ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

করোনায় দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুহার বেড়েছে

প্রকাশিত: ২২:১৩, ১৬ নভেম্বর ২০২০

করোনায় দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুহার বেড়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় দৈনিক আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা এবং রোগী শনাক্তের হার একযোগে বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ২১ জনের মৃত্যু এবং শনাক্ত হয়েছেন নতুন ১৮৩৭ জন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৬১৯৪ জন এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৪ লাখ ৩২ হাজার ৩৩৩ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া ১৬৯৩ জনসহ এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৫৪২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৬০টিসহ এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৫ লাখ ৪১ হাজার ১৯৪টি। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিন শূন্য ৭ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮০ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৩ শতাংশ। রবিবার পাঠানো স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২১ জনের মধ্যে মধ্যে ১৭ জন পুরুষ এবং ৪ জন নারী। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, তাদের মধ্যে ৬০ বছরের বেশি বয়সী ১৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪ জন এবং ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১ জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ২ জন রয়েছেন। বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে ১৪ জন, চট্টগ্রামে ৩ জন, রাজশাহীতে ১ জন, বরিশালে ১ জন, রংপুরে ১ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জন রয়েছেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৯৫ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১২ হাজার ১৩৮ জন। আইসোলেশন থেকে ২৪ ঘণ্টায় ১৩৩ জন এবং এখন পর্যন্ত ৭৬ হাজার ২৭০ জন ছাড় পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৮৮ হাজার ৪০৮ জনকে। প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টাইন মিলে ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে ৫৭৯ জন। কোয়ারেন্টাইন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৩৯ জন এবং এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ২৬ হাজার ৪৪০ জন ছাড় পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯৫ জনকে। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৩৯ হাজার ২৫৫ জন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১৫ নবেম্বর পর্যন্ত করোনায় মোট মৃতের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৩২৩৮ জন, যা মোট মৃতের ৫২ দশমিক ৪৪ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২১৪ জন, যা মোট মৃতের ১৯ দশমিক ৬০ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে ৩৭৮ জন, যা মোট মৃতের ৬ দশমিক ১০ শতাংশ, খুলনা বিভাগে ৪৮২ জন, যা মোট মৃতের ৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে ২০৭ জন, যা মোট মৃতের ৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ, সিলেট বিভাগে ২৫৭ জন, যা মোট মৃতের ৪ দশমিক ১৫ জন, রংপুর বিভাগে ২৭৮ জন, যা মোট মৃতের ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১৩০ জন, যা মোট মৃতের ২ দশমিক শতাংশ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ১৫ নবেম্বর পর্যন্ত করোনায় যারা মারা গেছেন, তাদের বয়স বিশ্লেষণে, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে ২৯ জন, যা মোট মৃত্যুর শূন্য ৪৭ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৪৮ জন, যা শূন্য ৭৭ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১৪৩ জন, যা ২ দশমিক ৩১ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৩৩১ জন, যা ৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৭৬০ জন, যা ১২ দশমিক ২৭ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৬৩১ জন, যা ২৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী ৩২৫২ জন, যা ৫২ দশমিক ৫০ শতাংশ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সারাদেশে করোনা রোগীদের জন্য সাধারণ শয্যা সংখ্যা ১১ হাজার ৪৫৩টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২৫৫০ জন এবং খালি রয়েছে ৮৯০৩টি শয্যা। দেশে মোট আইসিইউ শয্যা রয়েছে ৫৬৪টি, ভর্তিকৃত রোগী ২৭৭জন এবং খালি রয়েছে ২৮৭টি আইসিইউ শয্যা। দেশে মোট অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে ১৩ হাজার ৯৫টি, হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা রয়েছে ৫৭৪টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর রয়েছে ৩৬৩টি।
×