ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালের দুই করোনা যোদ্ধা নিজেরাই আক্রান্ত

প্রকাশিত: ২১:১৪, ১ নভেম্বর ২০২০

বরিশালের দুই করোনা যোদ্ধা নিজেরাই আক্রান্ত

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ করোনাভাইরাস নিয়ে এখন তেমন একটা হাঁকডাক নেই। অনেকটা করোনার সঙ্গে মিশেই দৈনন্দিন কাজে মনোনিবেশ করেছে মানুষ। তবুও থেমে নেই করোনা যোদ্ধারা। নীরব ঘাতকের মতো বিস্তার ঘটিয়ে চলা করোনার বিস্তার ঠেকাতে এখনও সম্মুখভাগে থেকেই কাজ করে যাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা। যাদের মধ্যে দুইজন সম্মুখভাগের করোনা যোদ্ধা বিপিএসএমটিএর বরিশাল শাখার সভাপতি মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট মোহাম্মদ হোসেন এবং বরিশাল আইএইচটি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিল আহমেদ। সূত্রমতে, করোনা মহামারীর মধ্যে যখন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের অভাবে পুরো দেশের মতো বরিশালও যখন নমুনা সংগ্রহ এবং পরীক্ষা করতে হিমশিম খাচ্ছিল, ঠিক তখনই মানবতার ডাকে স্বেচ্ছায় নিজেদের করোনা যুদ্ধে শামিল করেছেন ওই দুই যোদ্ধা। দীর্ঘ পাঁচ মাস অস্থায়ী ভিত্তিতে শেবাচিমের আরটি-পিসিআর ল্যাবে করোনার সঙ্গে যুদ্ধ এবং ১০ হাজারেরও অধিক মানুষের করোনার নমুনা সংগ্রহ করা প্রথম সারির যোদ্ধা মোহাম্মদ হোসেন এবং শাকিল আহমেদ এখন নিজেরাই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সূত্রে আরও জানা গেছে, গত তিনদিন পূর্বে শেবাচিমের পিসিআর ল্যাবে তাদের নমুনা সংগ্রহের পর পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে। বর্তমানে তারা নিজ নিজ বাসায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। তার পরেও করোনার কাছে হার মানতে নারাজ এ দুই যোদ্ধারা। সুস্থ হয়ে ফের প্রথম সারির করোনা যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত নিজেদের আত্মনিয়োগ এবং লড়াই করে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। করোনা যোদ্ধা মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট মোহাম্মদ হোসেন মোবাইল ফোনে বলেন, আমরা পাঁচজন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট পাঁচ মাস আগে অস্থায়ী ভিত্তিতে স্বেচ্ছায় শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং বিএমএর হয়ে করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহের কাজে আত্মনিয়োগ করেছি। সেই থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত দশ হাজারেরও অধিক করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করেছি। তিনি আরও বলেন, এই সময়টুকুতে অনেকের অনুপ্রেরণা যেমন পেয়েছি, তেমনি অনেকের অবহেলার শিকারও হয়েছি। তবু পিছপা হইনি। বরং প্রিয় কয়েকজন ব্যক্তি, অভিভাবক (চিকিৎসক) এবং প্রথম করোনা যোদ্ধা মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট বিভূতি ভূষণের দিক নির্দেশনা, মনোবল, ভালবাসা এবং অনুপ্রেরণায় দীর্ঘ পাঁচ মাাস করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করেছি।
×