স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোর শহরের স্ক্যান হাসপাতালে এ্যানেস্থাসিয়া ছাড়াই প্রসূতি ইসমত আরা জলিকে সিজারিয়ান অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) নেয়া হয়। পেটে ছুরিও বসিয়ে দেন চিকিৎসক। ব্যথা পেয়ে চিৎকার শুরু করেন প্রসূতি। পরিস্থিতি খারাপ দেখে অপারেশন থিয়েটার থেকে বেরিয়ে যান চিকিৎসক। এ সময় মুখ চেপে ধরে সিজারিয়ান অপারেশন করেন ওয়ার্ডবয়। প্রসূতির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি, এখনও অসুস্থ। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৬ নবেম্বর।
মঙ্গলবার রাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী প্রসূতি ইসমত আরা জলি। আর বুধবার সকালে তিনি অভিযোগ দিয়েছেন সিভিল সার্জন ডাঃ আবু শহীনের কাছে। তিনি অসুস্থ থাকায় তার শাশুড়ি বেবি খাতুন এই অভিযোগ দেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ডাক্তারের পরিবর্তে সেখানকার ওয়ার্ডবয় দিয়ে সিজার করা হয়েছে। ডাক্তার ইসমত আরা মৌসুমী আমাকে অচেতন না করেই পেটে ছুরি বসিয়ে দেন। ব্যথা পেয়ে চিৎকার করলে তিনি অপারেশন থিয়েটার থেকে বেরিয়ে যান। পরে সেখানকার ওয়ার্ডবয় ও অপারেশনের স্টাফ আমার মুখ চেপে ধরে সিজারিয়ান অপারেশন করেন। এসময় তারা অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। প্রতিবাদ করলে হুমকি দেয়। শারীরিক অবস্থার এখনও উন্নতি হয়নি। প্রচ- ব্যথা অনুভব করছেন তিনি।
ইসমত আরা’র শাশুড়ি বেবি খাতুন জানান, অপারেশন রুমে ইসমাত আরাকে (প্রসূতি) চিৎকার করতে দেখে অপারেশন থিয়াটারের সামনে দাঁড়ালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইসমত আরা মৌসুমী অপারেশন থিয়েটার থেকে বের হয়ে যান। পরে দুজন পুরুষ মুখ চেপে ধরে অপারেশন করলে অতিরিক্ত রক্ত বের হয়, ছটফট করতে থাকে।
প্রসূতি ইসমত আরা’র স্বামী আবুল হাসান জানান, আমরা ঘটনার দিন কিছু বলতে ভয় পেয়েছি। কারণ রোগী ভর্তি ছিল, সেজন্য রোগী রিলিজ নেয়ার পরে অভিযোগ করেছি। এদিকে, দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চিকিৎসক ইসমত আরা মৌসুমী।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: