অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের মিশ্রবস্থায় লেনদেন শেষ হয়েছে। লেনদেন শেষে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। তবে টাকার অংকেও লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। উভয় শেয়ারবাজারেই তালিকাভুক্ত মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর দর কমেছে বেশি। তবে স্বল্পমূলধনী বেশ কিছু কোম্পানির দর বেড়েছে। শেয়ারবাজারে মূলত লেনদেন কমে যাওয়ার কারণেই জাঙ্কের মতো কোম্পানিগুলোর চাহিদা বেড়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দিনশেষে ডিএসইর সার্বিক সূচক আগের দিনের চেয়ে ৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪৮৭৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১১২৮ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৭০১ পয়েন্টে।
ডিএসইতে খাতওয়ারি লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ওষুধ এবং রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলো। বে´িমকো ফার্মার ওপর ভর করে দিনটিতে সার্বিকভাবে খাতটির মোট ১৩১ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। খাতটি সার্বিকভাবে মোট লেনদেনের ২২ দশমিক ৩২ শতাংশ লেনদেন করেছে। দর কমলেও তালিকাভুক্ত মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর লেনদেনের আগ্রহ ছিল। দিনটিতে খাতটির মোট ৯৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক ৬১ ভাগ দখল করেছে। তালিকাভুক্ত বিমা কোম্পানিগুলোর লেনদেনের পরিমাণ দাড়িয়েছে ৮১ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের প্রায় ১৪ শতাংশ।
প্রধান শেয়ারবাারে দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৯৩টির, দর কমেছে ১৬৯টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৯টির।
ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৫৮৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। যা আগের দিন থেকে ৩৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৪৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকার।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ১৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৯৬৬ পয়েন্টে। দিনভর সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৩৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৭৩টির, কমেছে ২১২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০টির দর। সিএসইতে ১৪ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
