ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পটুয়াখালীতে তিন ফসলি জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদ

প্রকাশিত: ২১:৫৯, ১০ নভেম্বর ২০২০

পটুয়াখালীতে তিন ফসলি জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদ

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী, ৯ নবেম্বর ॥ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) নির্মাণের নামে তিন ফসলি কৃষিজমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদে পটুয়াখালীতে মানববন্ধন করেছে শত শত কৃষক। পশ্চিম আউলিয়াপুর তিন ফসলি কৃষিজমি রক্ষা কমিটি এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কৃষক সিদ্দিকুর রহমান, আবদুল হক মোল্লা, মিজানুর রহমান, এইচএম ইলিয়াস, জসিম তালুকদার। বক্তারা বলেন, মহাসড়ক নির্মাণের জন্য তারা জমি দিয়েছেন, সম্প্রতি রেললাইন নির্মাণের জন্য তাদের শত শত একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এখন আবার ইপিজেড নির্মাণের জন্য সরকার তাদের ৪০০ (চারশত) একর জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বক্তারা বলেন, শেষ সম্বল কৃষিজমি সরকার কেড়ে নিলে তাদের আর কোন কৃষিজমি থাকবে না। তিন ফসলি জমি অধিগ্রহণ করা যাবে না-প্রধানমন্ত্রী যে ঘোষণা দিয়েছেন সেটার বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে দাবি জানান বক্তারা। মানববন্ধনে উপস্থিত আনোয়ার, আবদুল মালেক, আবদুস সালাম, ফারুকসহ আরও একাধিক কৃষক ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, তাদের তিন ফসলি জমির দুই কিলোমিটারের মধ্যে বাঁশবুনিয়া এলাকায় এক ফসলি জমি কৃষকরা ইপিজেড নির্মাণের জন্য সরকারকে হস্তান্তর করতে চায়। সড়কের পাশে সেই জমি সরকার না নিয়ে তিন ফসলি জমি কি কারণে অধিগ্রহণ করতে চায় তা জানা প্রয়োজন বলে দাবি করেন কৃষকরা। তারা বলেন, আমরা সরকারের উন্নয়নে বিশ্বাসী। সরকার পটুয়াখালীতে একটি ইপিজেড নির্মাণ করতে চায় এটা খুশির খবর। একাধিক বিকল্প জমি থাকতে মহাসড়কের পাশে কেন এই জমি প্রস্তাব করা হয়েছে তা কারও বোধগম্য নয় বলে জানান তারা। তারা দাবি করেন বলইকাঠি চর, চর মৌশাদী, চর জৈনকাঠি, লোহালিয়া সেতুসংলগ্ন চর এলাকায় হাজার হাজার পতিত জমি থাকতে কি কারণে তিন ফসলি জমি প্রস্তাব করা হয়েছে তা জানতে চান কৃষকরা। পরে মানববন্ধন শেষে ৮২৮ জনের স্বাক্ষরসম্বলিত একটি স্মারকলিপি প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রদান করা হয়।
×