ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

কুলিয়ারচরে ইমাম হত্যা মামলায় বোনের যাবজ্জীবন, ভাইয়ের ৭ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ১৭:১৮, ২২ নভেম্বর ২০২০

কুলিয়ারচরে ইমাম হত্যা মামলায় বোনের যাবজ্জীবন, ভাইয়ের ৭ বছরের কারাদণ্ড

নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ ॥ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার উসমানপুর কোনাপাড়া গ্রামে মসজিদের ইমাম ও মক্তবের শিক্ষক হাফেজ মিজান মিয়াকে (২৬) হত্যার দায়ে গৃহবধূ ময়না আক্তারকে (২৬) যাবজ্জীবন ও মনির হোসেনকে (২২) সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। মামলায় অভিযুক্ত দুই আসামি সম্পর্কে ভাইবোন হয়। রায়ে ময়না আক্তারকে ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন, দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং ২০১/৩৪ ধারায় ৭ বছরের কারাদণ্ডসহ আরও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া অপর আসামি মনির হোসেনকে ২০১/৩৪ ধারায় ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। আজ রবিবার সকালে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামিদের উপস্থিতিতে উপরোক্ত রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী ময়না আক্তার কুলিয়ারচরের কোনাপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী এবং মনির হোসেন পাশ্ববর্তী মনোহরপুর গ্রামের দুলু মিয়ার ছেলে। মামলার বিবরণে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই পূর্ব ভরাটি গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে হাফেজ মোঃ খোকন ওরফে মিজানুর রহমান ওরফে মিজান মিয়া জেলার কুলিয়ারচরের উসমানপুর কোনাপাড়া গ্রামে একটি পাঞ্জাখানা মসজিদে প্রায় ৫ ধরে ইমামতি ও মক্তবে আরবি শিক্ষকতা করতেন। ২০১৬ সালের ১৪ আগস্ট এশার নামাজের পর হইতে পরদিন বিকেলে মধ্যে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা পরস্পর যোগসাজসে হাফেজ মিজানকে গলায় রশি দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। পরে নিহতের লাশ বস্তাবন্দি করে গুম করাকালে স্থানীয়রা দেখে ফেলে। এ সময় লাশ বহনকারী অজ্ঞাত ব্যক্তিরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ব্যাপারে নিহতের ভাই নূরুল হক বাদী হয়ে ময়না আক্তার ও মনির হোসেনের নামাল্লেখ করে কুলিয়ারচর থানায় একটি হত্যা মামলা (নং-১১) দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার এসআই মোঃ কোহিনূর মিয়া অভিযুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ২২ এপ্রিল আদালতে চূড়ান্ত চার্জশীট দাখিল করেন। সাক্ষ্য-জেরা শেষে রবিবার আদালতের বিচারক উপরোক্ত রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি এ্যাডভোকেট যগেশ^র রায় ও আসামিপক্ষে এ্যাডভোকেট আব্দুল কুদ্দুছ মামলাটি পরিচালনা করেন।
×