স্টাফ রিপোর্টার ॥ পুলিশের অভ্যন্তরীণ তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ ভিপিএন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) স্থাপন করা হয়েছে। প্রথম ধাপে পুলিশের এক হাজার কার্যালয়ে ভিপিএন সংযোগ দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে পুলিশের সকল কার্যালয় ভিপিএনের আওতায় আনা হবে। বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে গুরুত্ব¡পূর্ণ ও স্পর্শকাতর বিষয়ে অভ্যন্তরীণ তথ্য বিনিময় নিরাপদ করতেই এমন কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
বুধবার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানা খান কামাল এমপির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কানেক্টিভিটি হস্তান্তর করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই কানেক্টিভিটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী বলেন, এই প্রযুক্তির ফলে পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়বে। এই কানেক্টিভিটি বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের স্পর্শকাতর তথ্য আদান-প্রদানসহ অভ্যন্তরীণ তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। পুলিশের অভ্যন্তরীণ কাজকে ত্বরান্বিত করবে। বাংলাদেশ পুলিশ বর্তমানে যে কোন অপরাধ রোধ করতে সক্ষম। কারণ তারা প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার জানে। এই প্রযুক্তি মুজিববর্ষের শ্রেষ্ঠ উপহার। এর ফলে পুলিশ আরও অত্যাধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠবে। ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনার অন্যতম কার্যক্রম এটি। এই কার্যক্রমের পাশাপাশি আমরা অনলাইনে জিডি করার পাইলট প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছি।
ইতোমধ্যে আমরা সংশ্লিষ্টদের এই পাইলট প্রকল্পের ডেমো দেখিয়েছি। আশা করছি দ্রুততার সঙ্গে সারাদেশের থানাগুলোতে এই অনলাইন জিডির প্রযুক্তিটি পুলিশের হাতে তুলে দেয়া সম্ভব হবে। জাতীয় জরুরী সেবা নম্বর ‘৯৯৯’-এর বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ইতোমধ্যে ৯৯৯-এর সেবা ভোগ করছেন। এই সেবা চালুর সময়কাল প্রায় ৩ বছরের কম, তবে এ পর্যন্ত আড়াই কোটির বেশি ফোন এসেছে এখানে। এই সেবার মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকার ২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশের মানুষকে সেবা পৌঁছে দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, জরুরী কলের পাশাপাশি ৯৯৯ এ কিছু অপ্রয়োজনীয় কলও আসে।