ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

কলা কেন্দ্রে চলছে ‘আর্ট ইন আইসোলেশন’ প্রদর্শনী

প্রকাশিত: ২১:৪৯, ২ নভেম্বর ২০২০

কলা কেন্দ্রে চলছে ‘আর্ট ইন আইসোলেশন’ প্রদর্শনী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল আর্ট গ্যালারিগুলোর কার্যক্রম। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে কিছু গ্যালারিতে প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমান পরিস্থিতির মাঝেই গ্যালারি পরিচালকরা তাদের গ্যালারি কার্যক্রম সচল রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। লকডাউনের কারণে গ্যালারি কলা কেন্দ্রের কার্যক্রমও অনেক দিন বন্ধ ছিল। সম্প্রতি সেখানে শুরু হয়েছে ‘আর্ট ইন আইসোলেশন’ শীর্ষক শিল্প প্রদর্শনী। এতে অংশ নিয়েছেন পাঁচজন তরুণ চিত্রশিল্পী। তারা হলেন মোহাম্মদ রবিন, রিপন চন্দ্র বণিক, রামিত হাসান, শিমুল রুরাম ও সজীব সেন। পাঁচজন শিল্পীর ২০টি কাজ প্রদর্শিত হয়েছে এতে। প্রদর্শনীটি নিয়ে কলা কেন্দ্রের কিউরেটর ওয়াকিলুর রহমান বলেন, এ মুহূর্তে অনেক মানুষের সমাগম বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলে মনে করছি না। আমাদের গ্যালারি খোলা থাকবে। সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি নিজ উদ্যোগে সবাই এসে যেন প্রদর্শনীটি উপভোগ করেন। শিল্পী সজীব সেন বলেন, করোনা মহামারীর কারণে আমার জীবনধারার যে পরিবর্তন এসেছে তা এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা। একটি গ্যালারি স্পেসে আইসোলেশনে থাকা এবং সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং ও কোয়ারেন্টাইন প্রভৃতি নতুন অবস্থার সঙ্গে একাকিত্বকেই অনুভব করেছি। আর এই সময়ের মধ্যে নিজেকেই নতুন করে অনুভব করা কিংবা নানাভাবে পরিবর্তিত করে দেখার প্রবণতা নতুন সময়ের নতুন অভিজ্ঞতারই প্রতিফলন। কলা কেন্দ্রের কিউরেটর ওয়াকিলুর রহমান বলেন, কলা কেন্দ্রের পলিসি অনুযায়ী আমরা যে শুধু একাডেমিকভাবে কোয়ালিফাইড আর্টিস্টদের কাজ দেখিয়েছি তা কিন্তু নয়। এর বাইরেও আমরা অন্য আর্টিস্টদের কাজ দেখিয়েছি। সে সুবাদে পাঁচজন তরুণের কাজ নিয়ে প্রদর্শনীটি করেছি। তিনি বলেন, কলা কেন্দ্র এমন একটি সংগঠন, যেটা আমরা নিজেরাই চালাই এবং যার কোন অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। করোনার সময় এ রকম একটি সংগঠনের টিকে থাকা, অনুষ্ঠান ছাড়া একটা আর্ট স্পেসকে চলমান রাখা খুব কঠিন। এখন এ ধরনের অনেক সংগঠন বন্ধ হতে দেখছি। আমাদের মধ্যে এক ধরনের বোঝাপড়া থাকার কারণে সবাই একমত ছিলাম যে আমরা স্পেসটা ছাড়ব না। প্রদর্শনী করব। কলা কেন্দ্র করোনার মধ্যে দুটি প্রজেক্ট করেছে। আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটের দিক থেকে আমাদের কিন্তু বাইরে বের হতেই হচ্ছে। এতদিন পর এভাবে শারীরিক উপস্থিতিতে প্রদর্শনীর আয়োজন করে ভালবোধ করছি। সামনে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এ ধরনের কার্যক্রম সক্রিয় রাখার চেষ্টা থাকবে বলেও তিনি জানান। মাসব্যাপী প্রদর্শনীটি প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। প্রদর্শনীটি শেষ হবে ২০ নবেম্বর।
×