ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মাটির নিচে পরমাণু কেন্দ্র তৈরি করছে ইরান ॥ জাতিসংঘ

প্রকাশিত: ২৩:৩৯, ৩০ অক্টোবর ২০২০

মাটির নিচে পরমাণু কেন্দ্র তৈরি করছে ইরান ॥ জাতিসংঘ

ইরান আবারও মাটির নিচে পরমাণু প্লান্ট তৈরি করছে বলে অভিযোগ করেছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ)। সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল রাফায়েল গ্রসি গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘নতুন করে মাটির গভীরে পরমাণু প্লান্ট তৈরির কাজ শুরু করেছে ইরান। ইউরেনিয়ামও জমাতে শুরু করেছে দেশটি। তবে পরমাণু অস্ত্র তৈরির মতো ইউরেনিয়াম এখনও তাদের কাছে নেই।’ খবর আলজাজিরা ও এপির। পরমাণু চুক্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায় রয়েছে ইরান। ২০০২ সালে প্রথম স্যাটেলাইট ইমেজে ইরানের পরমাণু শক্তিকেন্দ্রের বিষয়টি ধরা পড়ে। পশ্চিমা বিশ্ব এটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। ২০০৩ সালে জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা ইরানের পরমাণু চুল্লি দেখতে যান। তারা জানান, মাটি থেকে সাত দশমিক ছয় মিটার নিচে তৈরি করা হয়েছে ওই পরমাণুকেন্দ্র। বিমান হামলাতেও যাতে কেন্দ্রটির কোন ক্ষতি না হয়, তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এলাকাজুড়ে রাখা হয়েছে এ্যান্টি এয়ারক্রাফট মিসাইল। ইরান যেন পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে না পারে, সেই বিয়ষটি মাথায় রেখেই ২০১৫ সালে পরমাণু চুক্তি হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, পরমাণু গবেষণা করতে পারলেও ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারবে না। নির্দিষ্ট পরিমাণ ইউরেনিয়ামের বেশি জমা করা যাবে না বলেও চুক্তিতে স্থির হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করছে, গোপনে নিউক্লিয়ার অস্ত্র তৈরি করছে ইরান। যদিও তার কোন প্রমাণ এখনও সামনে আসেনি। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরে যুক্তরাষ্ট্র ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসে এবং ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। স্বাক্ষরকারী বাকি ৫ দেশ যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, জার্মানি ও ফ্রান্স চুক্তিতে থাকলেও এর কার্যকারিতা নেই বললেই চলে। এরই মধ্যে গত জুলাই মাসে ইরানের পরমাণুকেন্দ্রে আগুন লাগে। কারও নাম না নিয়ে ইরান দাবি করে, চক্রান্ত করে আগুন লাগানো হয়েছিল। এবার পুনরায় তারা পরমাণু কেন্দ্র তৈরি করছে বলে তথ্য প্রকাশ করল জাতিসংঘ।
×