ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

‘একটি লৌকিক অথবা অলৌকিক স্টিমার’ নাটকের চতুর্থ মঞ্চায়ন

প্রকাশিত: ২৩:২২, ২২ নভেম্বর ২০২০

‘একটি লৌকিক অথবা অলৌকিক স্টিমার’ নাটকের চতুর্থ মঞ্চায়ন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভয়কে জয় করে সরব হয়েছে রাজধানীর নাট্যাঙ্গন। তাই সপ্তাহের সাতদিন নাটক না হলেও প্রতি শুক্র ও শনিবার নাটক দেখার সুযোগ পাচ্ছেন নাট্যপ্রেমীরা। করোনার ভীতি কাটিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে নাট্য প্রদর্শনী। সেই সুবাদে শনিবার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার দুই মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হলো দুটি নাটক। নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে দর্শকরা দেখতে পেয়েছে ঢাকা থিয়েটারের নতুন প্রযোজনা ‘একটি লৌকিক অথবা অলৌকিক স্টিমার’। এটি ছিল চতুর্থ মঞ্চায়ন। অন্যদিকে এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে পরিবেশিত হয়েছে সাত্ত্বিক নাট্য সম্প্রদায়ের হাসির নাটক ‘পেজগী’। ঢাকা থিয়েটারের ৪৯তম প্রযোজনা একটি লৌকিক অথবা অলৌকিক স্টিমার। আনন জামান রচিত নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন শহীদুজ্জামান সেলিম। প্রযোজনাটি প্রসঙ্গে শহীদুজ্জামান সেলিম বলেন, এই নাটকের গল্প মহামারী নিয়ে। কিন্তু অবাক করার ব্যাপার হলো, নাটকটি যখন নাট্যকার আনন জামান লিখেছেন তখন করোনা পরিস্থিতি ছিল না। নাটকটি আমার হাতে আসে ২০১৮ সালে। তখনই গল্পটি ভাল লেগে যায়। ২০২০ সালে এসে করোনা পরিস্থিতির কারণে নাটকটি ভীষণ রকম সমসাময়িক হয়ে উঠেছে। করোনা পরিস্থিতি না হলেও আমরা এই সময়ে নাটকটি মঞ্চে করতাম। নাটকের গল্পটি এই সময়ের জন্য ভীষণ রকম প্রাসঙ্গিক। নাটকটির মঞ্চ পরিকল্পনা করেছেন আফজাল হোসেন। রোজী সিদ্দিকীর পোশাক পরিকল্পনায় আলোক পরিকল্পনা করেছেন ওয়াসিম আহমেদ। নাটকটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন রাহুল আনন্দ। সাত্ত্বিক নাট্য সম্প্রদায়ের নবম প্রযোজনা পেজগী। জে. বি. পি মলিয়েরের গল্প অবলম্বনে অপু আমানের রূপান্তরে নাকটটির নির্দেশনা দিয়েছেন কামরুজ্জামান তুপা। শনিবার নাটকটির ১১৮তম মঞ্চায়ন হয়। পেজগী নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র পেজগী মিয়া প্রকৃতপক্ষে একজন কাঠমিস্ত্রি। তার চরিত্রের বৈশিষ্ট্য হলো দিনভর মদ্যপান, অহর্নিশি মিথ্যা বলা এবং ইংরেজীতে কথার বলার ব্যর্থ চেষ্টা চালানো। বউয়ের প্ররোচনায় ঘটনাচক্রে পেজগী মিয়া হয়ে যায় হেকিম। আর চিকিৎসক হিসেবে তার দায়িত্ব পড়ে বিত্তশালী আজগর আলীর একমাত্র বাকশক্তি হারিয়ে ফেলা কন্যা লিপিকে সুস্থ করা। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে লিপি সম্পূর্ণ সুস্থ। সে তার প্রেমিক আকাশকে পাওয়ার জন্য খালা কুলসুমের কুবুদ্ধিতে অসুস্থতার অভিনয় শুরু করে। এই সুযোগে চতুর পেজগী একইসঙ্গে মিয়া লিপি, আকাশ ও আজগর আলীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করে নেয়। এদিকে আকাশ মিয়া হঠাৎ করে প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক হয়ে যায়। এতে আজগর আলী তার মেয়ে লিপিকে আকাশের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হয়। এই প্রেক্ষাপটে পেজগী মিয়ার সব জোচ্চুরি উন্মোচিত হয়েছে। অবশেষে নাকানিচুবানি খেতে হয় পেজগী মিয়াকে। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকের গল্প। প্রযোজনাটিতে পেজগী মিয়া চরিত্রে অভিনয় করেছেন মতিউর সুমন। এছাড়া অন্যান্য চরিত্রে রূপ দিয়েছেন সাহানা সালমা, তুষার, সালাম মিয়া, সগীর মোস্তফা, সীমা মনসুর, এমদাদ সুমন, ঝুমু প্রমুখ।
×