ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শুরু হচ্ছে হেলিপোর্ট নির্মাণ কাজ

প্রকাশিত: ১৯:৫৩, ১৪ নভেম্বর ২০২০

শুরু হচ্ছে হেলিপোর্ট নির্মাণ কাজ

আজাদ সুলায়মান ॥ পশ্চিমে থার্ড টার্মিনাল। পূর্বে হেলিপোর্ট। মাঝে বিআরটি আর মেট্রোরেল। এই চারটি মেগা প্রকল্পের কর্মযজ্ঞে বদলে যাচ্ছে গোটা এলাকার দৃশ্যপট। থার্ড টার্মিনাল সম্পর্কে মানুষের সুস্পষ্ট ধারণা থাকলেও- হেলিপোর্ট সম্পর্কে একেবারেই অজ্ঞ। কি কারণে হেলিপোর্ট করা হচ্ছে, কারা সুবিধা পাবে-কারা ব্যবহার করবে- বাণিজ্যিকভাবে কতটা সফল হবে এমন সব প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে এখানে। বহুল প্রত্যাশিত এই প্রকল্পটির গ্রাউন্ড ব্রেকিং শুরু হচ্ছে আগামী মাসে। এরই মধ্যে হেলিপোর্টের ডিজাইন ও ড্রয়িং চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে হেলিপোর্টের ডিজাইন অনুমোদন দেয়ার পর দ্রুত নির্মাণ কাজ শুরু ও শেষ করারও পরামর্শ দিয়েছেন। দেশে প্রথমবারের মতো এমন একটি পূর্ণাঙ্গ হেলিপোর্ট নির্মাণ করতে যাচ্ছে সিভিল এ্যাভিয়েশন। প্রায় পাঁচ শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে এক শ’ বিঘা জমির ওপর নির্মিতব্য এই স্থাপনার ইতোমধ্যেই স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহ ও পরামর্শে একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হেলিপোর্ট নির্মাণ যতটা সম্ভব, দ্রুত শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান। তার মতে, সব কিছু ঠিকমতো চললে আগামী মাসেই গ্রাউন্ড ব্র্যাকিং কাজের উদ্বোধন করা হবে। বেবিচক জানিয়েছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের গোলচক্কর লাগোয়া দক্ষিণে রেললাইনের পূর্ব প্রান্তে বেবিচকের নিজস্ব জমিতেই হেলিপোর্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করা হয়েছে ড্রয়িং ডিজাইন ও অন্যান্য কাজ। যা গত সপ্তাহে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সিনিয়র সচিব মহিবুল হক ও বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মোঃ মফিদুর রহমান প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেছেন। বেবিচক চাচ্ছে দ্রুততম সময়ে দরপত্র আহ্বান করে কাজ শুরু করে দেয়ার। এর ড্রয়িং ডিজাইনে বেশ চমকপ্রদ স্থাপত্য শৈলী রয়েছে। আলোচিত এ প্রকল্পের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী বেবিচক সদস্য এয়ার কমডোর মোঃ খালিদ হোসেন বলেন, বেসরকারী বাণিজ্যিক হেলিপোর্ট নির্মাণ দেশে এই প্রথম। এর আগে কোন অভিজ্ঞতা ছিল না আমাদের। আমাদের টার্গেট যত কম সময়ের মধ্যে হেলিপোর্ট নির্মাণ করে অপারেশনে যাওয়া। আগামী মাসে এর গ্রাউন্ড ব্রেকিং শুরু করা গেলে দেড় বছরের মধ্যেই কাজ শেষ করে দেয়ার টার্গেট রয়েছে আমাদের। প্রস্তাবিত ডিজাইনে দেখা যায়- ৫৫ একর জমিতে সীমানা প্রাচীরবেষ্টিত এই হেলিপোর্ট। মূল কম্পাউন্ডের মাঝে ইংরেজী ভি অক্ষরের আদলে সাজানো হয়েছে ১৩টি শেড। যেখানে আকারভেদে কমপক্ষে ৭০টি হেলিকপ্টার পার্কিং করার সক্ষমতা থাকছে। শেডের সামনে উত্তর দক্ষিণে দুটো করে বিশালাকৃতির হেলিপ্যাড রয়েছে যেখানে ওঠানামার জন্য এপ্রোচ করতে পারবে হেলিকপ্টার। এ ছাড়াও প্রতিটি শেডের সামনে নিজ নিজ কোম্পানির হেলিকপ্টারগুলো আলাদা ল্যান্ডিং করতে পারবে। তিন তলাবিশিষ্ট বিশাল টার্মিনালেই থাকবে প্যাসেঞ্জার লাউঞ্জ, নিজস্ব টাওয়ার, এডমিন ই্উনিট, পৃথক ফায়ার সার্ভিস ইউনিট, ফুয়েল ট্যাঙ্ক, কারপার্কিং, ফুডকোর্ট, থ্রি লেয়ার সিকিউরিটি সিস্টেম। পাাশাপাশি থাকছে সামনের ওয়াটার বডি, নৈসর্গিক সৌন্দর্যমন্ডিত ফোয়ারাসহ বৃক্ষরাজির সমাহার। এয়ার কমডোর মোঃ খালিদ হোসেন বলেন, অপারেশন মোড এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। প্রাথমিকভাবে দ্রুততম সময়ে সরকারের ক্রয়নীতিমালা মেনে হেলিপোর্টটা নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় যা করার সবাই করা হবে। এখানে উড্ডয়নকারী হেলিকপ্টার মূলত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টাওয়ার থেকে নিয়ন্ত্রিত হওয়ার পাশাপাশি এর নিজস্ব টাওয়ারও সক্রিয় থাকবে। মূলত শাহজালাল বিমানবন্দরের বিদ্যমান হেলিকপ্টার হ্যাঙ্গার থেকে বাণিজ্যিক কাজ পরিচালনা করা হলেও প্রস্তাবিত হেলিপোর্ট হবে একেবারের একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের। নিরাপদ নির্বিঘেœ দেশে ব্যাপকারে হেলিকপ্টার সেবাকে বিস্তৃত করার জন্যই এ প্রকল্প। হেলিপোর্ট নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা ও ভবিষ্যত সম্ভাবনা সম্পর্কে বেবিচক জানিয়েছে- দেশে হেলিকপ্টারের বাণিজ্যক ব্যবহার বাড়ছে, জনপ্রিয়ও হচ্ছে। আগে সাধারণত কর্পোরেট কোম্পানিরগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তা এবং তাদের বায়ারগণ এই সেবা নিলেও এখন সমাজের উচ্চবিত্তদের মাঝেও হেলকপ্টার ভ্রমণে আগ্রাহ বাড়ছে। চড়াদামে টিকেট কেটে মানুষজন হেলিকপ্টার ব্যবহার করছেন। রোগী আনা নেয়ার ক্ষেত্রেও এখন হেলিকপ্টার ব্যবহার হচ্ছে। বর্তমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণাংশে বেবিচকের পৃষ্ঠপোষকতায় বেসরকারী হেলিকপ্টার সংস্থাগুলো নিজস্ব উদ্যোগে স্থাপনা তৈরি করে তাতে অপারেশনাল কাজ চালাচ্ছে। যা ইতোমধ্যে থার্ড টার্মিনাল উপলক্ষে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বিমানবন্দরের উত্তর প্রান্তে। কিন্তু যেভাবে হেলিকপ্টারের নেটওয়ার্ক ও বিজনেস ভলিয়্যুম বাড়ছে তাতে কাছে ভবিষ্যতে এখানেও অপারেশনাল কাজে আরও বিস্তুৃতি ঘটবে। তখন পরিস্থিতি সামাল দেয়া হবে আরও কঠিন। এমন বাস্তবতার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্পের রূপকার হিসেবে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন কোন আর্কিটেক্ট ও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। মূলত বেসামরিক বাণিজ্যিক হেলিকপ্টার সেবা আরও সুবিস্তৃত ও নির্ভরযোগ্য শিল্প হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এমন একটি হেলিপোর্ট নির্মাণের আবশ্যকতা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মোঃ মফিদুর রহমান। তিনি বলেন, বর্তমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অতি সংলগ্ন এর চেয়ে সুবিধাজনক স্থান আরও নেই কোথাও। সব দিক বিবেচনা করেই কাওলায় বেবিচকের কোয়ার্টার সংলগ্ন ফাঁকা জমিতে হেলিপোর্ট নির্মাণের জন্য বাছাই করা হয়েছে। আগামী ২০ বছরের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় নিয়ে প্রাথমিকভাবে এক শ’ বিঘার ওপর এটা নির্মাণ করতে হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মালেক জানান, হেলিপোর্ট নির্মাণের কাজটি বলা চলে একেবারেরই প্রারম্ভিক। দেশে ইতোপূর্বে কারোরই এ ধরনের প্রতিষ্ঠান করার অভিজ্ঞতা নেই। আইকাও গাইডলাইন অনুযায়ী সব ধরনের শতার্দি মেনেই হেলিপোর্ট নির্মাণ করতে হয়। প্রকৌশল বিভাগের মতে- এই হেলিপোর্টে কমপক্ষে ৭০টি হেলিকপ্টার ধারণের সক্ষমতা থাকবে। এক সঙ্গে দুটো হেলিকপ্টার ওঠানামার সুযোগ থাকছে এতে। বেবিচক সদস্য (এফএসআর) গ্রুপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী জিয়াউল কবীর জানিয়েছেন, হেলিকক্টার ব্যবহারে সরকারের নীতিমালা রয়েছে। সে অনুযায়ী ৯ প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে আরও কয়েকটি কোম্পানি লাইসেন্সর জন্য আবেদন করেছেন। এগুলো যাচাই বাছাই হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে হেলিকপ্টার সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় কোম্পানি হলো সিকদার গ্রুুুপের মালিকানাধীন আরএনআর এয়ারলাইন্স। বর্তমানে তাদের ১০টি হেলিকপ্টার। সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইন্সের ৪টি, বসুন্ধরার ৩টি, স্কয়ার গ্রুপের ৩টি, বেক্সিমকোর ২টি, পিএইচপি গ্রুপের ১টি, বাংলা ইন্টারন্যাশনালের ১টি, বিআরবি ক্যাবলের ২টি, মেঘনা গ্রুপের ৩টি, ইমপ্রেস এভিয়েশানের ২টা, এমএএস বাংলাদেশের ২টা হেলিকপ্টার রয়েছে। এর মধ্যে আর এ্যান্ড আর, বিআরবি ক্যাবল, বাংলা ইন্টারন্যাশনাল, পিএইচপি এয়ারলান্সের শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বিশাল হ্যাঙ্গারও রয়েছে। বর্তমানে তারা শাহজালাল বিমানবন্দরের দক্ষিণপ্রান্তের নিজস্ব হ্যাঙ্গারে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালাচ্ছেন। এক প্রশ্নের জবাবে গ্রুপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী জিয়াউল কবীর বলেন, নীতিমালার মধ্যেই বলা আছে- হেলিকপ্টার উড্ডয়নের ৪৮ ঘণ্টা আগে সিভিল এ্যাভিয়েশনকে জানাতে হবে। কারণ হেলিকপ্টারের নির্দিষ্ট কোন রুট নেই। এ কারণে কোন হেলিকপ্টার আকাশে উড্ডয়ন করলে টাওয়ারকে প্রস্তুত রাখতে হয় যাতে সহজে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। নির্দিষ্ট রুট না থাকায় অনেক সময় পাইলটরা ভুলে অনুমতি ছাড়া অন্য দেশের সীমানায় ঢুকে পড়ে। এটি খুবই বিপজ্জনক। টাওয়ার প্রস্তুত থাকলে এই সমস্যা এড়ানো সম্ভব। তবে জরুরী হলে ৫, ১০, ১৫ মিনিট এমনকি এক ঘণ্টার মধ্যেও অনুমতি দেয়া হয়। বেবিচক সূত্র মতে- বাংলাদেশে সর্বপ্রথম সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইন্স নামে একটি কোম্পানি বাণিজ্যিক লাইসেন্স নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করে। সিভিল এ্যাভিয়েশনের হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে ৯ কোম্পানির ৩০টি হেলিকপ্টার রয়েছে। কোম্পানিগুলো সমান সংখ্যক হেলিকপ্টার আনার জন্য সিভিল এ্যাভিয়েশনে আবেদন জানিয়েছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় এই সেবাটি অনেক ব্যয় বহুল হয়ে পড়েছে। তাছাড়া বাণিজ্যিকভাবে পরিচালনার জন্য সিভিল এ্যাভিয়েশনের নীতিমালা অনেক কঠিন শর্ত থাকায় সম্ভাবনাময় এই সেক্টরটি দ্রুত এগুতো পারছে না। এ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞ আশীষ রায় চৌধুরী এ প্রকল্পের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা সম্পর্কে বলেন, হেলিকপ্টার ভ্রমণ আসলেই বিশ্বব্যাপী একটা কৌতূহলী ও আনন্দদায়ক বিষয়। সামান্য কটা টাকা হলেই প্লেনে ওঠা যায়। কিন্তু হেলিকপ্টারে ওঠা খুবই ব্যয়বহুল। একটা গরিব ছেলে ভিটে জমি বিক্রি করে বিদেশে যাওয়ার সময় বোয়িং ৭৭৭ এ চড়ার সুযোগ পায়। কিন্তু আরেকটা ধনাঢ্য ছেলের পকেটে টাকা থাকলেও শুধু কয়েক মিনিটের জন্য দেশের ভেতরের একস্থান থেকে যাওয়ার জন্য লাখ টাকায় হেলিকপ্টার চড়ার সাহস পায় না। অর্থাৎ এটা এখনও শুধু বিত্তবানদের বাহনই রয়ে গেছে। এমন বাস্তবতায় প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে বেবিচক হেলিপোর্ট নির্মাণের যে উদ্যোগ নিয়েছে- তাতে অন্তত এটা বলতে পারি- এখন এটা আর বিত্তবানের বলয় থেকে মধ্যবিত্তের আয়ত্তে এসে যাবে। সরকার বিশেষ করে বেবিচক চাইলে এমন কিছু উদ্যোগ নিতে পারে যাতে মধ্যবিত্তরাও তাতে চড়তে পারে। উদাহরণ দেয়া যেতে পারে বেসরকারী অপারেটরা বেবিচকের উদারনীতি পেলে অভ্যন্তরীণ রুটে নিয়মিত হেলিকপ্টার সার্ভিস চালু করা সম্ভব। চার সিটের একটা হেলিকপ্টার চার বন্ধু মিলে চল্লিশ হাজার টাকায় ঢাকা থেকে কক্সবাজারে অফার দিলে প্রতিদিনই যাত্রী পাওয়া যাবে। কোম্পানিগুলো ফ্লাইটের মতো এভাবে হেলিকপ্টার সার্ভিস চালু করতে পারে। প্রস্তাবিত হেলিপোর্টে এসে যাত্রীরা দেশের যেকোন প্রান্তে যাওয়ার সুযোগ পেলে অবশ্যই সেটা ব্যবসা সফল হবে। কারণ হেলিকপ্টার যে কোন এলাকায় ওঠানামা করতে পারে। তিনি বলেন দেশে বর্তমানে এই সার্ভিসের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এত জটিলতার মাঝেও দিন দিন বাড়ছে এ সার্ভিস। প্রতিনিয়ত বেড়ে যাওয়া অসহনীয় যানজট এড়াতে সামর্থ্যবান ব্যবসায়ী, চলচ্চিত্র নির্মাতা, হাসপাতাল মালিক ও বিদেশী বিনিয়োগকারীরা খুঁজছে বিকল্প পথ। এর ধারাবাহিকতায় কর্পোরেট লেভেলে বৃদ্ধি পাচ্ছে হেলিকপ্টারের ব্যবহার। এছাড়া সিনেমার শূটিং, রাজনৈতিক সভা সমাবেশ, রোগী আনা নেয়া, বিভিন্ন কোম্পানির বোর্ড মিটিং কভার থেকে শুরু করে অনেকে বিমানবন্দর থেকে ঢাকায় আসা যাওয়ায় ব্যবহার করছেন হেলিকপ্টার। তবে প্রতিবার উড্ডয়নের জন্য সিভিল এ্যাভিয়েশন থেকে অনুমতি নিতে হয়। জ্বালানি সঙ্কটেও প্রায় ফ্লাইট বন্ধ রাখতে হয়। হেলিকপ্টার কোম্পানি শুরু দিকে দুর্গম এলাকায় ভ্রমণ, সিনেমার শূটিং, উপর থেকে প্রজেক্ট এলাকা পরিদর্শন, ছবি তোলা ইত্যাদি কাজের লক্ষ্য নিয়ে হেলিকপ্টার ভাড়া দেয়া শুরু হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে দ্রুত যানজট এড়িয়ে গন্তব্য পৌঁছানোর জন্য কর্পোরেট ব্যবসায়ীদের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে হেলিকপ্টার।
×