ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচ সাদের জন্য অনুপ্রেরণার...

প্রকাশিত: ২৩:৪৪, ১০ নভেম্বর ২০২০

ভারতের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচ সাদের জন্য অনুপ্রেরণার...

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আগামী ১৩ ও ১৭ নবেম্বর ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে নেপালের বিরুদ্ধে দুটি ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ দুটিকে সামনে রেখে জোর অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছে দু’দল। তবে এই ম্যাচ দু’টির বাইরে চলে এসেছে লাল-সবুজ বাহিনীর ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচটি। কারণ ইতোমধ্যেই আগামী ডিসেম্বরে ম্যাচ খেলতে মৌখিকভাবে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ ও কাতার। সবকিছু ঠিক থাকলে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হতে পারে আগামী ৪ ডিসেম্বর। তবে বাংলাদেশের হেড কোচ জেমি ডে আপাতত নেপাল ম্যাচ নিয়েই ভাবছেন। জাতীয় দলের ফরোয়ার্ড সাদউদ্দিন সোমবার অনুশীলন শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, এই কয়েক মাস অনুশীলনের বাইরে ছিলাম সবাই। আগের জায়গায় যেতে আমাদের কিছু সময় লাগবে। যদি আমরা আগের জায়গায় যেতে চাই তাহলে আমাদের আরও বেশি বেশি অনুশীলন করতে হবে। আরও ম্যাচ খেলতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি আগের পর্যায়ে পৌঁছাতে। কোচ চেষ্টা করছেন সবার ফিটনেস আগের পর্যায়ে নিয়ে যেতে। আশাকরি আরও কয়েকটা ম্যাচ খেললে আমরা পরবর্তী লেভেলে যেতে পারব।’ গত বছর ভারতের বিপক্ষে লড়াকু ড্র করে দারুণ খেলেছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচটিকে অনুপ্রেরণা বলে মনে করেন সাদ, ‘আমরা ওই ম্যাচ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। এই ম্যাচ দুটো দিয়ে আমরা আর এগিয়ে যেতে চাই।’ বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে অন্যতম সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হচ্ছে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। জাতীয় দলের টিম ম্যানেজমেন্ট অনেকদিন ধরেই খুঁজছে ১৮ বছর বয়সী কুশলী কোন স্ট্রাইকারকে। বাংলাদেশ জাতীয় অনুর্ধ-১৮ ও অনুর্ধ-১৯ দলের নিয়মিত মুখ ফাহিমের লক্ষ্য সিনিয়র দলেও জায়গা করে নেয়া। তবে বাস্তবতাও তিনি বোঝেন ভালমতোই। জাতীয় দল যেহেতু সর্বোচ্চ স্তর, আর এই স্তরে তিনি যে শিক্ষানবীশ... সেটি মেনে নিয়েই তার চাওয়া জাতীয় দলের ক্যাম্পে থেকে অনুশীলন করে নিজেকে আরও শানিত করে নেয়া, নিজের অভিজ্ঞতার ভা-ার আরও সমৃদ্ধ করা। সোমবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলন করে ডানা মেলেছে তার ভাবনাগুলো। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘অনুর্ধ-১৪ থেকে শুরু করে অনুর্ধ-১৯ পর্যন্ত দলগুলোর হয়ে অনেক আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছি। সিনিয়র জাতীয় দল হচ্ছে শেষ ও সবচেয়ে বড় সীমা। এখানে যদি সুযোগ পাই তাহলে নিজের সামর্থ্যকে শতভাগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। তাহলে আমার ভবিষ্যত আরও উজ্জ্বল হবে। আমার আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে একবার সুযোগ পেলে সেটা কাজে লাগানোর।’ বয়সভিত্তিক জাতীয় দলে খেলে নিজেকে গড়ে নেবার পাশাপাশি নিজের আত্মবিশ্বাসও কয়েকগুণ বাড়িয়ে নিয়েছেন ফাহিম। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনুর্ধ-১৮ ও অনুর্ধ-১৯ দলের হয়ে খেলে একাধিক গোল করেছি। এতে আমার আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়েছে। সিনিয়র দলে খেলতে পারলে লক্ষ্য থাকবে একই, গোল করা এবং আত্মবিশ্বাসের মাত্রাকে আরও উঁচুতে নিয়ে যাওয়া।’
×