ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ফিলো ও ওয়াইজ এ্যাপে আশার আলো দেখছে কাশ্মীরীরা

প্রকাশিত: ২০:০২, ২৩ নভেম্বর ২০২০

ফিলো ও ওয়াইজ এ্যাপে আশার আলো দেখছে কাশ্মীরীরা

কাশ্মীরের শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট ব্যবহারকে অনেকটা সহজ করে দিয়েছে ফিলো ও ওয়াইজ নামের দুটি এ্যাপ। মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসন বাতিলের পর গত আগস্টে ইন্টারন্টে বন্ধ করার বিরুদ্ধে স্বোচ্চার ছিলেন মুবিন মাসুদী ও ইমবেসাত আহমেদ। তারা একটি আইটি ফার্ম চালান যেটি প্রতিযোগিতামূলক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করে থাকে। তবে চলতি বছরের শুরুর দিকে ওই অচলাবস্থা শিথিল করা হলেও ইন্টারনেটে গতির কম থাকায় বা উচ্চগতি ইন্টারনেট না থাকার কারণে ১০ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতির সম্মুখীন হয়। তাদের লেখাপড়া ও পরীক্ষা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজেসমূহ ক্ষতি হয়। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের আশার আলো দেখান মুবিন ও ইমবেসাত। তারা ওই সব শিক্ষার্থীদের জন্য এমন দুটি এ্যাপ তৈরি করেছেন, যেটি কম গতির ইন্টারনেটেও ভালভাবে কাজ করে। মুবিন ও ইমবেসাত ভারতের স্বনামধন্য ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (আইআইটি) থেকে স্মাতক করেছেন। এদিকে দেশটির হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকার তথাকথিত ‘নিরাপত্তার’ দোহাই দিয়ে কাশ্মীরের প্রায় সব মোবাইল নেটওয়ার্কগুলোর ফোরজি ইন্টারনেট সেবার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে। চলতি মাস ধরে এই নিষেধাজ্ঞা ১৬ মাসে পৌঁছাবে। অন্যদিকে ভারতের অন্য অংশের শিক্ষার্থীরা জুম ও অন্য ইন্টারনেটভিত্তিক এ্যাপস ব্যবহার করে তাদের শিক্ষা-কার্যক্রমগুলো চালিয়ে নিচ্ছে। ভারতের কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রনালয় ফিলো ও ওয়াইজ এ্যাপসকে দেশের সবগুলো স্বুল-কলেজে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। ২৮ বছর বয়সী ইমবেসাত বলেন, ‘আমি আমার একটি অভিজ্ঞতা কথা স্মরণ করতে পারি। সে সময় পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের বোঝানোর জন্য একটি ভিডিও দেখানোর দরকার ছিল। আমি ছবি এঁকে দেখাচ্ছিলাম ও উদাহরণ দিচ্ছিলাম। কিন্তু শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারছিল না। তখন আমি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ইন্টারনেটে গিয়ে পড়ার বিষয় ক্লিক করেও নেট স্লো থাকার কারণে কাজটি করতে পারিনি। সেটি আসলেই একটি খারাপ সময় ছিল আমার জন্য।’ অন্যদিকে মুবিন তৈরি করেছেন ওয়াইজ এ্যাপ। তার ভাষায়, ‘এটি কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের প্রয়োজন মেটাতে ধীরগতির ইন্টারনেটে কাজ করতে তৈরি করা হয়েছে। -আলজাজিরা
×