ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শেষ মুহূর্তের প্রচার যুদ্ধে ট্রাম্প ও বাইডেন

প্রকাশিত: ২২:৪৪, ১ নভেম্বর ২০২০

শেষ মুহূর্তের প্রচার যুদ্ধে ট্রাম্প ও বাইডেন

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের শেষ মুহূর্তের প্রচারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন দেশটির মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলের অঙ্গরাজ্যগুলো চষে বেড়াচ্ছেন। হোয়াইট হাউসের মসনদে বসার দৌড়ে এবারের নির্বাচনে ওইসব অঙ্গরাজ্য প্রধান চাবিকাঠির ভূমিকা পালন করতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার ট্রাম্প মিশিগানের ওয়াটারফোর্ড টাউনশিপে আর বাইডেন আইওয়া, উইসকনসিন ও মিনেসোটায় ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। খবর বিবিসি, ওয়াশিংটন পোস্ট, নিউইয়র্ক পোস্ট, সিএনএন ও রয়টার্সের। মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলের আইওয়াতে এক সমাবেশে বাইডেন আক্রমণাত্মক ভাষায় রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন। অন্যদিকে, মিনেসোটায় গিয়ে প্রচার চালিয়েছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের চেয়ে নির্বাচনী প্রচারে গতি বেড়েছে ডেমোক্র্যাট শিবিরে। তবে করোনাভাইরাসের বিধি-নিষেধের কারণে বাইডেন তার নিজ এলাকা উইলমিংটনের ডেলাওয়ারেই বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারের শেষ মুহূর্তে তিনি আইওয়া, উইসকনসিন ও মিনেসোটায় ব্যস্ত সময় পার করেন। এর আগে শেষবারের মতো আইওয়াতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারে গত জানুয়ারিতে সেখানে গিয়েছিলেন বাইডেন। সেই সময় তার প্রচার কার্যক্রম ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে ছিল। কারণ সেই সময় ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের ভোটে হেরে গিয়েছিলেন তিনি। মিনেসোটার ফেয়ার গ্রাউন্ডের বাইরে গাড়ি পার্কিংয়ের স্থানে প্রায় ২২ মিনিটের প্রচার চালিয়েছেন তিনি। এ সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা গাড়ির হর্ন বাজিয়ে প্রচারে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করেন। বাইডেন ট্রাম্প সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, এই ছেলেরা খুব নম্র নয়। তারা ট্রাম্পের মতোই। বাইডেন করোনা মহামারী মোকাবেলায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার আহ্বান জানানোর সময় আবারও ট্রাম্প সমর্থকরা বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করেন। বাইডেন তখন বলেন, কুৎসিত লোকজনের হর্ন বাজানোর মতো এটা কোন রাজনৈতিক বক্তৃতা নয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প সাদা পতাকা উড়িয়েছেন এবং এই ভাইরাসের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। কিন্তু আমেরিকার জনগণ করোনার লড়াইয়ে হাল ছেড়ে দেবে না। তারা, এমনকি আমিও হাল ছাড়ব না। মিশিগান, পেনসিলভানিয়া এবং উইসকনসিনের মতো ঐতিহ্যগতভাবে ডেমোক্র্যাট অধ্যুষিত অঙ্গরাজ্যগুলোতে সম্প্রতি মনোনিবেশ করেছেন রিপাবলিকান দলের ডোনাল্ড ট্রাম্প। চার বছর আগের নির্বাচনে এসব অঙ্গরাজ্যে জয় পেয়েছিলেন তিনি। মিনেসোটায়ও গিয়েছেন তিনি। যে কয়েকটি অঙ্গরাজ্যকে এবারের নির্বাচনে রিপাবলিকান শিবির পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে; মিনেসোটা সেসবের একটি। মিশিগানের ডেট্রোয়টে ট্রাম্প বলেছেন, আমরা (মিনেসোটায়) অত্যন্ত জনপ্রিয়। কারণ আমি মিনিয়াপোলিস দুর্যোগের সময় সহায়তা করেছিলাম। কিছুদিন আগে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ড ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠে মিনিয়াপোলিস। ট্রাম্প দেশটির ন্যাশনাল গার্ডের সদস্য মোতায়েন করে সেই সময় পরিস্থিতি শান্ত করেছেন বলে দাবি করেন। নির্বাচনের আর মাত্র দুদিন বাকি রয়েছে। এর আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও অন্তত ১৩টি নির্বাচনী সমাবেশ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এরমধ্যে পেনসিলভানিয়ায় শনিবার তিনটি, রবিবার মিশিগান, আইওয়া, নর্থ ক্যারোলিনা, জর্জিয়া ও ফ্লোরিডায় পাঁচটি এবং নির্বাচনের আগের দিন নর্থ ক্যারোলিনা, পেনসিলভানিয়া, উইসকনসিন এবং মিশিগানে পাঁচটি নির্বাচনী সমাবেশ করার পরিকল্পনা করছেন। মঙ্গলবারের সাধারণ নির্বাচনের আগে এখন পর্যন্ত অধিকাংশ জনমত জরিপে প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন বাইডেন। বেশ কিছু অঙ্গরাজ্যের ভোটার কাকে ভোট দেবেন সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করায় ট্রাম্প সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন বলে ধারণা করা হলেও এসব ভোটার উভয় প্রার্থীকেই ভোট দিতে পারেন অথবা তাদের সিদ্ধান্ত শেষ মুহূর্তে পরিবর্তন আসতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে একশ’ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম আগাম ভোটের সর্বোচ্চ রেকর্ড তৈরি হয়েছে। দেশটির এবারের নির্বাচনে সাড়ে ৮ কোটি ভোটার আগাম ভোট দিয়েছেন; যাদের মধ্যে অন্তত সাড়ে ৫ কোটি ভোট দিয়েছেন ডাকযোগে। রক্ষণশীল অঙ্গরাজ্য আইওয়া এবং জর্জিয়ায় ১৯৯২ সালের নির্বাচনে বিল ক্লিনটনের পর এখন পর্যন্ত একবারও ডেমোক্র্যাট কোন প্রার্থী জয়ী হতে পারেননি। এমনকি টেক্সাসেও ১৯৭৬ সালের জিমি কার্টারের পর কখনও দাঁড়াতে পারেনি ডেমোক্র্যাট শিবির। এসব অঙ্গরাজ্যে রিপাবলিকান ট্রাম্প যদি ধাক্কা খান, তাহলে হোয়াইট হাউসে যাওয়া তার জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াতে পারে। জনমত জরিপে এসব অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প এবং বাইডেনের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে বলে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। টেক্সাসের ৯০ লাখের বেশি ভোটার ইতোমধ্যে ভোট দিয়েছেন। বিতর্কিত মন্তব্য ট্রাম্পের ॥ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উইসকনসিনের গ্রিন বেতে এক নির্বাচনী সমাবেশে বলেছেন, প্রাণঘাতী করোনা মহামারীতে যেসব মৃত্যু ঘটছে তা থেকে লাভবান হচ্ছেন দেশের চিকিৎসকরা। করোনায় মৃত্যু প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, যদি কোন ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান তবে আমাদের চিকিৎসকরা অর্থ পান। আপনারা সবাই এটা জানেন। ঠিক না? আমি বলতে চাইছি যে, আমাদের চিকিৎসকরা খুবই স্মার্ট। উইসকনসিনের গবর্নরের করোনা বিস্তার রোধে যেসব প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন তার সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, বাইডেন যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তবে তিনি ছুটির দিনে অথবা অন্য কোন বিশেষ উপলক্ষে সমাবেশ করতে দেবেন না। সেজন্য আপনাদের নিজেদের অঙ্গরাজ্য উন্মুক্ত রাখতে হবে। সমাবেশে উপস্থিত তার বহু সমর্থকের মুখে মাস্ক ছিল না। ট্রাম্প-বাইডেন লড়াই ॥ যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের প্রচারে পাল্টাপাল্টি সমাবেশের মধ্য দিয়ে জমে উঠেছে রিপাবলিকান ট্রাম্প ও তার প্রতিপক্ষ বাইডেনের লড়াই। ফ্লোরিডার ট্যাম্পায় একই দিনে নির্বাচনী সমাবেশ করেছেন দুই প্রার্থী। একে অপরকে আক্রমণ করে বক্তব্য দিয়েছেন তারা। বাইডেন তার সমর্থকদের বলেছেন, আপনাদের হাতেই ক্ষমতা। ফ্লোরিডা নীলের (ডেমোক্র্যাট) পক্ষে গেলেই হলো। অন্যদিকে, অর্থনৈতিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরে রিপাবলিকান ট্রাম্প বলেছেন, তিনি (বাইডেন) জিতলে আপনাদের লকডাউন করে রাখবেন। ট্যাম্পার সমাবেশে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির নতুন অগ্রগতির চিত্র দিয়ে বলেছেন, সর্বসাম্প্রতিক প্রান্তিকে অর্থনীতির প্রসার ঘটেছে বার্ষিক ৩৩ শতাংশ হারে। যা গত তিন মাসের চেয়ে বেশি। ১০০ মিনিটের সমাবেশে সমবেতদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, বাইডেনের পরিকল্পনা হলো (করোনাভাইরাস) লকডাউন দিয়ে শাস্তি দেয়া। তিনি আপনাদের লকডাউন করে রাখবেন। ইউরোপীয়দের প্রসঙ্গ টেনে ট্রাম্প বলেন, সেখানে সংক্রমণ বাড়ছে, তারা অনেক কিছুই বন্ধ করছে, তারা লকডাউন জারি করছে। আমি এর সঙ্গে একমত নই। আমি আপনাদের আর কখনও লকডাউন করব না। আমরা লকডাউন দিয়েছিলাম, রোগটি সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা ব্যবসা-বাণিজ্য চালু করেছি। ট্রাম্পের প্রচারে গতি আনতে তার পাশে দাঁড়ান ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। নির্বাচনী প্রচারে শেষ মুহূর্তে সশরীরের মেলানিয়া অংশ নিয়ে বলেন, আমরা আশাবাদী দেশ, ভীত বা দুর্বল নই। আমরা এমন এক নেতা পেয়েছি, যিনি প্রতিদিনই তা আপনাদের দেখিয়ে দিচ্ছেন। ফ্লোরিডায় মিয়ামির উত্তরে ব্রোওয়ার্ড কাউন্টির একটি কলেজের সমাবেশে ২৪ মিনিট বক্তব্য রাখেন বাইডেন। তিনি বলেন, আপনাদের সঙ্গে করমর্দনটা মিস করছি। কিন্তু আমরা দায়িত্বশীল আচরণের চেষ্টা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ডেমোক্র্যাট সমর্থকদের অনেকেই নিজেদের গাড়িতে ছিলেন, মাস্ক পরাসহ সামাজিক দূরত্বও বজায় রাখেন। এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানান বাইডেন। ট্রাম্পের সমাবেশকে করোনার ‘সুপারস্প্রেডার’ অনুষ্ঠান আখ্যা দিয়ে বাইডেন বলেন, ট্রাম্প মহামারীর হাল ছেড়ে দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে এখন রেকর্ড সংখ্যক মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে। মাস্ক পরার ওপর জোর দিয়ে বাইডেন বলেন, এটি কোন রাজনৈতিক বক্তব্য নয়, এটি দেশপ্রেমীর দায়িত্ব। ব্যালটের খোঁজ নেই ॥ পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে আগাম ভোটের জন্য আবেদন করেছিলেন প্রচুর ভোটার। নির্বাচনের মাত্র দুইদিন আগে প্রায় ১০ হাজার ব্যালটের কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। মার্কিন গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ব্যাটলগ্রাউন্ড হিসেবে পরিচিত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্য পেনসিলভানিয়ার বাটলার কাউন্টির অসংখ্য ভোটার অভিযোগ করেছেন, তাদের ব্যালটের কোন হদিস নেই। অঙ্গরাজ্যের নির্বাচন ব্যুরোর পরিচালক এ্যারন শিসলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ডাক বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা এ বিষয়ে এখনও কিছু জানেন না। অঙ্গরাজ্য নির্বাচন ব্যুরোর পরিচালক শিসলে বলেন, ব্যালটের জন্য আবেদন করেছেন, গত কয়েক দিনে এমন প্রায় ১০ হাজার ভোটারের ফোন তারা পেয়েছেন। কেউ কেউ একাধিকবার ফোন করেও অভিযোগ করেছেন, তারা এখনও তাদের আবেদন করা ব্যালট হাতে পাননি। অথচ নির্বাচনের সময় একেবারে ঘনিয়ে এসেছে। ডাক বিভাগ ও পিটসবার্গ ব্যালটগুলো ভোটারের কাছে পাঠাতে কাজ করেছে। ওই দুই জায়গার কোথাও কোন গ-গোল হয়েছে। তবে কোথায় কি ঘটেছে, এখনই বলা যাচ্ছে না। মোট কত ব্যালটের ক্ষেত্রে এটা ঘটেছে, তাও পরিষ্কার করে বলা যাচ্ছে না। বাটলার কাউন্টিতে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার নিবন্ধিত ভোটার আছেন। এক তদন্তে দেখা গেছে, কলম্বাস ডের সময় ডাকযোগে পোস্ট করা ব্যালটের অনেকগুলোই ভোটার পাননি। এ বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে। আমাদের এই মুহূর্তের লক্ষ্য হলো সব ভোটারের ভোট দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা। বাটলার কাউন্টির কর্মকর্তারা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, তারা এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার ব্যালট পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে ফেরত এসেছে প্রায় ২১ হাজার ৩০০ ব্যালট। কতজন ভোটার ব্যালট গ্রহণ করেছেন এবং ফেরত পাঠাননি তার হিসাব এই মুহূর্তে নেই। রেকর্ড নির্বাচনী ব্যয় ॥ এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ব্যয় সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে এক হাজার চারশ’ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে। দুই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বাইডেন এবং ট্রাম্প ব্যয় করবেন ৬ শ’ ৬০ কোটি মার্কিন ডলার। বাকি ৭ শ’ কোটি মার্কিন ডলার খরচ করবে ডেমোক্র্যাটিক এবং রিপাবলিকান দুই দলের কংগ্রেস নির্বাচনের সব প্রার্থী মিলে। নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ব্যয় করছে ৬ শ’ ৬০ কোটি মার্কিন ডলার এবং রিপাবলিকরা ৩ শ’ ৮০ কোটি মার্কিন ডলার। বাকি ৩০ লাখের বেশি মার্কিন ডলার ব্যয় হবে নির্বাচনের দিন। গণমাধ্যম সিএবিসি এবং সিএনএস জানিয়েছে, অনুমান করা হয়েছিল এবারের ফেডারেল নির্বাচনের ব্যয় প্রায় এক হাজার এক শ’ কোটি মার্কিন ডলারে শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সুপ্রীমকোর্র্টের বিচারপতি এ্যামি কনি ব্যারেটের মনোনয়নের লড়াই, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের নানা জরিপ, সিনেট ও হাউস নির্বাচনের উত্তাপে এই ব্যাপকমাত্রায় ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজনীতিতে অর্থ ব্যয়ের সন্ধান করে নিরপেক্ষ সংগঠন সেন্টার ফর রেসপন্টিক পলিটিক্স (সিআরপি) সম্প্রতি এই তথ্য দিয়েছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিআরপি জানিয়েছে, ডেমোক্র্যাট মনোনীত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি যিনি এক হাজার কোটি মার্কিন ডলার অনুদান সংগ্রহ করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২০ সালের নির্বাচনের সময ৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার পেয়েছেন তার সমর্থকগোষ্ঠী থেকে। এই অনুদান বাইডেন এবং ট্রাম্পের ব্যক্তিগত। দলের হিসেবে আলাদা। বাইডেনের জন্য দশদাতাই শুধু দিয়েছেন ৬ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। দাতাদের মধ্যে সুপার পিএসিএস গ্রুপ অন্যতম। ব্যক্তিগত শীর্ষদাতাদের মধ্যে আছেন ক্যাসিনো ম্যাগনেট শেল্ডন এ্যাডেলসন এবং তার স্ত্রী মরিয়ম। কোটিপতি ব্যবসায়ী মাইক ব্লুমবার্গ এবং টম স্টিয়ার এবং প্যান এম সিস্টেমসের চেয়ারম্যান টিম মেলন।
×