ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পেঁয়াজ ॥ ভোক্তা পর্যায়ে দাম ৫৫ টাকা কেজির নিচে নামানো সম্ভব নয়

প্রকাশিত: ২১:৪৫, ২ নভেম্বর ২০২০

পেঁয়াজ ॥ ভোক্তা পর্যায়ে দাম ৫৫ টাকা কেজির নিচে নামানো সম্ভব নয়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সরকারের সহযোগিতায় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। তবে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫৫ টাকার নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। রবিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ)-এর বেস্ট রিপোর্টিং এ্যাওয়ার্ড-২০২০-এ প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে ব্যামন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত বছর পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল। ওই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবার আগে থেকেই আমরা প্রস্তুত ছিলাম। সঙ্কট সৃষ্টি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকারের সহযোগিতায় পেঁয়াজ আমদানি শুরু করা হয়। তিন দিন আগে থেকে দেশে পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীদের লাভ, আমদানিকারকদের কমিশনসহ সব খরচ যোগ করে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ভোক্তা পর্যায়ে কোন অবস্থায় ৫৫ টাকার নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব না। তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। কিন্তু এখানে কারোর কিছু করার নেই, আমাদের চাহিদার তুলনায় ৮ থেকে ৯ লাখ মেট্রিক টন ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতির ৯০ শতাংশ যোগানদাতা ভারত। কিন্তু তারা হঠাৎ করেই রফতানি বন্ধ করেছে, এর আগেও এটা হয়েছিল। এজন্য আমরা তাদের অনেক বকাবকি করেছি। তবে আগামীতে পেঁয়াজে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারব। পেঁয়াজ ও আলুর দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের কলকাতাতে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশী টাকায় ৫৫ টাকা, পেঁয়াজ বাংলাদেশী টাকায় ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমাদের এখানেও আলু- পেঁয়াজের দাম বেশি, সেখানেও একই অবস্থা। কারণ, এই সময়ে ঘাটতি দুই দেশেই আছে। তবে সমস্যা সমাধানে আমরা মন্ত্রণালয় ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে বসার পরপরই তারা আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। ইতোমধ্যে আসতে শুরু করেছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের ভয়াবহ সময়ে যখন সব কিছু স্থবির হয়ে পড়েছিল তখনও আমাদের দেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দেশের অর্থনীতি প্রতিবেশী অন্য সব দেশের তুলনায় ভাল অবস্থানে ছিল। টিপু মুনশি বলেন, সত্যিকার অর্থে দেশটা অনেক এগিয়েছে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে। বিশ্বের সব সংস্থার প্রতিবেদন বলছে, দেশের অর্থনীতি প্রতিবেশী অন্য সব দেশের তুলনায় ভাল অবস্থানে আছে। তবে আমরা একেবারেই বিপদমুক্ত না, কিছুটা হয়তো ঝুঁকিও রয়েছে। আমাদের ইতিবাচক দিকটাকে লিখিত আকারে তুলে ধরতে হবে। আমরা এটা করলে সমালোচনা হবে, বলা হবে একতরফা, তাই সত্যটাকে লিখিত আকারে তুলে ধরতে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। ইআরএফ সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ, ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশিদুল ইসলাম। এ সময় সিনিয়র সাংবাদিক ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
×