ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে

প্রকাশিত: ২১:৪৯, ২ নভেম্বর ২০২০

করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় দৈনিক নতুন আক্রান্ত ও শনাক্তের হার বেড়েছে। মাসভিত্তিক পরিসংখ্যানে গত আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দেশে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা হ্রাসের ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ১৮ জনের মৃত্যু এবং শনাক্ত হয়েছেন নতুন ১৫৬৮ জন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৫৯৪১ এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৪ লাখ ৯ হাজার ২৫২ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া ১৭৯৫ জনসহ এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ২৫ হাজার ৯৪০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৫৪৯টিসহ এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৩ লাখ ৪৮ হাজার ৮১১টি। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ। রবিবার পাঠানো স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৮ জনের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ এবং ৩ জন নারী। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, তাদের মধ্যে ৬০ বছরের বেশি বয়সী ৯ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৬ জন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১ জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ২ জন রয়েছেন। বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে ১৪ জন, চট্টগ্রামে ৩ জন ও সিলেটে ১ জন রয়েছেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ১২৮ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১২ হাজার ১২৪ জন। আইসোলেশন থেকে ২৪ ঘণ্টায় ১৩৪ জন এবং এখন পর্যন্ত ৭৪ হাজার ১২৭ জন ছাড় পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৮৬ হাজার ২৫১ জনকে। প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টাইন মিলে ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে ৬২৭ জন। কোয়ারেন্টাইন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৮০ জন এবং এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ১৫ হাজার ৯২২ জন ছাড় পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে ৫ লাখ ৫৫ হাজার ১৫ জনকে। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৩৯ হাজার ৯৩ জন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১ নবেম্বর পর্যন্ত করোনায় মোট মৃতের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৩০৯৩ জন, যা মোট মৃতের ৫২ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১৭৬ জন, যা মোট মৃতের ১৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে ৩৭১ জন, যা মোট মৃতের ৬ দশমিক ২৪ শতাংশ, খুলনা বিভাগে ৪৭০ জন, যা মোট মৃতের ৭ দশমিক ৯১ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে ২০০ জন, যা মোট মৃতের ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ, সিলেট বিভাগে ২৪৭ জন, যা মোট মৃতের ৪ দশমিক ১৬ জন, রংপুর বিভাগে ২৬২ জন, যা মোট মৃতের ৪ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১২২ জন, যা মোট মৃতের ২ শতাংশ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ১ নবেম্বর পর্যন্ত করোনায় যারা মারা গেছেন, তাদের বয়স বিশ্লেষণে, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে ২৯ জন, যা মোট মৃত্যুর শূন্য ৪৯ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৪৬ জন, যা শূন্য ৭৭ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১৩৬ জন, যা ২ দশমিক ২৯ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৩২৭ জন, যা ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৭৩৬ জন, যা ১২ দশমিক ৩৯ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৫৭২ জন, যা ২৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী ৩০৯৫ জন, যা ৫২ দশমিক ১০ শতাংশ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সারাদেশে করোনা রোগীদের জন্য সাধারণ শয্যা সংখ্যা ১১ হাজার ৬০৮টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২৩০৯ জন এবং খালি রয়েছে ৯২৯৯টি শয্যা। দেশে মোট আইসিইউ শয্যা রয়েছে ৫৬৪টি, ভর্তিকৃত রোগী ২৬৪ জন এবং খালি রয়েছে ৩০০টি আইসিইউ শয্যা। দেশে মোট অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে ১৩ হাজার ৯৫টি, হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা রয়েছে ৫৭৪টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর রয়েছে ৩৬৩টি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ১২৭৬ জন, চট্টগ্রামে ১৯৬ জন, রাজশাহীতে ৩৭ জন, খুলনায় ৭৮ জন, রংপুরে ২১ জন, বরিশালে ২১ জন ও সিলেটে ৭১ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের হটলাইন নম্বরসমূহের মধ্যে স্বাস্থ্য বাতায়নের নম্বরে ৬৬৭১টি, ৩৩৩ নম্বরে ৩৯ হাজার ২২টি ও আইইডিসিআর’র নম্বরে ২৩৭টি কল এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসমূহে ৩৪৮৯ জন, স্থলবন্দরসমূহে ৫০৭ জন এবং সমুদ্রবন্দরসমূহে ১৯৯ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, মাস বিবেচনায় করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা মার্চে যথাক্রমে ৫১ ও ৫ জন, এপ্রিলে ৭৬১৬ ও ১৬৭ জন, মে মাসে ৩৯ হাজার ৪৮৬ জন ও ৪৮২ জন, জুনে ৯৮ হাজার ৩৩০ জন ও ১১৯৭ জন এবং জুলাই মাসে ৯২ হাজার ১৭৮ জন ও ১২৬৪ জন রেকর্ড হয়েছে। আগস্ট মাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যথাক্রমে ৭৫ হাজার ৩৩৫ জন ও ১১৭০ জন, সেপ্টেম্বরে ১ লাখ ২৫ হাজার ৮১৮ জন ও ৯৭০ জন এবং অক্টোবরে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৪৪ হাজার ২০৫ জন ও ৬৭২ জন।
×