটেনহ্যাম। ১৩তম মিনিটে দারুণ এক আক্রমণে সার্জ অরিয়ের ও স্টিভেন বার্গউইনের পা ঘুরে বল পেয়ে যান সন। তার কাটব্যাকে ফাঁকা জালে বল পাঠান হ্যারি কেন। কিন্তু তিনি অফসাইডে থাকায় ব্যবধান বাড়েনি। পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে গার্ডিওলার শিষ্যরা। ২৭ মিনিটে গোল শোধও করে ফেলে সফরকারী ডিফেন্ডার আইমেরিক লাপোর্ত। তবে তাকে খুঁজে নেয়া জেসুসের হাতে বল লাগায় সিটির সমতায় ফেরার উল্লাস টেকেনি। ভিএআরের সাহায্যে গোল বাতিল করে দেন রেফারি। যে কারণে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় স্বাগতিক শিবির। দ্বিতীয়ার্ধেও দুর্দান্ত খেলতে থাকে মরিনহোর দল। তার ফলও পেয়ে যায় স্পার্শরা। ৬৫ মিনিটেই যে জয় নিশ্চিত করে ফেলে মরিনহোর শিষ্যরা। ইংলিশ তারকা হ্যারি কেন মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে দৌড়ে পাস দেন লো সেলসোকে। প্রথম ছোঁয়ায় ডি-বক্সে ঢুকে জায়গা করে নিয়ে কোনাকুনি শটে এদারসনকে পরাস্ত করেন স্পার্শদের এই আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার। এর পরের সময়টাতে আর কোন দল গোলের দেখা পায়নি। যার ফলে ২-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে স্পেশাল ওয়ানের শিষ্যরা। বিশ্ব ক্লাব ফুটবলের অন্যতম সেরা দুই কোচ জোশে মরিনহো আর পেপ গার্ডিওলা। দুই তারকা কোচের কৌশলের লড়াইয়ে এবারও শেষের হাসি হেসেছেন স্পেশাল ওয়ানখ্যাত মরিনহো। এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিলেন তারা। পেপ গার্ডিওলার শিষ্যদের সঙ্গে সর্বশেষ সাক্ষাতেও একই ব্যবধানে জিতেছিল মরিনহোর দল। গার্ডিওলার পজিশনভিত্তিক ছকের জবাব দিতে পাল্টা আক্রমণনির্ভর কৌশল সাজিয়েছিলেন মরিনহো। তাতেই মিলেছে সুফল। অধিকাংশ সময় বল দখলে রাখা ম্যানসিটির আক্রমণের জোয়ার গতি হারিয়েছে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে। স্বাগতিকদের জমাট রক্ষণ ভাঙ্গার উপায় খুঁজে পাননি কেভিন ডি ব্রুইন-গ্যাব্রিয়েল জেসুসরা।
×