ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অবাঞ্ছিত সাবেক সেনা সদস্যদের অপপ্রচার ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান সেনাবাহিনীর

প্রকাশিত: ০০:৩৯, ৫ নভেম্বর ২০২০

অবাঞ্ছিত সাবেক সেনা সদস্যদের অপপ্রচার ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান সেনাবাহিনীর

অবাঞ্ছিত ঘোষিত কিছু সাবেক সেনা সদস্য বিদেশে বসে দেশ ও সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)। তাদের এমন কর্মকাণ্ড দেশের জনগণ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে বলে বুধবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অবাঞ্ছিত ঘোষিত কতিপয় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য বিদেশ থেকে বিভিন্ন প্রকার মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া তথ্য সম্বলিত গল্প এবং বিভিন্ন সূত্র থেকে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কথোপকথন সংগ্রহ করে আধুনিক প্রযুক্তির অপব্যবহার করে তা কাট-পেস্ট ও এডিট করে। পরে তাদের উদ্দেশ্য মাফিক বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপস্থাপনের মাধ্যমে সেনা সদস্য ও দেশের সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াসে লিপ্ত হয়ে ক্রমাগত দেশ এবং সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে। তাদের এমন কর্মকাণ্ডে তাদের অবাঞ্ছিত করাটা যে যথার্থ ছিল তাই প্রমাণ করে। তাদের এই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ঘৃণ্য অপকর্মে প্রতিটি সেনা সদস্য অত্যন্ত মর্মাহত। কাল্পনিক, বাস্তবতা ও নৈতিকতা বিবর্জিত এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এসব গল্প বা বক্তব্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা এবং দেশের জনগণ বিশ্বাস করে না বরং ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে। আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি অত্যন্ত সুশৃঙ্খল, সুসংগঠিত ও পেশাদার বাহিনী এবং দেশমাতৃকার সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষায় বদ্ধপরিকর। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে সৃষ্ট, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে তৈরি ৪৯ বছরের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ এই সেনাবাহিনী বর্তমানে পেশাগতভাবে দক্ষ ও পরিপক্ব। যা বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের সর্বশেষ আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। দেশের সংবিধান ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য নিজের জীবনকে হাসিমুখে উৎসর্গ করতে সদা প্রস্তুত সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ সেনা সদস্যরা উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদের প্রস্তুত করে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দেশে এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গেই কাজ করে যাচ্ছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সেনাবাহিনীতে দীর্ঘদিন চাকরি করার পর অবসর গ্রহণ একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। অবসরপ্রাপ্ত প্রতিটি সেনা সদস্য অবসর জীবনে নিজেকে একজন প্রাক্তন সেনা সদস্য হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করেন এবং সৎ ও সুশৃঙ্খল জীবনযাপন করেন। তবে অবসর জীবনে যদি কোন প্রাক্তন সেনা সদস্য শৃঙ্খলা বিবর্জিত জীবনযাপন করে যা সামরিক ও বেসামরিক পরিমণ্ডলে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ণ করে। তখন তাকে সংশোধনের জন্য দেশের সকল সেনানিবাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। -আইএসপিআর
×