ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আদালতে স্বীকারোক্তি

রাসিকের সড়কবাতি পোড়ানোর চক্রান্ত করেন দুই প্রকৌশলী

প্রকাশিত: ০১:১৯, ২ নভেম্বর ২০২০

রাসিকের সড়কবাতি পোড়ানোর চক্রান্ত করেন দুই প্রকৌশলী

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সড়কবাতি নিয়মিতভাবে পোড়ানোর চক্রান্ত করেছিলেন দুই প্রকৌশলী। তাদের পরিকল্পনা মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করেন রাসিকের বৈদ্যুতিক শাখার কর্মচারীরা। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তে এমনটা উঠে এসেছে। পিবিআই যে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে, তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। ১৬৪ ধারার ওই জবানবন্দীতে উঠে এসেছে নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল হাসানের পরিকল্পনায় দীর্ঘদিন ধরে সড়কবাতি পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। অনুসন্ধানে এ তথ্য জানা গেছে। গত ২৫ আগস্ট বৈদ্যুতিক শাখার কর্মচারী মিজানুর রহমান শাহীন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, সড়কবাতি পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশনা দেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল হাসান। এরপর পিবিআই শফিকুল হাসানকে গ্রেফতার করে। তিনি ১৭ সেপ্টেম্বর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। আদালতে দেয়া ওই জবানবন্দীতে তিনি উল্লেখ করেন, পরিকল্পনাটি করেছিলেন নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ। ২১ অক্টোবর কর্মচারী মোঃ ইব্রাহিমের দেয়া জবানবন্দীতেও আছে নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদের নাম। রাসিক সূত্র জানায়, আলো ঝলমলে শহর হঠাৎই অন্ধকার। রহস্যজনকভাবে পুড়ে যাচ্ছিল সড়কবাতি। গত এক বছরে কোটি টাকার সড়কবাতি পুড়ে গেছে। এরপর টনক নড়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের। এ নিয়ে মামলাও হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের একজন প্রকৌশলী ও কর্মচারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। দীর্ঘদিন ধরে বৈদ্যুতিক শাখার কয়েকজন ‘ষড়যন্ত্র’ করে মেয়রকে বেকায়দায় ফেলতে সড়কবাড়ি পোড়ানোর কাজটি করে আসছিলেন বলে তথ্য পেয়েছে তদন্ত সংস্থা।
×