ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তর বিলম্বিত এনজিওর চাপে ॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২২:১২, ১৬ নভেম্বর ২০২০

ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তর বিলম্বিত এনজিওর চাপে ॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ও কিছু এনজিওর চাপে ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তর বিলম্বিত হচ্ছে। রবিবার সকালে রাজশাহীর বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর ও ঐতিহ্যবাহী রাজশাহী কলেজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ মন্তব্য করেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই যেতে ইচ্ছুক। দিনক্ষণ এখনও ঠিক না হলেও শুধুমাত্র এনজিও ও ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সির চাপে এই স্থানান্তর প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, রোহিঙ্গারা বর্তমানে যে জায়গায় রয়েছে সেই জায়গাটির পরিমাণ ছয় হাজার ৮০০ একর। পাহাড় ও টিলায় ঘর হলেও জায়াগাটি অনেক কনজাসটেড। কিন্তু সমস্যা হলো অতিবৃষ্টি হলে যে কোন সময় ধসে রোহিঙ্গা মারা যেতে পারে। তখন সবাই আমাদের দোষ দেবেন। আর বর্তমানে যেখানে আছে বেশিরভাগ মাদক, মানবপাচারসহ নানা ধরনের অপকর্মে লিপ্ত তারা। মন্ত্রী আরও বলেন, ভাসানচর অনেক সুন্দর জায়গা। আমার তো ইচ্ছা সেখানে রিসোর্ট করা। ভাসানচরে গেলে রোহিঙ্গারা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে পারবে, কৃষি কাজ করতে পারবে, গরু-ছাগল পালন করতেও পারবে। দিনক্ষণ ঠিক না হলেও আমরা রোহিঙ্গাদের সেখানে স্থানান্তর করার চেষ্টা করছি। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও উন্নত হবে আশা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের কাছ থেকে যে জিনিসগুলো নেয়, তাতে অতিরিক্ত আরও ১৫.৬ শতাংশ ট্যারিফ দিতে হয়। গরিব দেশ হওয়া সত্ত্বেও আমরা পৃধিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ট্যারিফ দিই। আর আমেরিকা ফ্রান্স থেকে যে জিনিস কিনে তার ট্যারিফ দিতে হয় মাত্র ০.৫ শতাংশ। অর্থাৎ আমাদের ফ্রান্সের চেয়ে ৩৩ গুণ বেশি শুল্ক দিতে হয়। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকারের কাছে পণ্য রফতানিতে ট্যারিফ কমানোর দাবি থাকবে বলে জানান তিনি। মন্ত্রী আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে নতুন যে সরকার আসছে তারা অত্যন্ত সলিড ও ম্যাচিউরড রাজনীতিবিদ। তাদের সঙ্গে আমরা আগেও কাজ করেছি। তারা হিউম্যান রাইটস ইস্যুতে খুব সোচ্চার। আর রোহিঙ্গা ইস্যুতে হিউম্যান রাইটস ভায়োলেট হয়েছে। সেক্ষেত্রে মনে করি, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে শক্তিশালী অবস্থান পাব। তাছাড়া আমাদের একটা বড় ইস্যু ক্লাইমেট চেঞ্জ (জলবায়ু পরিবর্তন)। ক্লাইমেট চেঞ্জ বিষয়েও এই বাইডেন সরকারের কাছে আমরা যথেষ্ট সহায়তা পাব। এ সময় মন্ত্রী তিস্তা চুক্তি প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ভারতের অভ্যন্তরীণ জটিলতা থাকায় তিস্তা চুক্তি এখনও স্বাক্ষর করা সম্ভব হয়নি। তবে যে কোন সময় তা হতে পারে। এ জন্য আরও কিছুটা সময় প্রয়োজন বলেও মন্ত্রী মন্তব্য করেন।
×