ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কবিতা

প্রকাশিত: ২৩:৪৭, ২০ নভেম্বর ২০২০

কবিতা

প্রিয় রোকোনালীর ডায়েরি থেকে মাকিদ হায়দার পাবনার সাঁথিয়া হইতে শাহেদ নিজামী শেরপুর হইতে জামান কাজী এবং জয়পুরহাটের কসাই আলীম ঢাকার মালিবাগের গোলাম রসুল, একদিন, সূর্যোদয়ের পূর্বেই আমার প্রিয় মাতুল রোকোনালীর রাজাবাজারের বাসগৃহে আসিয়া অতি প্রত্যুষে উপস্থিত হইলেন, আগমনের হেতু এবং উদ্দেশ্য বর্ণনা করিলেন সকলেই একযোগে। বলিলেন, আলোর সাক্ষাৎ পাইয়া ধন্য হইলাম এই প্রত্যুষে, এবং এখনি যাইতে হইবে আমাদের সহিত কুর্মিটোলা ক্যান্টনমেন্টে। যেহেতু আমরা পূর্বেই শ্রুত হইয়াছি আপনার পরিচিত টিক্কা খান, ওমরাও খান, আজিকেই নিয়াজীকে বলিতে হইবে না বলিলে, সোনার পাকিস্তান দুই টুকরা করিয়া দিবে রাক্ষুসী ইন্দিরা বিবি, যেন সেই কর্ম করিতে না পারে, টুঙ্গিপাড়ার মাঝি মাল্লাদের সর্দার খোকা সেখ এই কথাগুলি বলিতে না পারিলে, সোনার পাকিস্তান বলিয়াই ক্রন্দন শুরু করিলেন সমবেত চারজন, প্রিয় রোকোনালী মাতুল আমার, তক্ষুণি বলিলেন এক্ষুণি রাখুন আমার সহিত। ওমরাও নিয়াজীর সহিত দেখা সাক্ষাৎ শেষ করিয়া ঐদিনই দফতর বণ্টন করিলেন সাঁথিয়ার শাহেদ নিজামী জয়পুরহাটের কসাই আলীম, এবং শেরপুরের জামান কাজী দুজনাই, বলিলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের মস্তক ছিন্ন করিয়া অগ্নি সংযোগ করিবেন গোলাম রসুল। সেই সাত সকালে যাহাই সিদ্ধান্ত হইয়াছিল তাহাই বাস্তবায়ন করিলেন সদল বলের চারজন, প্রিয় মাতুল শুধু বলিয়া দিলেন কাহাকে কখন মারিতে হইবে প্রয়োজনে, সিদ্ধান্ত লইবেন আমার নিকট হইতে। মাত্র নয় মাস পরে একদিন গভীর রাত্রে মাতুল আমার পালাইয়া যাইবার সময়, কাঁদিয়া তাহার গোপন ডায়েরি আমার হাতে দিয়া, বলিলেন, ডায়েরিতে যাহা কিছু লিখিয়াছি তাহা সর্বৈব সত্য। হিন্দুদের ধর্মান্তরিত না করিলে, তাহারা নরকে যাইতো যেন না যায়, সেই জন্য পাবনা গোপাল চন্দ্র ইনস্টিটিউশনের শিবাজী মোহন রায় চৌধুরীর নূতন নাম দিয়াছি মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম-
×