ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কোতোয়ালির ওসিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

প্রকাশিত: ২৩:৩৬, ১৮ নভেম্বর ২০২০

কোতোয়ালির ওসিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

কোর্ট রিপোর্টার ॥ চাঁদাবাজির অভিযোগে রাজধানীর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছেন এক ব্যবসায়ী। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মোঃ নোমানের আদালতে মোঃ রহিম নামে এক ব্যবসায়ী মামলাটি দায়ের করেন। অপর আসামিরা হলেন- এসআই আনিসুল ইসলাম, এএসআই খায়রুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও সোর্স দেলোয়ার হোসেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, রাত ৮টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার চুনকুটিয়া ব্রিজের ওপর এলে অজ্ঞাতনামা তিন ব্যক্তি রহিমের পথরোধ করে। তারা নিজেদের ঢাকা জেলার ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়। রহিমের নামে ডিবিতে মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে বলে জানায়। পরে তারা রহিমকে একটি দোকানে নিয়ে তল্লাশি করে। তবে তার কাছ থেকে কিছু উদ্ধার করতে পারেনি। দোকানে উপস্থিত লোকজন রহিমকে ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করে। তারপরও তারা রহিমকে দোকান থেকে বের করে নিয়ে যায়। ওই অজ্ঞাতনামা তিনজন রহিমকে সিএনজিতে করে নিয়ে বাবু বাজার ব্রিজের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে এসআই আনিসুল ইসলাম, এএসআই খায়রুল ইসলাম ও সোর্স দেলোয়ার উপস্থিত ছিলেন। এই তিন আসামি তাদের কাছ থেকে ৬৫০ ইয়াবা বের করে বলে এগুলো রহিমের কাছ থেকে পাওয়া গেছে। আনিসুল ইসলাম বলেন, যদি ফাঁসতে না চাস তাহলে দুই লাখ টাকা জোগাড় কর। রহিম তার কাছে থাকা এক ভরি স্বর্ণের চেন, নগদ ১৩ হাজার টাকা তুলে দেন। দাবিকৃত দুই লাখ টাকা দিতে না পারায় তারা রহিমকে রাত সোয়া ৯টার দিকে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে আসে। পরে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে রহিম তাদের ৫০ হাজার টাকা দেয়। রাত ১১ টা ৪০ মিনিটের দিকে ওসি মিজানুর রহমান রহিমকে ডেকে নেন এবং বলেন, তোকে বাঁচিয়ে দিলাম। ছোট মামলা দিলাম, দুই একদিনের মধ্যে বের হয়ে আসতে পারবি। অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, দুই লাখ টাকা না পেয়ে রহিমের বিরুদ্ধে ১০ পিস ইয়াবার মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। ১৭ দিন জেলে থেকে ৩০ অক্টোবর জামিনে মুক্তি পান রহিম।
×