ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রুহুল আমিন ভূঁইয়া

মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্রে

প্রকাশিত: ২৩:৩৯, ১২ নভেম্বর ২০২০

মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্রে

মৌসুমী হামিদ। নাটক-সিনেমায় যার উপস্থিতি দর্শকদের নির্ভার করে। অভিনয় শিল্পের রথে চড়ে এসেছেন অনেকটা পথ। যাত্রা পথে মাঝে ছিল তার কিছুটা বিরতি। আত্মোপলদ্ধিতে ফিরেছেন সেই জয়রথে। শোবিজে মৌসুমির অভিষেক হয়েছিল রাজকীয় কায়দায় অর্থাৎ সুন্দরী প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। তবে তিনি সুন্দরী বটে! ক্ষাণিক লম্ব! নাটক, টেলিফিল্ম এবং বিজ্ঞাপনে কাজের মাধ্যমে দর্শকদের মাঝে তার সৌন্দার্যের পরশ ছড়িয়েছেন। ছোট পর্দায় অভিনয়ের পাশাপাশি অভিনয় করে চলেছেন চলচ্চিত্রেও। মৌসুমী দীর্ঘদিন ধরে সিনেমা থেকে ক্ষাণিকটা দূরে। তবে সে দূরত্ব ঘুচিয়ে এবার যুক্ত হয়েছেন সরকারী অনুদানের মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র ‘১৯৭১ সেই সব দিন’ এ। পরিচালনা করছেন নাট্যাভিনেত্রী হৃতি হক। সম্প্রতি পুরান ঢাকার একটি লোকেশনে ছবির শুটিং শুরু হয়েছে। এতে কেন্দ্রীয় একটি চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। এর আগে প্রশান্ত অধিকারীর পরিচালনায় ‘হাডসনের বন্দুক’ নামের একটি সরকারী অনুদানের ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। যদিও ছবিটি এখনও মুক্তি পায়নি। এদিকে গাজী রাকায়েত পরিচালিত ‘গোর’ নামের একটি ছবিতেও অভিনয় করেছেন মৌসুমী হামিদ। বর্তমানে ছবিটি মুক্তির অপেক্ষায়। আগামী জানুয়ারিতে আমেরিকার নিউইয়র্কে মুক্তি পাবার কথা রয়েছে। অন্যদিকে খণ্ড নাটকের পাশাপাশি ধারাবাহিক নাটকেও নিয়মিত অভিনয় করছেন তিনি। সঞ্জিত সরকারের পরিচালনায় ‘চিটিং মাস্টার’ নামে একটি ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন মৌসুমী। এছাড়া বিশেষ দিবসের নাটকেও তার সরব উপস্থিতি। মৌসুমী অভিনীত প্রচারের অপেক্ষা আছে টেলিফিল্ম ‘অভিমানী’। পরিচালনা করেছেন সুব্রত সঞ্জীব। বিনোদন অঙ্গনে এক দশক পার করেছেন মৌসুমী হামিদ। এক দশকের ক্যারিয়ারে সেরা অর্জন কী? জানতে চাইলে আনন্দকণ্ঠকে তিনি বলেন, এই যে আমি ‘মৌসুমী হামিদ’ হয়েছি এটাই বড় অর্জন। মফস্বলের এক সাধারণ তরুণী ছিলাম। সেখান থেকে এ পর্যায়ে এসেছি। মানুষ আমাকে চেনে। ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি। এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। মৌসুমীর মতো লম্বা নায়িকা দেশে কমই রয়েছে। যার ফলে সহশিল্পী পেতে বিপাকেও পড়তে হয়। মৌসুমী শিল্প পছন্দ করেন। সৃষ্টিকর্ম তার অনেক ভাল লাগে। জীবনে যা কিছু অর্জন করেছেন দেখে দেখে শিখেছেন। ভালবাসেন ছবি আঁকতে। সময় পেলেই আঁকতে বসেন। মৌসুমীর অবসার সময় কাটে বই পড়ে, নাটক, সিনেমা ও ওয়েব সিরিজ দেখে। ভীষণ রোমান্টিক এই সুন্দরী! সিনেমা হল বন্ধ। ওটিটি বাংলাদেশের জন্য অপার সম্ভাবনা হিসেবে অনেকেই ভাবছেন। এর বাইরে ভাবারও সুযোগ নেই। ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচুর কাজ হচ্ছে। এ মাধ্যমটি কতটুকু আশাবাদের? এ মাধ্যমের সঙ্গে আমাদের দেশের জনগণ অভ্যস্ত নয়। অন্য দেশের শিল্পীদের দেখে তারা অভ্যস্ত। আমাদের ও সৃজনশীল হওয়ার চেষ্টা করছি, তবে পারছি না। দর্শকের চাহিদা গুরুত্ব দিতে হবে তারা কি চায়। তাদের চাহিদা অনুযায়ী দিলে অবশ্যই গ্রহণ করবে। তাছাড়া আমরা নিজেদের সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারছি না। নিজেদের কে সাবলীলভাবে উপস্থাপন করতে হবে। কোন কিছু হুট করে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না আস্তে আস্তে অভ্যস্ত করতে হবে। আমাদের নতুন কিছু শেখার আগ্রহ কম। শিল্পকে কখনও অশ্লীল বলতে চাই না, অশ্লীল হলো আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি। খুব শীঘ্রই নির্মাণে আসছেন মৌসুমী হামিদ। এ পর্যন্ত যা কিছু পেয়েছেন তার পুরোটাই প্রাপ্তি।
×