ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মমতাজ লতিফ

আমার ধর্মনিরপেক্ষ অনুভূতিতে আঘাত কেন?

প্রকাশিত: ২০:৪৯, ১২ নভেম্বর ২০২০

আমার ধর্মনিরপেক্ষ অনুভূতিতে আঘাত কেন?

সাম্প্রতি দেশে আবারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অজুহাত তুলে সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টির মাধ্যমে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে একদল মৌলবাদী গোষ্ঠী অপতৎপরতা শুরু করেছে। পাঠক, জনগণ খুব ভালভাবে এই চারিত্র্যিক বৈশিষ্ট্যধারী গোষ্ঠীকে চেনে। এটাও জানে যে- এরাই তারা যারা ’৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সেনাদের সঙ্গে ঐকমত্য হয়ে, পাকিস্তানীদের সমর্থক হয়ে বাঙালী মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক, রাজনীতিক, বুদ্ধিজীবী, ছাত্র, নেতা, সেনা-পুলিশদের হত্যায় যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল। এরাই জামায়াত-শিবিরের ঔরসে ও গর্ভে জন্ম নিয়ে রাজাকার, আলবদর, আলশামস, শান্তি কমিটির নামে মুক্তিযুদ্ধের অন্তিম লগ্নে ’৭১-এর নবেম্বর, ডিসেম্বরে দেশ যখন স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে, তখন জাতিকে নেতৃত্ব শূন্য, মেধা শূন্য করার উদ্দেশ্যে বুদ্ধিজীবী-শিক্ষক, চিকিৎসক, আইনজীবী, সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক, নারী-পুরুষ, কিশোরদের পরিকল্পিতভাবে তালিকা করে বর্বর হত্যাকা- পরিচালনা করেছে। এখন দেশ যখন পঞ্চাশ বছর পর স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তির দ্বারপ্রান্তে তখন ২০২০-এ সেই একই প্রকৃতির মুক্তিযুদ্ধপন্থী, বুদ্ধিজীবীদের তালিকা করে মৌলবাদীদের ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতে’র অজুহাত তুলে উকিল নোটিস পাঠিয়ে তাদের ভ্রান্তভাবে ‘ধর্ম বিরোধী’ হিসেবে উপস্থাপন করে তাঁদেরকে হেয়প্রতিপন্ন করার জঘন্য কাজের সূচনা করেছে। একটি অদ্ভুত অপ্রাসঙ্গিক, যুক্তিহীন কাজ তারা করছে যা প্রমাণ করে তাদের প্রথম উদ্দেশ্য- বুদ্ধিজীবীদের বিব্রত করা, ভীত-শঙ্কিত করা, প্রগতিশীল যুক্তিপূর্ণ সত্য প্রকাশে দ্বিধান্বিত করা এবং তাদের মুক্তবুদ্ধির চর্চাকে বন্ধ করা বা বাধাগ্রস্ত করা। এখন দেখা যাচ্ছে, তারা এ কাজটি করতে যুক্তিহীন পথ অবলম্বন করছে, যা তারা অতীতে সব সময় করেছে। তাদের সৃষ্ট জঙ্গী-জিহাদীরা এই একবিংশ তথ্য-জ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে বিদেশী, দেশী যুক্তি ও বিজ্ঞানে বিশ্বাসী প্রগতিশীলদের হত্যা করে ‘বেহেশতে’ যাবে- এমন অমানবিক, অযৌক্তিক, অ-ইসলামী কুকাজে বিশ্বাস করে! তারা বারবার হামলা-ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ করেছে সংখ্যালঘু হিন্দু ও আদিবাসীদের ঘরবাড়ি, উপাসনালয়, পুকুর, ক্ষেত-খামারের ওপর। হত্যাও করেছে অনেক, ’৭১-এও, এখনও! অর্থাৎ, ভূতের মতোই এদের পা পেছনের দিকে। এরা মহানবীর (স.) আমল থেকে, মধ্যযুগ পার হয়ে, ’৭১-এ এবং এখনও, এই একবিংশ শতকের জামায়াত শিবির-বিএনপির মদদে, আশ্রয়ে, প্রশ্রয়ে বার বার জন্ম নিচ্ছে এবং বারবার জাতির মেধা-বিজ্ঞান চর্চাকারী প্রগতিশীলদের আঘাত করে চলেছে! ভাল করে খেয়াল করলে পাঠক, আপনারা দেখতে পাবেন-এই জঙ্গী-হিজরত করা জিহাদী হত্যাকারীদের যারা জন্ম দিচ্ছে, সেই প্রাক্তন নেতাদের কারও সন্তানকে, যেমন- গোলাম আযম, নিজামী, কাদের মোল্লা, সাঈদী, মীর কাশেম আলী আমিনী, এমনকি বর্তমানের জামায়াতের আমিরসহ সব নেতারা সন্তানদের আধুনিক বিজ্ঞান, আইন শিক্ষায় শিক্ষিত করে ডাক্তার, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী হিসেবে তৈরি করে তাদের শান্তিপূর্ণ নিরাপদ ভবিষ্যত নিশ্চিত করেছে। তারা বেছে নিয়েছে মাদ্রাসা বা ইংরেজী শিক্ষায় শিক্ষিত ‘অন্যের’ সন্তানদের! তাদেরকেই মগজ ধোলাই করে ‘হত্যাকারী’ বানিয়ে ঠেলে দিচ্ছে অনিশ্চিত পলাতক, অশান্ত এক জীবনে। আমার দুঃখ হয়, এদের সঙ্গে কথা বলার কোন সুযোগ এলো না এবং ভবিষ্যতেও আসবে না বলে। বার বার ভাবি- ১.কখন মাদ্রাসা ও অন্য প্রতিষ্ঠানে শিক্ষিত যুবকরা এই মৌলবাদীদের মিথ্যার ফাঁদে পড়ে জঙ্গী হয়ে নিজেদের ভবিষ্যতকে অনিরাপদ, অনিশ্চিত করা বন্ধ করবে? কবে, কখন, তরুণরা বুঝবে যে, মানুষ হত্যা করে বেহেশত তো বহুদূর, বাড়িতেও নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ জীবন কাটানো অসম্ভব। খুনীর জন্য অপেক্ষা করে জেল অথবা ফাঁসি। ২.কবে, কখন আমাদের গ্রামের মানুষ বারবার এম এল এম কোম্পানিকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যেতে দেখেও শিক্ষা গ্রহণ করে এই ‘অবিশ্বাস্য’ মুনাফা’র ফাঁদে পা দেবে না? ৩.কেন ধর্মীয় নেতারা নিজেদের পুত্রদের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যারিস্টার, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী তৈরি করে তাদের জন্য নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করে? অথচ কেন ঐ ধর্মভিত্তিক রাজনীতিক নেতারা অপরের ছেলেদের জঙ্গী-জিহাদী করে তাদেরকে ঠেলে দেয় ভ্রান্ত-মিথ্যা বিশ্বাসে এবং ঠেলে দেয় অনিশ্চিত জীবনের দিকে? ৪.কখনও আমাদের গ্রামীণ নারীরা মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামের মহানবীর (স.) জন্মস্থান বা অন্য দেশে ধর্ষিতা হতে, নির্যাতিত হয়ে লাশ হয়ে ফেরার পথে পা বাড়াবে না? ৫.দরিদ্র তরুণ জমি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা চরম ঠক দালালদের আর বিশ্বাস না করে সরকারী পন্থায় বিদেশে আয়-উপার্জন করতে যাবে! দালালদের হাতে, মানব পাচারকারী অমানুষদের ফাঁদে আর পা দেবে না? ৬.সঙ্গতভাবেই প্রশ্ন-এই ধার্মিকরা উপরোক্ত অন্যায় অপরাধ বন্ধ করতে কখনও দাবি তোলে না কেন? অথবা, নিজেরাই উদ্যোগ গ্রহণ করে না কেন? এখন আসা যাক- এই ২০২০-এ জন্ম নেয়া নব্য আলবদরদের বিষয়ে। তারা একযোগে ’৭১-এর মতো তাদের তৈরি তালিকাভুক্ত বুদ্ধিজীবী, লেখক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মী-প্রগতিশীল চিন্তার ধারক ও বাহকদের উকিল নোটিস পাঠাচ্ছে। আমাকেও পাঠানো হয়েছে। তবে, তারা হয়ত আরবী ভাষা শিখেছে, মাতৃভাষা ভাল শেখেনি। সেজন্য আমার জানুয়ারি, ২০১৭ সালে অংশগ্রহণ করা ‘পাঠ্যসূচীর সাম্প্রদায়িকীকরণ’ বিষয়ের টক শোর বক্তব্যের খ-িত অংশকে শুনেছি ফেসবুকে ও কটু অসত্য মন্তব্য দিয়ে প্রচার করেছে। এখন সেই খ-িত, অসত্য বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ২০১৮’ এর ৮ অক্টোবরে পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আমার দ- হবে না কেন- এমন ডিজিটাল আইনের দ-বিধির ধারা তুলে একদিকে আমাকে ‘ধর্মবিরোধী’ হিসেবে চিহ্নিত করে আমার অবমাননা ও মানহানি করা হয়েছে। তেমনি দুটি ধারায় আমার জেল-জরিমানার হুমকি দেয়া হয়েছে। অথচ ঐ ‘টকশো’ সাত জানুয়ারি ২০১৭-তে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ডিজিটাল আইন পাস হবার প্রায় দু’বছর আগের বলে এক্ষেত্রে ডিজিটাল আইনটি ব্যবহার অপ্রাসঙ্গিক ও প্রযোজ্য নয়, তা তারা খেয়াল করেনি। তাছাড়া, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগলে তা টকশো’টির সপ্তাহখানেকের মধ্যেই হওয়ার কথা। সেটি টক শো’র অনুষ্ঠানের তিন বছর পর অর্থাৎ, ২০২০ এর শেষে হলে বুঝতে হবে এটি অসৎ, উদ্দেশ্যমূলক। তাছাড়া আমার ‘খ-িত বক্তব্যে’ আমি যে বলেছিলাম নামাজ, রোজা, ওযুর নিয়ম অর্থাৎ, ধর্মাচার মানুষ বাড়িতে ও পরিবারে শেখে, স্কুলের কাজ নীতি শিক্ষা ও অন্যান্য আধুনিক শিক্ষার বিষয় শেখানো- এটি অসৎ উদ্দেশ্যে বাদ দেয়া হয়েছে, যা আমার জন্য শিক্ষাবিদ হিসেবে সম্মানহানিকর হয়েছে। এখন আসা যাক, আমার ও অনেকের ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র অনুভূতিতে আঘাত লাগার প্রশ্নে। পাঠক, নিশ্চয় স্মরণ আছে, জাতির স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু ’৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের জেলখানা থেকে মুক্তি লাভ করে বাংলাদেশে এসে পৌঁছান। আজ ভেবে আশ্চর্যান্বিত না হয়ে পারি না যে, তিনি ’৭২-এর ৪ নবেম্বর জাতিকে একটি সংবিধান উপহার দিয়েছেন, যেটি পৃথিবীতে সব জাতির সংবিধানের মধ্যে একটি শ্রেষ্ঠ সংবিধান হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে। এই সংবিধানে বঙ্গবন্ধু চার জাতীয় মূল নীতি- গণতন্ত্র, বাঙালী জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রকে রাষ্ট্র পরিচালনার প্রধান নীতি হিসেবে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। যার ফলে ধর্মের নামে রাজনীতি করা, ভেকধারী মৌলবাদীদের ব্যক্তির হত্যার রাজনীতি করার ধারাটি অবলুপ্ত করে জাতিকে সুস্থ গণতান্ত্রিক রাজনীতি ও সামাজিক নিরাপত্তা প্রদানের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। এই ভাবনার উৎস ’৭১-এর ধর্মভিত্তিক দল জামায়াত-শিবিরের কলঙ্কজনক হত্যার রাজনীতির অপচর্চা! ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির চর্চার জন্য প্রয়োজন ছিল ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ, যেটি আমাদের সংবিধানকে গৌরবান্বিত ও তাৎপর্যপূর্ণ করেছে। সুতরাং, মুজিব শতবর্ষে এবং বিজয়ের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উদযাপনের সময় জাতি বঙ্গবন্ধুকে তাঁর প্রণীত অসাধারণ ’৭২-এর সংবিধানটি অটুটভাবে ফিরিয়ে আনবে- এটাই এ সরকারের জাতিকে দেয়ার একটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপহার হবে। এটি করতে গিয়ে অবশ্যই সংবিধানের ওপর অসৎ উদ্দেশ্যে আনা পরবর্তী পরিবর্তন, উৎপাটন ও সংযোজনগুলো ফিরিয়ে আনা ও বর্জন করার কাজটিও সমাপ্ত করতে হবে। এ প্রসঙ্গে আমার বক্তব্য হচ্ছে, রাষ্ট্রের মূল নীতি ‘ধর্মনিরপেক্ষতার’ অনুসারী দেশের অধিকাংশ জনগণ। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের নামে মৌলবাদী দল ও ব্যক্তি এখন নানা মতলবে ‘ধর্মনিরপেক্ষতায়’ বিশ্বাসীদের অনুভূতিতে আঘাত হানছে, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে এবং সমাজের নেতৃস্থানীয় লেখক- কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মীদের সম্মানহানি ঘটাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষ জাতি গঠনে ঐ গোষ্ঠী বাধাদান করার কাজটি অব্যাহত রেখেছে। তা বলা বাহুল্য। সরকারকে বলব- আপনাদের প্রণীত ২০১৮ এর ৮ অক্টোবরে পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটিকে অনেক স্বার্থান্ধ গোষ্ঠী, ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারে বলে সাংবাদিক নেতারা বারবার মত প্রকাশ করেছিলেন, যা হবে না, ঘটবে না বলে তথ্যমন্ত্রী তখন আশ্বস্ত করেছিলেন। সুতরাং ডিজিটাল এ্যাক্টটি নিয়ে নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করে ধর্মজীবীদের দ্বারা অসৎ উদ্দেশ্যে এর ব্যবহারের ফাঁক-ফোকর বন্ধ করতে হবে অথবা এ এ্যাক্টটি প্রত্যাহার করে ভিন্ন নতুন একটি আইন করতে হবে। যাতে ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসকে ধর্মীয় বিশ্বাসের সমান মূল্য দিয়ে গণ্য করতে হবে। চট্টগ্রামে অপহৃত সাংবাদিক ভূমি দখলের রিপোর্ট করে যে চরম বর্বরতার শিকার হলো- সেটিও ডিজিটাল এ্যাক্টকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তা যদি করা না হয়, ধর্মভিত্তিক রাজনীতির ওপর যে নিষেধাজ্ঞা ছিল সেটি যদি বলবৎ না করা হয়, তাহলে ’৭২-এর সংবিধান অস্তিত্বহীন হয়ে যায়। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম এখন বিলুপ্ত হয়েছে। কেননা, ‘রাষ্ট্রের কোন ধর্ম হয় না’- বিজ্ঞ আদালতের এই রায় ’৭২-এর সংবিধানের অনেকখানি ফিরিয়ে এনেছে। সবশেষে বলব এবং দাবি করব, আমার ধর্মনিরপেক্ষতার বিশ্বাসকে রাষ্ট্রকে সুরক্ষা দিতে হবে এবং মৌলবাদীদের শাস্তি দিতে হবে। যেসব প্রগতিশীল, বুদ্ধিজীবীকে উকিল নোটিস পাঠানো হয়েছে, সে সবের প্রেরকের নামের তালিকা দ্রুত গোয়েন্দা পুলিশের কাছে জানাতে হবে, যাতে তারা দ্রুত এসব উকিল নোটিসদাতা মৌলবাদীর বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। আমার উকিল নোটিস পাঠানো ব্যক্তির নাম- সৈয়দ মুহম্মদ মুক্তাদুল হুসাইন, সম্পাদক, সাসনিউজ২৪ডটকম, ঠিকানা- ৯২/৪, শান্তিবাগ, ঢাকা- ১২১৭। অন্য নোটিস প্রাপকদের বলব, তাঁরাও যেন তাঁদের কাছে পত্র অথবা উকিল নোটিসের প্রেরকের নাম-ঠিকানা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে জমা দেন। লেখক : শিক্ষাবিদ
×