ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

হাতিয়ায় ধর্ষণ ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে পৃথক ঘটনায় ৩জন আটক

প্রকাশিত: ১২:২৪, ৩০ অক্টোবর ২০২০

হাতিয়ায় ধর্ষণ ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে পৃথক ঘটনায় ৩জন আটক

নিজস্ব সংবাদদাতা, হাতিয়া ॥ নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় গৃহবধুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ ও এক কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাতিয়া থানায় উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগী গৃহবধু ও কিশোরী বাদী হয়ে এই মামলা দুটি করে। এ ঘটনায় পুলিশ ৩জনকে আটক করে। ধর্ষনের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া একজন হলো শ্রীবাস দেব নাথ, সে উপজেলার নলচিরা ইউনিয়নের ফজরম মাঝি গ্রামের সুনিল দেবনাথের ছেলে। ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া দুইজন হলো, উপজেলার নলচিরা ইউনিয়নের ফজরম মাঝি গ্রামের জাকের হোসেনের ছেলে মনির হোসেন (২০) ও একই এলাকার মো: শিপনের ছেলে আলা উদ্দিন (২২)। ধর্ষনের ঘটনায় হওয়া মামলার সূত্রে জানাযায়, বৃহস্পতিবার সকালে গৃহ বধু (৩৯) সে চরকিং ইউনিয়নের গামছাখালী গ্রামে তার নিজ বাড়ীতে রান্না ঘরে রান্না করতে ছিল। রান্নার প্রয়োজনে সে রান্না ঘর থেকে বসত ঘরে এলে পূর্বেই বসত ঘরে অবস্থান করা শ্রীবাস তাকে জোরপূর্বক ঘরের মধ্যে ধর্ষণ করে। পরে তার চিৎকারে বাড়ীতে অন্যান্য ঘরের লোকজনসহ এলাকাবাসী শ্রীবাসকে গনধোলায় দিয়ে পুলিশের কাছে সৌপার্দ করে। এদিকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে হওয়া মামলার সূত্রে জানাযায়, উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের ফরাজী গ্রামের কিশোরী (১৬) সাহানা ( ছদ্ম নাম) এর সাথে মোবাইলে মনির হোসেনের প্রথমে পরিচয় ও পরে সম্পর্ক হয়। সম্পর্কের এক পর্যায়ে মনির ও তার বন্ধু আলা উদ্দিন বুধবার রাতে তাদের বাড়ীতে যায়। এসময় বাড়ীতে কিশোরীর বাবা মা কেউ ছিলনা। কিশোরীর মা চিকিৎসার জন্য চট্রগ্রাম যায়, তার বাবা ব্যবসায়ীক কাজে বাজারে অবস্থান করেছিল। বাড়ীতে একা পেয়ে মনির ও তার বন্ধু আলা উদ্দিন জোর পূর্বক তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তার চিৎকারে বাড়ীর অন্যান্য ঘরের লোকজন এসে দুইজনকে ঘরের মধ্যে ধরে পেলে। এই ঘটনায় সকালে পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ ভুক্তভোগীর বাড়ী থেকে দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় থানায় এসে কিশোরী বাদী হয়ে মনির ও আলা উদ্দিনকে আসামী করে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মামলা করে। এব্যাপারে হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাঞ্চন কান্তি দাস জানান, ধর্ষণের ঘটনায় গৃহবধুকে ডাক্তার পরীক্ষার জন্য জেলা সদরে পাঠানো হবে। আর ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে আটক দুইজনকে কোট হাজতে প্রেরন করা হবে।
×