ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

লালগ্রহে পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র এক মাস!

প্রকাশিত: ২১:৩৩, ৫ নভেম্বর ২০২০

লালগ্রহে পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র এক মাস!

মঙ্গলগ্রহে এখন খুব কম সময়েই যেতে পারবে মানুষ। আগে লাল গ্রহটিতে যেতে অন্তত সাত মাস সময় লাগত। এখন সেখানে লাগবে মাত্র তিন মাস। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা সম্প্রতি এমটাই জানিয়েছে। মহাশূন্যে মানুষের যাত্রাপথ সহজ করতে সম্প্রতি পরমাণু ইঞ্জিনের নতুন যে নক্সাটি তৈরি করা হয়েছে, সেটি পৃথিবী থেকে মঙ্গলে যেতে সময় বাঁচিয়ে ও বিশেষ নিরাপত্তা দিয়ে নভোচারীদের অনেকটাই সাহায্য করবে বলে বিশ্বাস করা হচ্ছে। পৃথিবী থেকে অন্তত চার কোটি মাইল দূরের মঙ্গলে মাত্র ৯০ দিনে পৌঁছনোর যে পরিকল্পনা করা হয়েছে, সেটি আসলে আগামী ২০৩০ সালের পর। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে পরমাণু ইঞ্জিন তৈরির কাজ শেষে ৩০ এর দশকের কোন একটি সময় তারা মঙ্গলে কম সময়ের মধ্যে মানুষ পাঠাতে সক্ষম হবেন। এজন্য ২০৩০ সালকে সামনে রেখে প্রজেক্টটি সফল করতে পুরোদমে কাজ শুরু করেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। স্যাটেলাইট কোম্পানি আল্ট্রা সেফ নিউক্লিয়ার টেকনোলজিস এই নিউক্লিয়ারভিত্তিক ইঞ্জিন তৈরির কাজ করছে। কোম্পানিটি দাবি করছে, নতুন ইঞ্জিন ব্যবস্থায় আগের চেয়ে অধিক নিরাপদে ও আরামদায়ক পদ্ধতিতে মানুষ মহাশূন্য বা মঙ্গলে যেতে পারবে। এই পদ্ধতিতে স্বল্প ইউরেনিয়াম দিয়ে নক্সা করা একটি বিশেষায়িত জ্বালানি ব্যবহার করা হবে, যেটি প্রচলিত পারমাণবিক জ্বালানির চেয়ে বেশি কড়া এবং উচ্চ তাপমাত্রায় পরিচালনা করতে পারে। কোম্পানিটি আরও জানিয়েছে যে, নক্সাটি নাসার জন্য করা হলো আগামীতে কম সময়ে মহাশূন্যে পর্যটক প্রেরণে বাণিজ্যিকভিত্তিতে ব্যবহার করা হতে পারে। আল্ট্রা সেফ নিউক্লিয়ার টেকনোলজিস ইতোমধ্যে ওই ইঞ্জিনের নক্সা ও ওই বিষয় সংক্রান্ত বিস্তারিত গবেষণা তথ্য নাসার কাছে হস্তান্তর করেছে। উল্লেখ্য, বহু কোম্পানি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার কাছে নতুন ও যুগান্তকারী নক্সা দিয়ে থাকে, তবে তাদের কোন কোনটি সম্পূর্ণ বাস্তবতা বহির্ভূত হওয়ায় নাসা সেগুলো ফেলে দিতে বাধ্য হয়। আল্ট্রা সেফ নিউক্লিয়ার টেকনোলজিসের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার ড. মাইকেল ইদিস বলেন, ‘আমাদের নেতৃত্বে মহাশূন্যে নতুন কিছু সৃষ্টি করতে চাই এবং সেটা দ্রুত ও নিরাপত্তার ভিত্তিতেই হবে। -ডেইলি মেইল অবলম্বনে
×