ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেবে যুক্তরাষ্ট্র ॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রত্যাশা

প্রকাশিত: ০০:২০, ৯ নভেম্বর ২০২০

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেবে যুক্তরাষ্ট্র ॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রত্যাশা

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনায় বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ককে আরও বাড়িয়ে তুলবে। আমরা আশা করি যুক্তরাষ্ট্রের (নতুন নেতৃত্ব) ভৌগলিক ও উদীয়মান দেশ হিসেবে গ্রহণ করে আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়িয়ে তুলবে। রবিবার সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। এ সময় তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী ভূমিকা প্রত্যাশা করেন। খবর অনলাইনের। মিয়ানমারের গণহত্যা ও জাতিগত নির্মূলের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে ফোকাস করায় রোহিঙ্গা ইস্যু আরও সোচ্চার হবে। জলবায়ু, অভিবাসন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্কিত বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের কাছ থেকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রত্যাশা করে ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে নির্বাচনে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। সামনের দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার প্রত্যাশা করেছেন। বহিঃপ্রচার অনুবিভাগের নতুন নাম জনকূটনীতি অনুবিভাগ ॥ দেশে ও প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশী জনগণকে সরকারের পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে অবহিত করা এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নেতিবাচক প্রচারের বিপরীতে ইতিবাচক ও সঠিক ভাবমূর্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাংগঠনিক কাঠামোতে বিদ্যমান ‘বহিঃপ্রচার অনুবিভাগ’-এর কার্যক্রম ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ‘বহিঃপ্রচার অনুবিভাগ’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘জনকূটনীতি অনুবিভাগ’ হিসেবে নামকরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়। বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে অংশীদারদের সঙ্গে নিয়মিত মতবিনিময়ের মাধ্যমে এ অনুবিভাগ বৈদেশিক সম্পর্ক উন্নয়নে সরকারের গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করবে এবং একইসঙ্গে পররাষ্ট্রনীতিতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে সচেষ্ট থাকবে। বিদেশে বাংলাদেশের সামগ্রিক ভাবমূর্তি সমুন্নতকরণ এবং জাতীয় সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে সাংস্কৃতিক কূটনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করাও জনকূটনীতি অনুবিভাগের কার্যপরিধির অন্তর্ভুক্ত।
×