ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পদ্মা সেতুর ৩৬তম স্প্যান বসছে আজ

প্রকাশিত: ২৩:০৩, ৫ নভেম্বর ২০২০

পদ্মা সেতুর ৩৬তম স্প্যান বসছে আজ

সংবাদদাতা, মুন্সীগঞ্জ, ৪ নবেম্বর ॥ পদ্মা সেতুর ৩৬তম স্প্যানটি বৃহস্পতিবার বসানোর জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কারিগরি জটিলতা কিংবা নাব্য সঙ্কট না থাকলে তবেই স্প্যানটি বসানো হবে বলে জানান পদ¥া সেতু নির্মাণ প্রকল্পের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। পিয়ার ২ ও ৩ নম্বরে ৩৬তম স্প্যান (১-বি) বসানোর লক্ষ্যে বুধবার সকাল থেকে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে নদীর নাব্য পরীক্ষাসহ আনুষঙ্গিক প্রস্তুতি কাজ করতে থাকে সেতু নির্মাতা কর্তৃপক্ষ। পদ্মা সেতুর উপ-সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানান, মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ‘তিয়ান ই’ ভাসমান ক্রেনে স্প্যান (১-বি) নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছানোর জন্য উঠিয়ে বাঁধা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে নির্দিষ্ট পিলারের উদ্দেশ্য রওয়ানা হয়ে পিলার ২ ও ৩ নবেম্বরের ওপর বসানো হবে। আর ৩৬তম স্প্যানটি বসানো হলে পদ্মা সেতুর ৫ দশমিক ৪০০ কিলোমিটার দৃশ্যমান হবে। অক্টোবর মাসের ১১ তারিখ ৩২তম স্প্যান, ১৯ তারিখ ৩৩তম স্প্যান, ২৫ তারিখ ৩৪তম স্প্যান ও ৩১ তারিখ শনিবার ৩৫তম স্প্যান (সুপার স্ট্রাকচার) বসানো হয়েছে। কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ৮ ও ৯ নম্বর পিলারের ওপর ৩১ অক্টোবর বেলা ২টা ৪০ মিনিটে ৩৫তম স্প্যান (স্প্যান ২-বি) বসাতে সক্ষম হন সেতু প্রকৌশলীরা। ৩৪তম স্প্যান বসাতে বৈরী আবহাওয়া আর ৩৫তম বসাতে নাব্য সঙ্কট দেখা দিয়েছিল। ৩৬তম স্প্যানটি প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ বা জটিলতা না হলে বৃহস্পতিবার বসানো হবে বলে পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মোঃ আব্দুল কাদের জানান। তিনি আরও জানান, অক্টোবর মাসে চারটি স্প্যান বসানো হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখের মধ্যে বাকি স্প্যানগুলো বসানো হবে। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান শুরু হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হয় ৩৫টি স্প্যান। ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে সবকটি পিয়ার এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। বাকি স্প্যানগুলো পিলালের ওপর উঠানোর জন্য প্রস্তুত করা আছে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো কর্পোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড। ৬ দশমিক ১৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।
×