ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

অর্থ লোপাট ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

ছাত্র অধিকার পরিষদে শুরু হয়েছে গণপদত্যাগ

প্রকাশিত: ২৩:২১, ২২ নভেম্বর ২০২০

ছাত্র অধিকার পরিষদে শুরু হয়েছে গণপদত্যাগ

বিভাষ বাড়ৈ/মুনতাসির জিহাদ ॥ নারী সহকর্মীকে ধর্ষণ, ত্রাণের টাকা লোপাট, অপরাজনীতি, শীর্ষ নেতাদের স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে নূর-রাশেদদের ছাত্র অধিকার পরিষদে বিরোধ ক্রমেই প্রকাশ্য হয়ে উঠেছে। শীর্ষ তিন নেতা নুরুল হক নূর, রাশেদ খান, ফারুককে অবাঞ্ছিত করে বিদ্রোহীদের নতুন কমিটি ঘোষণার প্রেক্ষাপটে ক্ষুব্ধ সহকর্মীদের বয়ানেই বেড়িয়ে আসছে ‘সাধারণ ছাত্র’র আড়ালে নূরদের অপরাধমূলত কর্মকাণ্ডের চিত্র। অর্থ লোপাট, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অভিযোগ এনে পদত্যাগ করছেন একের পর এক নেতা। এবার পদত্যাগ করেছেন সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট খুলনার শীর্ষ পাঁচ নেতা। ১৫ দিনে পদত্যাগ করেছেন কেন্দ্র, ঢাকাসহ ও বিভাগীয় পর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের ৪০ জন। অন্য বিভাগীয় ইউনিট নেতারাও পদত্যাগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ তুলে নেতাদের পদত্যাগ ছাড়াও ডাকসুর সাবেক ভিপি নূর ও তার কেন্দ্রীয় নেতাদের বেইমান, বাটপার ও চোর হিসেবে আখ্যা দিচ্ছেন খোদ সহকর্মীরাই। সংগঠনে ভাঙ্গনের পর গত কয়েক দিন কথিত ‘সাধারণ ছাত্র অধিকার’ পরিষদের কর্মকাণ্ডের খোঁজ নিতে গিয়ে এমন তথ্যই বেড়িয়ে এসেছে। গত ১৫ অক্টোবর সহকর্মী নারীদের ধর্ষণ, নারী লাঞ্ছনা, ত্রাণের টাকা লুটপাট, ফায়দা লোটার রাজনীতি, আর শীর্ষ কয়েক নেতার স্বেচ্ছাচারিতায় ভেঙ্গে যায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। একই সঙ্গে কোটা সংস্কার ও সড়ক আন্দোলননে আলোচিত এ সংগঠন থেকে অপকর্মের জন্য শীর্ষ তিন নেতা নুরুল হক নূর, রাশেদ খান, ফারুক হোসেনকে অবাঞ্ছিত করে ২২ সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। সহকর্মীর ধর্ষণ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ের নেতারা। সংগঠনটির আগের নাম ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ নামেই নেতৃবৃন্দ এবার নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছেন। নূর রাশেদদের সংগঠনের পরিচিত মুখ ও যুগ্ম আহ্বায়ক এ পি এম সুহেল হয়েছেন নতুন কমিটির আহ্বায়ক। নূর রাশেদদের সংগঠনের আরেক পরিচিত মুখ ও যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ঢাকা কলেজের আহ্বায়ক ইসমাইল সম্রাট হয়েছেন নতুন কমিটির সদস্য সচিব। এছাড়া সাবেক দুই যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ উল্লাহ মধু ও মুজাম্মেল মিয়াজী নতুন কমিটির উপদেষ্টার দায়িত্ব নিয়েছেন। সংগঠনের প্রতিবাদী এ নেতারা ইতোমধ্যেই নূর-রাশেদ গ্রুপের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়ে ঘর গোছানোর কাজ শুরু করেছেন। পরিষদের ঢাকা মহানগর শাখা কার্যক্রম সমন্বয়ের লক্ষ্যে নতুন নেতৃত্বের দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। সংগঠনের নতুন কমিটি ঢাকা মহানগরের দায়িত্ব বণ্টন করেছে। ঢাকা মহানগর উত্তরে সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক সৈয়দ সামিউল ইসলাম। সহ সমন্বয়ক হচ্ছেন সাজ্জাদুর রহমান রাফি ও আফরান নাহিদ নিশো। ঢাকা মহানগর দক্ষিণে প্রধান সমন্বয়ক হচ্ছেন একেএম রাজন হোসাইন। সহ সমন্বয়ক হচ্ছেন নাদিম খান নিলয় ও পৃথু নাঈম। নূরদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের খবর প্রকাশ্যে আসার মধ্যেই প্রতিবাদী এ নেতারা বলেছেন, নূর স্বেচ্ছাচারী আচরণ করেন, সংগঠনের আর্থিক বিষয়ে অস্বচ্ছতা তৈরি করেছেন। ধর্ষণের শত অপরাধ করেও ফায়দা লোটার রাজনীতি করছেন নূর ও তার সহযোগী অপরাধীরা। নতুন সংগঠকদের আহ্বায়ক এ পি এম সুহেল বলেছেন, মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থেকে সরে গিয়ে মানুষের আবেগ ও বিশ্বাস নিয়ে নোংরা রাজনীতি, নূর-রাশেদদের আর্থিক অস্বচ্ছতা, স্বেচ্ছাচারিতা, সহযোদ্ধাদের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে অবমূল্যায়ন করা এবং সম্প্রতি এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর করা ধর্ষণের মামলাকে নোংরা রাজনীতিকীকরণের অপচেষ্টাও চলছে। সংগঠনের অভ্যন্তরে চাপা ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হয় ও এর বিরোধিতা করছেন সংগঠনের তৃণমূল থেকে শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ। সুহেল আরও বলেন, গণমানুষের কথা বলে সাধারণ মানুষের আবেগকে পুঁজি করে, মুখের আড়ালে মুখোশ পরে আছে ভয়ঙ্কর কিছু সত্য, যা সংগঠনের প্রায় সবাই জানে, কিন্তু প্রকাশ করতে চায় না। এমনকি প্রবাসী অধিকার পরিষদ নামে নূর যে সংগঠন বানিয়েছে তার একমাত্র উদ্দেশ্য, আমাদের প্রবাসী ভাইবোনদের কষ্টার্জিত টাকা লোপাট করা। সংগঠনের অভ্যন্তরে চাপা ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হয়। সংগঠনের স্বার্থে এবং তাদের শোধরানোর সুযোগসহ নানা বিষয় চিন্তা করে তারা এতদিন চুপ ছিলেন। কিন্তু এখন আর তা সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে সংগঠন ভাঙ্গনের পর এবার বিভিন্ন ইউনিটে শুরু হয়েছে ভাঙ্গন। বিভিন্ন ইউনিট থেকে নূরদের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটি ঘোষণা করা হয় গত ২ নবেম্বর। ঢাকা মহানগর উত্তরে সভাপতি হন মোল্লা রহমতুল্লাহ। তবে কমিটি ঘোষণার দুই দিনের মধ্যেই মোল্লা রহমতুল্লাহ সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি নেন। নূর কমিটি দেয়ার দুই দিনের মাথায় ৪৫ জনের মধ্যে ৩৪ জনই পদত্যাগ করেন সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ এনে। এ পর্যায়ে পদত্যাগের বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য ছয় দিনের মাথায় সেই কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। সংগঠনের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়কের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে ঢাকা মহানগরের পদত্যাগ করা নেতা বলেন, কমিটিতে মহানগর শাখার পুরনো ও ত্যাগী সহযোদ্ধাদের অবমূল্যায়ন করে বিভাগীয় সমন্বয়কদের যোগসাজশে নতুন সংগঠন নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের পদায়ন করা হয়েছে, যা সংগঠনের নীতি ও আদর্শের পরপন্থী। সুস্পষ্ট প্রমাণসহ অভিযোগ করার পরেও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় স্বজ্ঞানে, স্বেচ্ছায় আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করছি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণে এক বছরের জন্য সভাপতির দায়িত্ব পান শাহ মুহাম্মদ সাগর। তবে তিনি তার ফেসবুক এ্যাকাউন্টে লিখেন, প্রাণের এই সংগঠনের জন্য হয়তো কখনও বড় কোন সেক্রিফাইস করার সুযোগ হয়নি। তবে কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপোসও করিনি, ইনশাআল্লাহ এখনও করব না। ভাল থাকুক প্রাণের সংগঠন। ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটিতে বিভাগীয় সমন্বয়কদের ‘সুদৃষ্টি’ থাকা মূল্যায়নের অভিযোগ এনে পদত্যাগ করেছেন এই কমিটির দফতর সম্পাদক হাসিবুর রহমান। আহ্বায়কের কাছে পাঠানো পদত্যাগ পত্রে তিনি লিখেছেন, আমরা গ্রুপিং এর প্রমাণ আপনাদের হাতে তুলে দিয়েছি, কিন্তু তার পরেও আপনারা আপনাদের অবস্থানে অটুট। এই দুর্নীতি মেনে নিয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদে কাজ করা আমার পক্ষে সম্ভব না। এরপর গত সপ্তাহে সাবেক ভিপি নূর ও তার কেন্দ্রীয় নেতাদের বেইমান, বাটপার ও চোর হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন সহকর্মীরাই। সংগঠনে নূরের অত্যন্ত কাছের সহকর্মী হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুনতাসীর একটি ভয়েজ রেকর্ড ফাঁস হওয়ার পর থেকেই সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় চলছে। ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরের সংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটিকে বেইমান, বাটপার ও চোর বলে গালাগালি করেছেন ক্ষুব্ধ নেতা মুনতাসীর মাহমুদ। ফেসবুক মেসেঞ্জারে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম উদ্দিনকে দেয়া একটি ভয়েজ রেকর্ডে তিনি বলেন, ‘জসিম ভাই, মেজাজটা একবারে খারাপ করাইবেন না। আপনাদের আহ্বায়ক গ্রুপ (মেসেঞ্জার গ্রুপ) থেকে বেয়াদব সোহরাব কেন্দ্রের নাম দিয়ে আমারে রিমুভ করছে, কয়দিন হইছে, কালকে সবাই প্রতিবাদ করছে, সব জেলা কমিটির সবাই প্রতিবাদ করছে। এখন পর্যন্ত এড করাইছেন? কি জন্য করেন নাই? কোন কথা বলতে পারছেন? আমি কি ভিপি নূররে যাইয়া বলুম যে ভাই আমারে এড কর, আমারে এড কর। আমরা কি ফকির? কেন্দ্রের কেন সমালোচনা করা যাবে না?’ ভয়েজ রেকর্ডে তিনি আরও বলেন, ‘এই তারেক ভাই কি করছে? পুরা সংগঠনকে কালার (কলঙ্কিত) করছে। প্রবাসী অধিকার পরিষদ, (গালি) পরিষদ করেন মিয়া (রাগান্বিত স্বরে)। কে বলছে আপনারে এগুলো করতে? অবশ্যই সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের মতামত নিয়ে করতে হবে। কেন্দ্র কোন কাজটা সবার মতামত নিয়ে করছে? সংগঠন করেন, (গালি) সংগঠন করেন মিয়া। মেজাজ খারাপ করেন। সবগুলোরে আজকের মধ্যে রিমুভ দিবেন আইজকা (প্রচণ্ড রেগে), নাইলে কোন সংগঠন থাকব না। মিয়া ফাজলামি করেন। আপনার সঙ্গে তো কোন, আপনারে আমি একা বলতেছি না। আপনার সঙ্গে আমার রাগ নাই। কিন্তু কেন্দ্রের এগুলো (গালি), চোর, বাটপার। অন্যায় সহ্য করা আর করা একই অপরাধ।’ ঠিক এমন এক অবস্থায় গত দুদিনে নূরদের প্রতি চরম অসন্তোষ প্রকাশ করে খুলনা জেলা ও মহানগর কমিটির চার নেতা পদত্যাগ করেছেন। তারা হলেন, খুলনা জেলা শাখার সহসভাপতি নিশাত তাসনিম, খুলনা মহানগরের সভাপতি আরিফুল ইসলাম আরিফ, অর্থ সম্পাদক শান্ত আহমেদ এবং খুলনা মহানগরে সদ্য ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্বপ্রাপ্ত গাজী আরিফ। ছাত্র অধিকার পরিষদকে গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত করতে যারা কথা বলেন তাদেরকে অহেতুক বহিষ্কার করা হয় দাবি করে পদত্যাগ করেছেন খুলনা জেলা সহ-সভাপতি নিশাত তাসনিম বলেন। এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, সেই কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরু হতে দেশ ও জাতির কল্যাণের নিমিত্তে ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরের সঙ্গে তার দলে কাজ করে আসছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় ছাত্র অধিকার পরিষদ, খুলনা জেলা শাখায় সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করি। কিন্তু সংগঠনের অভ্যন্তরীণ চরম বিশৃঙ্খলা, স্বৈরাচারী মনোভাব ও আরও সংবেদনশীল কিছু বিষয় প্রত্যক্ষভাবে জানার পরে আমি চরম হতাশ ও ক্ষুব্ধ। খুলনা মহানগর সভাপতি আরিফুল ইসলাম আরিফও পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। এই ঘোষণার পর পরেই ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আরিফুল ইসলাম আরিফকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর খুলনা মহানগর কমিটির সহ-সভাপতি গাজী আরিফকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু গাজী আরিফকে খুলনা মহানগর কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়ার দুই দিন পরেই তিনিও পদত্যাগ করেন। পদত্যাগপত্রে তিনি বলেন, আমাকে গত ১৮ নবেম্বর রাতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এবং আমাদের সভাপতি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে, যা হাস্যকর এবং নীতি নৈতিকতার চূড়ান্ত অধঃপতন ভিপি নূরের সংগঠনের। আরিফ আরও বলেন, আমি এই সংগঠনের মাধ্যমে দেশ ও জাতির মুক্তির লক্ষ্যে কাজ করব বলে মনস্থির করেছিলাম। কিন্তু ভিপি নূরসহ রাশেদ, ফারুকদের একের পর এক আর্থিক অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, মানুষের আবেগ নিয়ে নোংরা রাজনীতি ও আরও বিভিন্ন সংবেদনশীল তথ্য জানার পরে আমি মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ।
×