ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মৃত নারী ধর্ষণ

দেশের মর্গগুলোতে নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশ

প্রকাশিত: ২৩:০১, ২২ নভেম্বর ২০২০

দেশের মর্গগুলোতে নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ মর্গে ছয় মৃৃত নারীকে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়ার পর দেশের মর্গগুলোতে নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশ। সিআইডি বলছে, গত বছরের ২৯ মার্চ থেকে চলতি বছরের ২৩ আগস্ট পর্যন্ত অন্তত ছয় কিশোরীর মৃতদেহ সম্ভোগ করা হয়েছে। তাদের বয়স ছিল ১১ থেকে ১৭ বছর। নজিরবিহীন এ অপরাধ করে বিকৃত মানসিকতার মর্গ সহযোগী মুন্না ভগত (২০)। বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতারের পর শুক্রবার সন্ধ্যায় মুন্না ভগত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মুন্নার গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের জুরান মোল্লার পাড়ায়। সে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের কোন কর্মচারী নয়। সোহ্রাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের মর্গে সহকারী যতন কুমারের ভাগ্নে হওয়ার সুবাদে মুন্না সেখানে কাজ করে। রাতের বেলাও সে ওখানেই থাকত। এদিকে আদালতে জবানবন্দীতে অস্বাভাবিক অপকর্মের কথা স্বীকার করলেও সে কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত নয় বলে জানায়। তার ভাষায়, মৃত মানুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক দোষের কিছু না। তবে সিআইডি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মুন্না যে অপরাধ করেছে, সেজন্য তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ রেজাউল হায়দার জানান, বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনা এই প্রথম ধরা পড়েছে। প্রযুক্তির কল্যাণে একটি মেডিক্যাল কলেজ মর্গের ঘটনা ধরা পড়েছে। সারাদেশের অন্য হাসপাতালগুলোতেও অনেক ডোম কাজ করে। তারা যে এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে না সেটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। খুঁজলে আরও অনেক তথ্য পাওয়া যেতে পারে। তাই অন্যান্য হাসপাতালে সিআইডির নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। অতিরিক্ত ডিআইজি জানান, সিআইডি ফরেনসিক ল্যাবের ডিএনএ ডাটাব্যাংকে সংরক্ষিত ৩০ হাজারের বেশি প্রোফাইলের মধ্যে ছয় হাজারের বেশি প্রোফাইলের ক্ষেত্রে এখনও অপরাধী শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এসব প্রোফাইলে মুন্নার মতো অপরাধী আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
×