ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধাপরাধী সাকা ও মুজাহিদের পক্ষ নেন মামুনুল হক

প্রকাশিত: ২৩:২৩, ২২ নভেম্বর ২০২০

যুদ্ধাপরাধী সাকা ও মুজাহিদের পক্ষ নেন মামুনুল হক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার ডাক দেয়া উগ্র মৌলবাদী নেতা মুহাম্মদ মামুনুল হকের যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে অবস্থান নেয়ার তথ্য প্রমাণ ফাঁস হয়েছে। যুদ্ধাপরাধী বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী (সাকাচৌ) ও জামায়াত নেতা মুজাহিদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে কথা বলেছিলেন মামুনুল হক। সাকাচৌর ফাঁসি কার্যকরের পর ২০১৫ সালে ‘একদিন এই হত্যার বিচার হবেই’ এমন ফেসবুক স্ট্যাটাস শেয়ার করে উগ্রবাদী এ নেতা বলেছিলেন, ‘আমরাও সেই সুদিনের প্রত্যাশায়।’ খেলাফতে মজলিশের মহাসচিব ও হেফাজতের বিতর্কিত নতুন কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হক সাকা চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকরের পর লিখেছিলেন, ‘জয়তু সালাউদ্দিন।’ মামুনুল হকের ফেসবুক ওয়ালে গিয়ে দেখা যায়, যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকরের পর ২০১৫ সালের ২২ নবেম্বর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে থাকা আন্দোলনকর্মী ও গণমাধ্যম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ওইদিন সকাল ১০টায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন শেষে সাকার ছেলের দেয়া একটি বক্তব্য তুলে ধরেন মামুনুল হক। ‘একদিন এই হত্যার বিচার হবেই’ সাকার ছেলের এমন ফেসবুক স্ট্যাটাস শেয়ার করেন। যেখানে ‘অবৈধ রায়ের মাধ্যমে সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে তার ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেছেন, একদিন না একদিন এই হত্যার বিচার হবেই। ‘অবৈধ রায়ের মাধ্যমে একজন বেকসুর মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ড ন্যায়বিচারের জন্য দেশের মানুষ একদিন ডাক দেবে। একদিন না একদিন এই হত্যার বিচার হবেই। প্রাণভিক্ষার বিষয়ে তিনি (সাকা) বলেন, আমি মার্সি (ক্ষমা) চাই। তবে তা রাব্বুল আল-আমিনের কাছে, কোন বান্দার কাছে নয়।’ হুম্মামের বক্তব্য শেয়ার করে মামুনুল মন্তব্য লেখেন, ‘সাবাশ ফজলুল কাদের ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীদের যোগ্য উত্তরসূরি!! আমরাও রইলাম সেই সুদিনের প্রত্যাশায়।’ যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে একইদিন ‘কিছু তো বলতেই হয়’ শিরোনামে ফেসবুকে মামুনুল হক আরেকটি স্ট্যাটাস দেন। মামুনুল লিখেন, ‘সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী আর আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদকে ফাঁসি দেয়া হলো। যে সকল মিডিয়া রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে ইসলাম ও ইসলামপন্থীদের কোনরকম উপস্থিতি সহ্য করতে পারে না তাদেরই উল্লসিত দেখা যাচ্ছে। দম্ভের পতন হয়েছে মর্মে নানা রকম শিরোানামে সংবাদ প্রচার করছে। আমার প্রশ্ন হলো, মৃত্যু মুখেও যারা নিজেদের অবস্থান থেকে একচুলও নড়ল না, বরং তাদের অপমান করবার জন্য সর্বশেষ ষড়যন্ত্র হিসেবে প্রাণভিক্ষার নামে নাটক সাজানো হলো। তোমরা চেয়েছিলে তারা তোমাদের কাছে নতি স্বীকার করুক। কিন্তু ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার আগেও তারা অবিচল থাকল। পরাজয়ের কালিমা কি তবে তোমাদের কপালেই লেপটে গেল না? সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সাহসী ভূমিকাই বরং আগামী প্রজন্মের কাছে অনুসরণীয় হয়ে থাকবে। তার ঐতিহাসিক উক্তিগুলো বহুদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে হিন্দুস্তান বিরোধী মুসলিম মানসপটে। জয়তু সালাউদ্দিন। জয়তু বাংলাদেশ। জয়তু ইসলাম।
×