ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চুক্তিভঙ্গ ॥ যশোরের ৮২ মিলারের জামানত বাজেয়াফত

প্রকাশিত: ২১:২১, ১২ নভেম্বর ২০২০

চুক্তিভঙ্গ ॥ যশোরের ৮২ মিলারের জামানত বাজেয়াফত

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ গত বোরো মৌসুমে সরকারের সঙ্গে চুক্তি করার পরও চাল না দেয়ায় যশোরের ৮২ মিল মালিকের জামানত বাজেয়াফত করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের কাছ থেকে সরকার আগামী দু’বছর চাল কিনবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জামানত বাজেয়াফত হওয়া মিলগুলোর মধ্যে রয়েছে সদর উপজেলায় রয়েছে ৯টি, অভয়নগরে ১টি, কেশবপুরে ২৪টি, ঝিকরগাছায় ৯টি, শার্শায় ১৪টি, বাঘারপাড়ায় ৭টি এবং চৌগাছা উপজেলায় রয়েছে ১৮টি মিল। জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, যশোরে গেল বোরো মৌসুমে ২৭ হাজার তিন শ’ ১২ মেট্রিকটন চাল সরবরাহ করবে বলে চুক্তি করেন তিন শ’ ৬১ জন রাইসমিল মালিক। অথচ ধানের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে সরকারকে দিয়েছে মাত্র ১৫ হাজার এক শ’ পাঁচ মেট্রিকটন। এসব রাইসমিল মালিকের মধ্যে ৮১ জন মিলার একেবারেই চাল দেননি। আংশিক চাল দিয়েছেন এক শ’ ১১ জন। আর সম্পূর্ণ চাল দিয়েছেন এক শ’ ৪৫ জন মিল মালিক। এটি হাসকিং মিলের ক্ষেত্রে। ২৪ জন অটো মিল মালিকের মধ্যে একজন একেবারেই চাল দেননি। ১৩ জন মিলার আংশিক দিয়েছেন। আর চুক্তি অনুযায়ী সম্পূর্ণ চাল দিয়েছের ১০ জন অটো রাইসমিল মালিক। বোরো মৌসুমে যশোরে ১০ লাখ ৩০ হাজার সাত শ’ ৬৬ মেট্রিকটন ধান উৎপাদন হয়। আর চাল উৎপাদন হয়েছিল ছয় লাখ ৮০ হাজার তিন শ’ ছয় মেট্রিকটন। ২৭ হাজার তিন শ’ ১২ মেট্রিকটনের জায়গায় খাদ্য বিভাগের সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ১৫ হাজার এক শ’ পাঁচ মেট্রিকটন চাল। যশোর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুল রহমান জানান, ৮২ জন মিল মালিকের জামানত বাজেয়াফত করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের কাছ থেকে চলতি আমন মৌসুম ও আগামী বছর কোন চাল কেনা হবে না। চলতি আমন মৌসুমে সরকার যশোর থেকে ৫ হাজার ১ মেট্রিক টন ধান কিনবে ২৬ টাকা কেজি দরে। শুধুমাত্র সদর উপজেলার কৃষকদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
×