ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

তৈরি হচ্ছে র‌্যাবের পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র

অপারেশন সুন্দরবন

প্রকাশিত: ২২:৪৬, ১ নভেম্বর ২০২০

অপারেশন সুন্দরবন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বনদস্যুদের সন্ত্রাসের কবল থেকে সুন্দরবনকে রক্ষা করাটা ছিল খুবই চ্যালেঞ্জিং। সুন্দরবন এখন নিরাপদ। কয়েক দশকের বনদস্যুদের উৎপাত নির্মূল করাটা র‌্যাবের অন্যতম সফল উদ্যোগ। কিন্তু কিভাবে সেই দুঃসাহসিক অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল সেটা এ দেশের সব মানুষের জানা উচিত। এজন্যই র‌্যাব ওয়েলফার কো-অপারেটিভ সোসাইটির উদ্যোগে নির্মাণ করা হচ্ছে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘অপারেশান সুন্দরবন’। র‌্যাব পরিচালক লেঃ কর্নেল আশিক বিল্লাহ এ ধরনের তথ্য প্রকাশ করে বলেন, চলচ্চিত্র শক্তিশালী গণমাধ্যম যার মাধ্যমে সমাজ ও দেশ বদলে দেয়ার উপায় থাকে। এক সময় সুন্দরবন ছিল ভয়ঙ্কর বনদস্যুদের কাছে জিম্মি। সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল ক্ষুদ্র পেশাজীবীরা তাদের উৎপাতে জীবিকা নির্বাহের মতো কাজ করতে পারত না। আজ সেটা পাল্টেছে। এখন সুন্দরবন দেশী-বিদেশী সব পর্যটকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের জন্যও নিরাপদ। র‌্যাব জানিয়েছে, অপারেশন সুন্দরবন বাংলাদেশের একটি নির্মাণাধীন রোমাঞ্চকর পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। সুন্দরবনকে জলদস্যু মুক্ত করার অভিযান নিয়ে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করছেন দীপঙ্কর সেনগুপ্ত দীপন। এটা হবে বন্যজীবন নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম রোমাঞ্চকর কাহিনীচিত্র। র‌্যাব ওয়েলফেয়ার কো-ওপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড-এর অর্থায়নে চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করছে থ্রি-হুইলারস লিমিটেড। ছায়াছবিটির কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন নাজিম-উদ-দৌলা ও দীপন নিজেই। এটা দীপঙ্কর সেনগুপ্ত দীপনের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র নির্মাণ। গতবছরের ২০ ডিসেম্বর হতে সুন্দরবন ও তটবর্তী সাগরে এর চিত্রগ্রহণ শুরু হয়। নির্মাণাধীন অবস্থায় চলচ্চিত্রটি প্রচারমাধ্যমে ইতিবাচক সাড়া পায়। এটি দীপনের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। এর আগে পুলিশের অভিযান নিয়ে ‘ঢাকা এ্যাটাক’ নির্মাণ করে চিত্রপরিচালক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন দর্শকমহলে। এর আগে চলচ্চিত্রটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থ্রি-হুইলারসের সঙ্গে র‌্যাব ফোর্সেস ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। নির্মাতা জানান, সুন্দরবনকে জলদস্যুমুক্ত করতে র‌্যাবের দুঃসাহসী অভিযান নিয়ে নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্রটি। তিনি বলেন, সুন্দরবনে এক সময় জলদস্যুদের অবাধ বিচরণ ছিল। কিন্তু সেই সুন্দরবন এখন দস্যুমুক্ত। র‌্যাবের চৌকস বাহিনীর একের পর এক দুঃসাহসিক অভিযানের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। সেই সব অভিযানকে উপজীব্য করেই নির্মিত হবে ‘অপারেশন সুন্দরবন’। র‌্যাব জানিয়েছে, বছর দু’য়েক আগে চলচ্চিত্রটি পরিচালনার জন্য র‌্যাব দীপঙ্কর দীপনকে প্রস্তাব দেয়। তারপর চলচ্চিত্রটি নির্মাণের পূর্বে দীপঙ্কর দীপন সুন্দরবন নিয়ে দেড় বছর গবেষণা করেন। চিত্রনাট্যের ৭০ ভাগ চিত্রগ্রহণ সুন্দরবন করার জন্য বনের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখেন দীপন। গবেষণা উন্নয়ন একটি দল (আরডিটি) গল্প রচনা করে। দীপনের সঙ্গে নাজিম-উদ-দৌলা যৌথভাবে চিত্রনাট্য রচনা করেন। গতবছরের ১৩ জুন চলচ্চিত্রটি নির্মাণের ঘোষণা দেয়া হয়। নির্মাণের জন্য অনুমিত বাজেট চার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। এতে অভিনয় করছেন-রিয়াজ, জিয়াউল রোশান, সিয়াম আহমেদ, তাসকিন রহমান, শতাব্দী ওয়াদুদ, নুসরাত ফারিয়া মাজহার। পরে শতাব্দী ওয়াদুদ, দর্শনা বণিক ও তুয়া চক্রবর্তীর নাম প্রকাশিত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন পার্শ্ব চরিত্রে ৩০ জন র‌্যাব সদস্যসহ সুন্দরবন এলাকার প্রায় ১০০ জন স্থানীয় লোকজন অভিনয় করেছেন।
×