ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ডোমার-ডিমলা উপজেলা

টেলিফোন সেবা বন্ধ এক বছর ॥ তবুও আসছে বিল

প্রকাশিত: ২১:১৮, ১২ নভেম্বর ২০২০

টেলিফোন সেবা বন্ধ এক বছর ॥ তবুও আসছে বিল

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ প্রায় এক বছর ধরে ডোমার ও ডিমলা উপজেলা টেলিফোন এক্সচেঞ্জটি বিকল হয়ে পড়ে আছে। এতে টেলিফোনের সেবা পাচ্ছে না ডোমার উপজেলার ২১৭ ও ডিমলা উপজেলার ৯৮ গ্রাহক। অথচ প্রতিমাসে ১৭৩ টাকা করে প্রতি গ্রাহকের কাছে দুই হাজার ৭৬ টাকা করে বিলের কাগজ ধরিয়ে দেখা হয়েছে। এ নিয়ে অনেক গ্রাহক সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ তুলে ধরেছেন।গ্রাহকদের অভিযোগ, ‘প্রায় এক বছর ধরে এক্সচেঞ্জের বিকলতায় কোন কাজে আসছে না টেলিফোন। সেবা দিতে না পারলেও ন্যূনতম বিলের ১৭৩ টাকা প্রতিমাসে চাপানো হচ্ছে গ্রাহকের ঘারে। ফলে দিনের পর দিন এ বোঝা ভারি হয়েই চলছে। সরকারী ওই টেলিফোন বিভাগটি ত্রুটির দায় নিজে না নিয়ে বিলের বোঝা গ্রহকের ঘাড়ে চাপিয়ে রেখেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নীলফামারী থেকে ডোমার পর্যন্ত সড়ক উন্নয়নের কাজের জন্য মূল সংযোগের তার কেটে যাওয়ায় কারণে ওই দুই উপজেলার টেলিফোন অচল হয়ে পড়ে। এ বিষয়ে ডোমার ও ডিমলা উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে জানা যায় প্রায় এক বছর ধরে একদিনও ল্যান্ডফোন থেকে কল দেয়া যায় না। কিন্তু সরকারীভাবে বিল তো নিয়মিত দিতে হচ্ছে। ডোমারের সবুজপাড়া গ্রামের গ্রাহক মোজাফ্ফ আলী (৫৫)। তিনি পেশায় একজন সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী। তার বাসায় ৭৫০৮০ নম্বরে একটি টেলিফান রয়েছে। কিন্তু এক্সচেঞ্জের বিকলতায় টেলিফোনটি ব্যবহার করতে পারছেন না এক বছর ধরে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বছরের বারোমাসেই খারাপ থাকে টেলিফোন। অভিযোগ দিলেও কোন কাজ হয় না। অথচ বিল আসছে প্রতিমাসে।’ ডিমলা উপজেলার সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম বলেন আমার বাড়ির টেলিফোনটি এক বছর ধরে চলে না। অথচ প্রতিমাসের বিল পরিশোধের জন্য বিল আসছে। এদিকে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ডোমার ও ডিমলা টেলিফোন এক্সচেঞ্জটির দৈন্যদশা। অযতœ আর অবহেলার পড়ে আছে আসবাবপত্রসহ সব যন্ত্রপাতি। কাজ না থাকায় সেখানে বিচরণ নেই কোন সাধারণ গ্রাহকের। অফিসে থাকেন না কোন কর্মচারী। এ বিষয়ে নীলফামারীতে কর্মরত বিটিসিএলের জুনিয়র সহকারী ম্যানেজার আমজাদ হোসেন বলেন, ‘নীলফামারী থেকে ডোমার পর্যন্ত সড়কটির উন্নয়ন কাজ চলছে। এ উন্নয়ন কাজে সড়কের মাটি খোরাখুরির কারণে অফটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল লিঙ্ক কেটে যাওয়ায় ডোমার ও ডিমলা উপজেলার ৬ মাস ধরে সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় গ্রাহকরা সেবা পাচ্ছেন। এর আগেও একই কারণে ওই সংযোগ অন্তত ১০ বার বিচ্ছিন্ন হলে রংপুর থেকে টিম এসে মেরামত করে দিয়েছিল। সংযোগটি ডোমার ও ডিমলা উপজেলা পর্যন্ত রয়েছে।
×