জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের পর্যটন খাতের বিকাশে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত মালদ্বীপের হাইকমিশনার আয়শাথ শাহন শাকির বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাত করতে গেলে তিনি একথা বলেন। খবর বাসসর।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাংলাদেশ এবং মালদ্বীপের অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি এ ইস্যুতে সমন্বিতভাবে আরও জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। সাক্ষাত শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন জানান, মালদ্বীপ বাংলাদেশের খুবই ভাল বন্ধু বলে আবদুল হামিদ উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ মালদ্বীপের সঙ্গে সম্পর্ককে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং মালদ্বীপ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে বিভিন্ন ইস্যুতে অভিন্ন মনোভাব পোষণ এবং একে অপরকে সমর্থন ও সহযোগিতা করে থাকে। রাষ্ট্রপতি বলেন, মালদ্বীপে প্রায় এক লাখ বাংলাদেশী কর্মরত আছে। তারা উভয় দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। রাষ্ট্রপতি সফলভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য মালদ্বীপের বিদায়ী হাইকমিশনারকে ধন্যবাদ জানান। মালদ্বীপের বিদায়ী হাইকমিশনার বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে সার্বিক সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ইন্দোনেশিয়া ও নেপালে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের সাক্ষাত ॥ ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ও নেপালে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত সালাহউদ্দীন নোমান চৌধুরী বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন। সাক্ষাতকালে রাষ্ট্রপতি বলেন, ইন্দোনেশিয়া ও নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। বাংলাদেশের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়া ও নেপালের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। সাক্ষাত শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন একথা জানান।